আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপানের ভূমিকম্প



আমি জাপানের টকিও জিলার মাচিদা শহরে বসবাস করতেছি।এখানে প্রথম ভূমিকম্প হয় ২০১১/৩/১১ তরিখ এ প্রায় ২টা বেজে ৪৬ মিনিট এ ভিডিও ,আর তখন থেকেই ভূমিকম্প শুরু হয়েছে এখন প্রায় ৭৩ ঘন্টা চলতেছে এখনো মাঝে মাঝে কম্পন হচ্ছে।আমার এই এলাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি তবে বিদ্যুত ছিলনা বিকেল ২:৪৬ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত,কোনো যোগাযোগ করার উপায় ছিলনা মোবাইলেও নেটওয়ার্ক ছিলনা আর এখনো ঠিকমতো নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না,আমি প্রথম, দেশে খবর জানাতে পেরেছি মেইল এর মাধ্যমে, আর মেইল এর উত্তর পেয়েছি অনেক পরে,ভাগ্য ভালো আমার মেইলটা তখন তাড়াতাড়ি পেয়েছে, না হয় দেশের লোকজন অনেক চিন্তিত থাকতেন,আমি আমার পরিচিত এখানে যাদের খোজখবর নিতে পেরেছি তাদের খবর ও দেশে জানিয়েছি।আমি যেই ভিডিওটি করেছি এইটা প্রথম ভূমিকম্পন থেকে প্রায় ১০মিনিট পরের,আর এর মাঝে কিছু জাপান এর ভাষা ও বলেছি,আমি যখন ভিডিও টি করছিলাম তখন রেডিও ও শুনতেছিলাম আর তখন অন্য জিলাগুলোতেও ভূমিকম্প হচ্ছিল।আমি ভিডিওতে যে কথাগুলো বলেছি তা লিখে দিচ্ছি "এখন চিবা জিলায় ভূমিকম্প হচ্ছে আবার এখানেও হচ্ছে,ঠিক যেভাবে ক্যামেরা নড়াচড়া করছে সেইভাবেই ভূমিকম্প হচ্ছে,যে শব্দ গুলো হচ্ছে সব ভূমিকম্পনের কারনে শব্দ,এখনো নড়াচড়া করতেছে,এখনো নড়াচড়া করতেছে, এখনো নড়াচড়া করতেছে,ক্যামেরাটা সরিয়ে দেখি,আবার শুরু হইতেছে" এরপর আর কাজ করা হয়নি সবাই বাসায় চলে এসেছি,বাসায় এসে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো ছিলো কারেন্ট ছিলোনা,আর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি আর একটি কারন এই বাড়িটি আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি তাই ক্ষতির পরিমান কম,এই হলো আমর নিজের কথা।আর অনেকেই হয়ত দেখতেছেন টেলিভিশন বা নেট এ এখানে কি ঘটেছে,এখনো অনেক কিছুই বাকি আছে যা এখানে না এসে দেখলে বুঝানো কঠিন।একজন বাবার চোখের সামনে থেকে পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তার সম্পূর্ন পরিবার,একজন লোক ঘরের চাল এ বসে সাহায্য চাইছে,বিল্ডিং এর ছাদে "হেল্প" লিখে আরও অনেক উপায়ে সাহায্য চাইছে মানুষ,এমন দৃশ্য শুধু সিনেমাতেই দেখেছি।বাকি খবর পরে লিখতেছি.........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।