আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশ ভ্রমণেও পিছিয়ে নেই বিরোধীদলের এমপিরা

অধিবেশনে অনুপস্থিত থেকে জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করে রাখলেও সংসদীয় কোটায় বিদেশ সফরে পিছিয়ে নেই প্রধান বিরোধীদল বিএনপির সংসদ সদস্যরা। বর্তমান সরকারের আমলে ১৪টি প্রতিনিধিদলের হয়ে বিএনপির ১৬ জন সংসদ সদস্য বিদেশ সফর করেছেন। এছাড়া প্রত্যেক সংসদ সদস্য বেতন-ভাতা, চিকিৎসা, গাড়ির জ্বালানি তেল খরচ, বাড়িভাড়াসহ প্রতিমাসে মোট আর্থিক সুবিধা পান এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। সংসদীয় কমিটির সভাগুলোতে উপস্থিত হলে ১০ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন। সংসদে উপস্থিত না হয়েও এই আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন।

রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করতে তারা দ্বিধা করছেন না। অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে রাষ্ট্রের টাকা ব্যয় করা হলেও বাস্তবে এই অভিজ্ঞতা কোন কাজে আসে না বলে অভিযোগ রয়েছে সংসদীয় কোটায় বিদেশ সফরে পিছিয়ে নেই বিএনপির সংসদ সদস্যরাও। বর্তমান সরকারের আমলে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক যুক্তরাজ্য, সংসদ সদস্য আবদুল মোমিন তালুকদার ৩টি দেশ, জেডআইএম মোস্তফা শ্রীলঙ্কা, আমজাদ হোসেন ইঞ্জিনিয়ার, নজরুল ইসলাম মঞ্জু যুক্তরাজ্য, এমকে আনোয়ার শ্রীলঙ্কা, ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন যুক্তরাষ্ট্র, আবুল খায়ের ভূঁইয়া যুক্তরাজ্য, এবিএম আশরাফউদ্দিন নিজাম অস্ট্রেলিয়া, মোজাহের আলী প্রধান ও হারুনুর রশিদ থাইল্যান্ড, রেহেনা আক্তার বানু জার্মানি, সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া সুইজারল্যান্ড, রাশেদা বেগম হীরা থাইল্যান্ড ও নিলুফার চৌধুরী মণি ডেনমার্ক সফর করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করলেও অর্থের যোগ আছে এ রকম জায়গাতেই যোগ দিচ্ছেন বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা। বিদেশ সফর ও নানা ধরনের আর্থিক সুবিধা পেতে তারা জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ে তদবিরও করছেন।

তবে বিষয়টি নৈতিকতাবিরোধী নয় মন্তব্য করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক জানিয়েছেন, এটা তো সংসদ সদস্যদের ন্যায্য অধিকার। জাতীয় সংসদে না গেলেও বিদেশ সফর ও ভাতা নিতে কোন সমস্যা নেই। তিনি জানান, সংসদে যোগ দেয়ার জন্য বিএনপি সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু সরকারি দলের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণেই সংসদে ফেরা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংসদ সচিবালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা 'সংবাদ'কে বলেন, বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে না গিয়ে সংসদকে অকার্যকর করে রাখলেও সংসদীয় কোঠায় নিয়মিত বিদেশ সফর করে ব্যক্তিগত এবং দলীয় ফায়দা হাসিল করছেন।

রাষ্ট্রের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করলেও তাদের এই ভ্রমণ রাষ্ট্রের কোন কাজেই আসছে না। তারা মনে করেন, অত্যাবশ্যকীয় সফরগুলো ঠিক রেখে সংসদ সদস্যসহ অন্য ভিআইপিদের বিদেশ সফর নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। এতে সংসদ সচিবালয়ের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রুটিন কাজগুলোও সময়মতো সম্পন্ন হবে। এ বিষয়ে সংসদ কমিটির সভাপতি ও সরকারি দলের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, সংসদে আসার মতো যথেষ্ট পরিবেশ বিদ্যমান। এরপরেও তারা সংসদে যোগ দিচ্ছেন না।

সংসদে না এসে তারা বিদেশ সফর ও অন্যান্য ভাতা নিচ্ছেন এটা কতটা যৌক্তিক তা জনগণই বিচার করবে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।