আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপানের ডায়েরী-২৬

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
আগের পর্বঃ জাপানের ডায়েরী-২৫ রান্না নিয়ে আজকের পোষ্ট। দেশে থাকতে রান্না ভুলেও করি নাই, প্রবাসে আসার আগে আম্মা বারবার বললেন, রান্না শিখে নিতে। আমি বলেছিলাম বিড়াল ঠেলায় পড়লে গাছে ওঠে, হয়েছেও তাই, এখন রান্না বেশ আয়ত্বে এসেছে। নিজের বানানো রেসিপি দিয়ে নিজে রান্না করে নিজেই অবাক।

যদিও ওয়েবক্যামে দেখিয়ে আমার আম্মাকে বিশ্বাস করাতে হয়েছে, যে কিছুটা হলেও পেটে দেবার মত রান্না পারি। যা হোক এবার আসল কথায় আসি। ল্যাবে আসার সময় ফুড ক্যারিয়ারে লাঞ্চ আর ডিনারের জন্য একসাথে আনি। তরকারি রান্না করি সবসময় ১ সপ্তাহের। দুই আইটেমের তরকারি।

একটা লাঞ্চ আর একটা ডিনারের জন্য। আমার ফুড ক্যারিয়ারে ৩টা বক্স। বড়টায় দুবেলার ভাত, আর ছোট দুই বক্সে দুবেলার তরকারি। মাঝে মাঝে শুকনা তরকারি হলে ডাল আনি আর এক বক্সেই দু আইটেম নেই, মাঝে মাঝে সব একাকার হয়ে হাইব্রীড টেষ্ট হয়। এজন্য ছোট ড্রিংসের বোতলে ডাল আনি আর বাকি দুই বক্সে আলাদা আলদা তরকারি।

এসেই ল্যাবের ফ্রীজে রাখি। ভালোই চলছিলো, আজ সকালে ডাল দেখি ঝোল শেষ হয়ে সব সলিড পার্ট পাতিলে, তাই সকালে পানি দিয়ে আর একটু জাল দিয়ে ল্যাবে আনলাম, যেহেতু গরম ডাল তাই লাঞ্চের আগ পর্যন্ত বাহিরে রেখেছিলাম, এরপর লাঞ্চ করে ফ্রীজে ডাল রেখে প্রোফেসরের রুমে গেলাম সাপ্তাহিক মিটিং এ। ল্যাবে ফিরে দেখি আমার এক ল্যাবমেট কাচুমাচু করছে আমাকে দেখে। কাছে এসে বলছে, আমি মনে হয় একটা মিসটেক করে ফেলেছি (ব্যাটা আকাম করেও এখনো শিওর না ) বলে," তুমি ড্রিংসের বোতলে কারি জুস রাখছিলে, আমিতো ভাবছিলাম হলুদ রং হইছে, হয়ত নষ্ট তাই ফেলে দিছি, কিন্তু পরে দেখি কারির গন্ধ পাচ্ছি। আমি স্যরি" --কি আর বলবো, বেচারা স্যরি বলা দেখে আমিও ডিনারের শুকনা ভুনা দিয়ে ভাত খাওয়ার কষ্ট ভুলে গেলাম বিশেষ করে "কারির জুস"শব্দের জন্য শেষে আমার রান্নার একটা ছবিঃ চলবে..........!
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।