আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোযা নিয়ে চার মিশালী প্যাচাল ( , , , এবং )

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ আমার হাবিজাবি লেখা পড়ে কারো মেজাজ খারাপ হলে আমি দায়ী নই!!

প্রথমে আমি তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি মনেহয়, রোযা রেখেছিলাম। দুপুরে ক্ষুধা লেগে গেলো। আম্মাকে বললাম যে ক্ষুধা লেগেছে। আম্মা বললেন,"রোযা ভেঙ্গে ফেলো। " "ইস্‌! এত কষ্ট করে এতক্ষণ থেকেছি এখন তো রোযা ভাঙ্গবই না" এটা আম্মাকে বললাম ঠিকই কিন্তু ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে পারছিনা।

ইফতারের আধা ঘন্টা আগে রোযা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে আম্মাকে আবার গিয়ে বললাম, খিদা লাগছে। আম্মা বললেন আর একটুক্ষণ আছে, আর ক্ষুধার কথা বলা ঠিকনা তাহলে রোযা হালকা হয়ে যায়। হালকা মানে কি এর জবাবে আম্মা বললেন রোযা অর্ধেক হয়ে যায়। আমি সাথে সাথেই একটু চিন্তা করে আম্মাকে আবারো বললাম যে আমার ক্ষুধা লেগেছে। দুইবার বলে ফেলেছি তাহলে আমার রোযা দুইবার হালকা হয়ে ভেঙ্গে গেছে, এখন কি আমি খেতে পারি?? এখন আমার ভাগ্নিটার বয়স তখন সাড়ে তিন।

ইফতারের একটু আগে আমি সব ইফতার রেডী করে বসে আছি। আমি খাচ্ছিনা দেখে ও বললো, "খালামণি, খাওনা কেন?" -"আজান দিলে খাবো। " -"আজান না দিলে খাওয়া যায় না?" -"না। " সে কিছুক্ষণ ভেবে দাঁড়িয়ে আযানের মতো করে ৪বার আল্লাহু আকবার বলে বললো, "আজান দিয়েছি, এখন খাও"। আমি কি আর বলবো!! এরপর ছোটবেলায় প্রথম দুই এক রোযায় ভুলে কিছু না কিছু খেয়ে ফেলতাম।

একবার তো ভাত প্লেটে নিয়ে তরকারী নিবো তখন মনে হলো... কিন্তু একটু বড় হওয়ার পর ভুলেও ভুলিনা যে আমি রোযা রেখেছি। মাঝে মাঝে এমন পানি পিপাসা লাগতো! তখন মনে হতো একটু ভুলে গেলে তো পানিটাও খেতে পারতাম আবার রোযাটাও হয়ে যেত। এখন অবশ্য আল্লাহর রহমতে কষ্ট হয়না এইবার অনেক্ষণ আজাইরা প্যাচাল পারলাম, এখন ইট্টু কামের কথা কৈ। পুরা রমজান মাসের রোযা পালন করা প্রত্যেক সুস্থ ও বিবেকবান মুসলমানের জন্য ফরয। ইচ্ছাকৃত রোযা ভাংলে কাযা ও কাফফারা আদায় করে নিতে হবে।

রোযার কাফফারা আদায় করতে হবে একটানা ৬০টা রোযা রেখে আর এতে অক্ষম হলে ৬০ জন মিসকীনকে দুইবেলা খেতে দিয়ে। গীবত, মিথ্যা বলা, গালিগালাজ করা, সিনেমা ও গান বাজনায় লিপ্ত থাকা, নামায কাযা করা, ইচ্ছাকৃতভাবে নামায জামাতের সাথে না পড়া, সুদ-ঘুষ গ্রহণ করা, ধোকা দেয়া সহ যে কোন ধরণের গোনাহ রোযার সওয়াব কমিয়ে দেয়, বরকত ও ফযীলত হ্রাস করে। আমাদের অনুধাবন করা উচিত যে, যেখানে দিনে খাওয়া নিষেধ এবং আমরা এজন্য দিনে খাইনা, সেখানে যেসব কর্মকান্ড রোযার আগেও নিষিদ্ধ ছিলো তা রোযা অবস্থায় পরিহার করা কতটা গুরুত্ব রাখে! আমাদের রোযা যেন নিছক উপবাসে পরিণত না হয়, আমরা যেন এই এক মাসে নিজেদের শোধরাতে পারি আর এই শুদ্ধতা যেন বাকী ১১ মাস কাজে লাগাতে পারি, আল্লাহ আমাদের সে তৌফিক দান করুন। আমীন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.