আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গিনেস বুকে শতবর্ষী যমজ বোন ইনা ও লিলি

ছায়া-মানব ইনা পাগ এবং লিলি মিলওয়ার্ড যমজ বোন। গিনেস রেকর্ড বুকে নতুন করে নাম লিখিয়েছেন এ দুই বোন। তাদের বয়স এখন ১০০। বর্তমান বিশ্বে যমজদের মধ্যে তাদের বয়সই সবচেয়ে বেশি। গিনেস বুকে নাম লিখিয়ে দারুণ খুশি তারা।

‘এটা সত্যিই অন্যরকম এক ভালো লাগা। আমরা প্রচুর হাসি এবং সবসময় মজা করি। এটাই আমাদের এ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার গোপন রহস্য। ’ বিবিসি জানায়, ব্রিটেনের ব্রিকন শহরের অদূরে পাওসে নিজেদের ঘরেই বসবাস করে বিশ্ব রেকর্ডধারী এ দুই বোন। কৃষক বাবার সন্তান এ দুই বোনের জন্ম ১৯১০ সালের ৪ জানুয়ারি।

রানী ভিক্টোরিয়ার ছেলে সপ্তম অ্যাডওয়ার্ড ছিলেন তখন ব্রিটেনের রাজা। ফরাসি যমজ বোন রেমন্ডি এবং লুসিনীর কাছ থেকে এ বিশ্ব রেকর্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন ইনা এবং লিলি। রেমন্ডি ও লুসিনীর বয়স এখন ৯৮। সবচেয়ে বয়স্ক যমজের রেকর্ড তাদেরই ছিল। এ রেকর্ড অন্যের ঘরে চলে যাওয়ায় কোনো দুঃখবোধ নেই তাদের।

ইনা ও লিলির মতো তারাও যেন বেজায় খুশি। নতুন এ রেকর্ডের পর ফরাসি যমজ দুই বোন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা ভাবতে খুবই ভালো লাগছে যে, আমাদের চেয়েও বয়স্ক যমজ পৃথিবীতে আছে। আমাদের রেকর্ডটি তাদের ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ’ গিনেস বুকে নাম লেখানো লিলি এখন বড় মা (দাদি মা)। তার আনন্দের কোনো শেষ নেই।

তাদের এ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার রহস্যের কথা জানাতে ভোলেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই বোন প্রচুর হাসি এবং একে অন্যের সঙ্গে সবসময় মজা করি। ’ লিলি মিলওয়ার্ডের মেয়ে ডায়ানি পাওয়েল জানিয়েছেন, যমজ এ দুই বোন এখনও বাসেন ওঠেন লাফ মেরে। প্রতি শুক্রবার বাসে চড়ে তারা শপিংয়ে যান। শপিং শেষে একসঙ্গে বসে চায়ের কাপে খোশ গল্পের রীতিমতো ঝড় তোলেন তারা।

তিনি বলেন, ফার্মে আমরা সারাদিন একসঙ্গে কাজ করতাম। তবে কাজকে আমরা সবসময় উপভোগ করেছি। দারুণ মজা করতাম একত্রে। আমাদের সৌভাগ্য, কখনোই আমাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়নি। যমজ দুই বোন প্রতি রাতে একে অন্যের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

আজ দুই বোনের বয়স হবে ১০০ বছর ১০ মাস। গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে তাদের বার্থ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এ জন্ম সনদ যাচাই-বাছাই করে সঠিক বলে গ্রহণ করেছে। ডায়ানি পাওয়েল তার প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেন, বিশ্ব রেকর্ডধারী যমজ এ দুই বোনের আনন্দ দেখে আমরাও আনন্দিত। তারা কানে খুব একটা শুনতে পান না।

তবু তারা কে কী বলছেন তা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেন। ইনা ও লিলির বাবা-মা ছিলেন চার্লস ও লরা। প্রথমে জন্ম হয় ইনার। এর কয়েক মিনিট পর জন্ম হয় লিলির। চার্লস-লরা দম্পতির ছিল ১০ সন্তান।

শুধু যমজ মেয়ে নয়, তাদের যমজ ছেলেও ছিল। তবে ইনা আর লিলি ছাড়া এখন আর কেই বেঁচে নেই। ইনা বিয়ে করেছিলেন রেলওয়ে কর্মকর্তা আইভরকে। ২০ বছরেরও বেশি আগে মারা গেছেন আইভর। ইনার নাতনি জেনি তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য, শুধু যে তাদের ১০০ বছর সে জন্য নয়, তারা এখনও কারও ওপর নির্ভরশীল নন।

তারা নিজেদের ঘরেই থাকেন। ইনার এখন ১০ জন নাতি-নাতনি এবং তিনজন পুতি (নাতি-নাতনিদের সন্তান) রয়েছে। লিলি বিয়ে করেছিলেন ইভানকে। ইভান ছিলেন ব্যবসায়ী। ইভানও মারা গেছেন ২০ বছর আগে।

লিলির রয়েছে ৫ নাতি-নাতনি এবং ৯ পুতি। তিনি গত ৬০ বছর ধরে নিজের সেই ছোট্ট ঘরটিতেই বসবাস করছেন। নিজের সব কাজ করেন তিনি নিজেই। আগুন জ্বালানোর জন্য এখনও তিনি কাঠ সংগ্রহ করেন। এমনকি কয়েক বছর আগেও তিনি মুরগি পালতেন।

তথ্য সুত্রঃ দৈনিক আমারদেশ ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.