আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদিবাসী সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

নিজেকে আদিবাসী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমাদের জাতিস্বত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই! কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য সোচ্চার। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সবার অধিকার সমান। এই কথাটা সাধারণত উঁচু গলায় বলেন দেশের কিছু রাজনীতিবিদ।

আদৌ বাংলাদেশ কেমন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সেটা বুঝতে পারি, যদি কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের দিকে নজর দিই। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে অবাক হয়েছি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আদি বাসী হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে বরং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায়! পাহাড়ের প্রাণ এই নৃগোষ্ঠীরা সেই জন্মলগ্ন থেকেই অবহেলিত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশই হচ্ছে এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। ডিজিটাল বাংলাদেশ কি গড়া সম্ভব হবে এই ২ শতাংশ নৃগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে? সমাজের কোনো এক গোষ্ঠীকে তাদের ন্যায্য অধিকার না দিয়ে বা তাদের পেছনে ফেলে কখনো সার্বিক উন্নতি হতে পারে না। রাষ্ট্রের সংবিধানে বর্ণ, ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সব জনগোষ্ঠীর মানুষের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও পরিচয়কে ধারণ করাটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু সরকার সেটা না করে জাতি পরিচয়ে বাঙালি অভিহিত করে আদিবাসীদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছেন। কেননা উপজাতিরা নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশি, কিন্তু জাতি হিসেবে বাঙালি নয়। চাকমা অথবা মারমা একেকটি স্বতন্ত্র জাতি। একজন চাকমা কখনোই নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দেবে না, কিন্তু তারা বাংলাদেশেরই নাগরিক। অন্যদিকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের উপজাতি হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এ জনগোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।

একটি ভৌগোলিক রাষ্ট্রের সীমারেখার মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের ও ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে। একই ভূখণ্ডের মধ্যে কাউকে সুযোগ বেশি বা কম দিয়ে কোনো বৈষম্য সৃষ্টি করে কখনোই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। বরং আদিবাসী হিসেবে পরিচিতি দেয়াই হবে তাদের প্রতি সরকারের সবচেয়ে স্বাধীন ও সম্মানজনক দৃষ্টিভঙ্গি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.