আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাঁটা



"দেখোনা বাবা সুস্ময় , কালকে থেকে মেয়েটার জ্বর তার মাঝে আজকে ভাত খেতে গিয়ে গলায় কাঁটা বিধে বসে আছে। এদিকে ছেলে পক্ষ আজকে বিকালে নাকি আসবে বহ্ণিকে দেখতে , কি যে করি?"বহ্ণির মা বিভা কথাগুলো বলতে বলতে সুস্ময়ের খাটে বসে পড়লেন। চিন্তায় তার সদা হাস্যমুখ এতটুকু হয়ে গেছে। সুস্ময় তার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল "মাসী তুমি এত চিন্তা করছ কেন? সব ঠিক আছে" । "চিন্তা কি আর এমনি এমনি করি, ওকে রেখে ওর বাবা কোথায় চলে গেল, এতগুলো বছরেও কোন খোজ পেলাম না।

ওকে নিয়ে যখন এই শহরে আসলাম পরিচিত বলতে কেবল ছিল তোমার বাবা আমার পাড়াত দাদা। কিন্তু দাদা আর বৌদি কোনো দিন বুঝতে দেননি যে আমরা তোমাদের পর। বহ্ণি পড়াশোনা করল, একটা চাকরীও জুটে গেল, এখন ওর একটা বিয়ে দিতে পারলেই আমার শান্তি। মনে আছে আমি যেদিন তোমাদের বাসায় আসলাম ও তোমার খেলনা পিস্তল ধরতেই সেটা ভেঙে গেল। " " আর আমি বহ্ণির গলা টিপে ধরে ছিলাম" হাসতে হাসতে সুস্ময় বলল।

" আরেহ তখন ত তুমি ছোট ছিলে, জানো বাবা আমি মাঝে মাঝে ভাবতাম তোমাদের মাঝে যদি ., আচ্ছা বাদ দাও আমরা ওবাড়িতে চলে গেলে তোমাদের সাথে আর তেমন যোগাযোগ থাকল কৈ?, মেয়েকে দেখতে আসবে এই বলেই না তোমাকে আর বৌদিকে নিয়ে আসা। যাই হোক সবই তার ইচ্ছা। " " আচ্ছা আমি একটু দেখে আসি ওকে। " খাট থেকে নামতে নামতে বলল সুস্ময়। " আরে সুস্ময়দা এস এস, দেখনা একে ত জ্বর তার ওপর গলা ব্যথা , কিযে অলুক্ষণে আমি।

" ওকে ঘরে আসতে দেখে বহ্ণি মন খারাপ করে বলতে লাগল। " আরে এসব কি কথা জ্বর কি বলে কয়ে আসে নাকি, আর গলার কাঁটা.------" এই বলে ছোট্ট করে একটু হাসল সুস্ময়। " মনে আছে আমি ছোটবেলায় তোর গলা টিপে ধরলে তুই হি হি করে হেসে ফেলতি, আমি তখন থেকে ভাবতাম আমি বুঝি সারা জীবন তোকে এভাবেই হাসাতে পারব" এই বলে সুস্ময় খুব আলতো করে বহ্ণির গলায় হাত দিয়ে বলল " সত্যি করে বল তো কাঁটা টা কি তোর গলাতে নাকি তোর মনে?"

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।