আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একালের সেরা নেতা - ভ্লাদিমির পুতিন: Road To Leader (১ম পর্ব)

আমি সেই সব লোকদের পছন্দ করি, যারা চিন্তা করতে পারে,অপেক্ষা করতে পারে এবং বিরত থাকতে পারে।
"আমাদের উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পরিষ্কার - শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং উচ্চ জীবনমান, স্বাধীন ও নিরাপদ রাশিয়া। " - এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে " Quick Learner " খ্যাত চৌকশ রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির পুতিনের পথ চলার এক দশক অতিক্রান্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার "সুপার পাওয়ার" যাকে বলা হয় তিনি হচ্ছেন, দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন। নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পুতিনের কর্ম জীবনে মোড় নেয়।

গোয়েন্দা এজেন্ট থেকে তিনি প্রবেশ করেন রাজনৈতিক জীবনে। অসাধারণ মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর প্রমাণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে হলেন প্রেসিডেন্ট। এর পর হলেন প্রধানমন্ত্রী। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লেলিনগ্রাদ, যা বর্তমানে সেইন্ট পিটাসবুর্গ নামে পরিচিত, সেই শহরে ১৯৫২ সালের সাত অক্টোবর জম্মগ্রহণ করেন ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরভিচ পুতিন, এক লোহা কারখানার ফোরম্যান ও গৃহিনী মায়ের ঘরে। "Descriptively observing & learning , never revealing personal ambitions." এই জীবন দর্শনের উপর ভিত্তি করেই আজকের পুতিন হয়ে ওঠা তাঁর।

২০০২ ও ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত এই নেতা সদ্য সমাজতন্ত্র পতিত রাশিয়ার রাজনৈতিক স্হিতিশীলতা,দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রভূত সুনাম অর্জন করেছিলেন। মাত্র সিক্স ক্লাসে থাকার সময়ে Sambo ও Judo তে ভর্তি হন এবং ১৬ বছর বয়সে সাদা/রেড বেল্ট অর্জন করেন - যিনি বিশ্বের রাষ্ট্র নেতাদের মধ্যে প্রথম হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন, পরবর্তিতে টোকিয়তে ২০০০ সালে তার দক্ষতা প্রদর্শন করেন। "Teen" নামক একটি Spy Movie দেখে তৎকালীন কেজিবি তে যোগদান করতে উদ্বুদ্ধ হন - যদিও তিনি লেখাপড়া করেছেন আইন বিষয়ে লেলিনগ্রাড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। অর্থনীতিতে ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেছিলেন তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে যা ছিল কমিউনিস্ট শাসনাধীন।

সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট বরিশ ইয়েলৎসিনের অত্যন্ত আস্থাভাজন ছিলেন পুতিন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে - এই কেজিবি ই তাকে পরবর্তিতে রাজনীতিতে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছিল ব্যাপকভাবে। প্রচন্ডরকম দেশপ্রেমিক এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্লিন পতনের সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে সৈন্য চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর দেশ তা দেয়নি। সেই থেকেই সে মনে করতে থাকে মাতৃভূমি তাঁর সাথে প্রতারনা করেছে। তখনই সে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয় সোভিয়েত বাসীর মুক্তির সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করার।

পরিবর্তিত পরিস্হিতিতে খাপ খাওয়ানোর ও পরষ্পর বিরোধী দায়িত্ব পালনে অসামান্য দক্ষতা থাকার দরুণ বিভিন্ন চরাই - উৎড়াই পেরিয়ে দীর্ঘ এক রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক পথ পাড়ি দিয়ে যাচ্ছেন সফলতার সাথে। পিটার্সবার্গ মেয়রকে সমর্থনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে মেয়রের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ১৯৯০ সালে। কিন্তু ধীশক্তিসম্পন্ন এই মানুষটি অচিরেই বুঝতে পারেন তার আরও বৃহৎ কর্মের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে রাশিয়ার হারানো গৌরব পূণরুদ্ধার করতে হলে। রাষ্ট্রের মূল কার্যক্রমের সাথে জড়িত হতে ১৯৯৭ সালে মস্কোতে প্রেসিডেন্টসিয়াল প্রপার্টি ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। এফ এস বি তে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

ইয়ালৎসিন সরকারের বিভিন্ন দায়িত্ব দক্ষতা,চৌকশতা ও বিশ্বষত্বার সাথে পালন করার পর ১৬ই আগষ্ট ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইয়ালৎসিন তাকে নিয়োগ প্রদান করেন। চলবে..........
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।