আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খোলা তরবারির নিশানায় এখন আর ঈশ্বর খেলা করে না

উচিৎ কথা কইতে গেলেতো বলবেন হাজী সাহেবের মুখ খারাপ ওরা কি মানুষ? ৭১ দেখিনি কিন্ত ২০১৩ কি বলে? ওরা কেন এভাবে ঝাপিয়ে পড়ছে আমার দেশ ও দেশের সংবিধান আর বিচার ব্যবস্থার বিপক্ষে? ওরা কি জানেনা যে ঐ জানোয়ার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার মেনোফেস্টো নিয়ে সংখ্যাগরিস্ঠতার ভিত্তিতেই এই সরকার গঠিত হয়েছিল। ঐ রাজাকার ধর্মান্ধদের পক্ষে যেসব শিক্ষিত মানুষ কলম ধরে তারা কি কোনদিন কলম ফেলে রাস্তায় নামছে? না, ওরা নামছে না। ওরা উস্কে দিচ্ছে, ওরা রাস্তায় নামাচ্ছে কিছু সহজ সরল মস্তিস্ক ধোলাই আমজনতাকে ধর্মের মূলা ঝুলিয়ে, মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী নিয়ে ওরা জীবন দিয়ে দিতেই যেন ঝাপিয়ে পড়ছে। কিন্তু হেমলক বিষ পানে এই আত্ব্হত্যায় দুনিয়ার বুকে যেমন কোন সম্মান নেই, তেমনি আখেরাতেও ওরা বাতিলের খাতায়ই থাকবে। ঈশ্বর কি এতই বোকা যে কিছু ধর্মান্ধ বিকৃত রুচির মানুষ দিয়ে স্বর্গ ভরাবে? আজ মানুষ যতই সভ্য হচ্ছে, জ্ঞান গরিমায় উচ্চাসনে যাচ্ছে ততই ঈশ্বরের স্বরুপ উদ্ভাবন করতে পারছে।

খোলা তরবারির নিশানায় এখন আর ঈশ্বর খেলা করে না। খুন রাহাজানি ধর্মের নামে বিভৎসতা আর অসভ্যতা যে ঈশ্বর পছন্দ করতেন না, করেন না এবং করবেন না তা একেকটা ধর্মান্ধ মানুষের মসজিদ মন্দির কিংবা বিপক্ষ দল বা মতের মানুষের দিকে তেড়ে যাওয়ার অবয়ব দেখলেই বোঝা যায়। সভ্যতার ক্রমবিকাশে আজ মানুষ যখন হানাহানি বাদ দিয়ে, ক্ষুদা দারিদ্র কে জয় করে, সত্যকে উম্মোচনে জ্ঞান বিজ্ঞানে বলিয়ান হয়ে, মানুষের অধিকার আর মতকে উচ্চাসনে অধিস্ঠিত করে, ধনী দরিদ্র, সাদা কালো, দাস প্রভুর ভেদাভেদ আর গ্লানি মুছে দিয়ে সুখ শান্তি আর সমৃদ্ধির সমাজ গড়ছে তখনই তো ঈশ্বর সেসব মানুষের অন্তরে বাস করতে শুরু করছে আপন মহিমায়। যেই মানুষটা শান্তির পায়রাকে হত্যা করে দাঁ বল্লম কিংবা খোলা তরবারি নিয়ে আরেকটা মানুষকেই তাড়া করছে, তার অন্তরে আর যাই হোক ঈশ্বর বসত করে না। সেখানে বসত করে শয়তান, আর বিভৎস ঈশ্বররুপী ঐ শয়তানকে তাদের অন্তরে বসাচ্ছে ধর্মান্ধ কিছু পৈসাচিক জানোয়ার যারা ধর্মের নামে বর্বরাতাকেই মানব সভ্যতার রক্ষাকবচ বানাতে চায়।

এইসব ধর্মান্ধ বর্বরদের কালো থাবা আজ সমাজের অনাচে কানাচে, মানুষের মনের দুর্বলতা অশিক্ষা আর কুশিক্ষার সুযোগ নিয়ে এরা ধর্মের নামে পাষন্ড বর্বর তৈরি করার নেশায় মত্ব, শান্তি আর সভ্যতা থেকে ওরা যোজন যোজন দূরে, ওরা ঈশ্বরের অভিসপ্ত পুত দুর্গন্ধময় এক কীট (শয়তান) যারা আমৃত্য শান্তি আর সমৃদ্ধির পথে অন্তরায় হয়ে মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরির আদিম খেলায় মত্ব রবে। এখনো সময় আছে, ঐসব ধর্মান্ধ জানোয়ারদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার, বেরোতে হবেই আমাদের। এখনই একটা ভাল সময়, ঐ ধর্মান্ধ জানোয়ারদের সরুপ উম্মোচন করার, ঐ ধর্মান্ধ হায়েনাদের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষা করার। এই যুদ্ধে যদি আমরা হেরে যাই তবে সব নষ্টদের অধিকারে চলে যাবে, বর্বরদের চারনভূমি হবে এই বাংলা, বস্তাবন্দি করা হবে আমাদের অধিকার, মুক্ত বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া হবে অভিশাপের বিষবাস্প, মধ্যযুগিয় মঙ্গাক্রান্ত এক বর্বর জমিন হয়ে উঠবে আমার দেশ। পূনশ্চ: শেষ কটা লাইন না লিখলেও হতো, দেশ কখনোই ঐ বর্বর ধর্মান্ধদের হাতে যাবে না।

ওরা যুগে যুগে পরাজিত শক্তি। সভ্যতা যতই আগাবে ততই ওরা আস্তাকুড়ে নিপতিত হবে। তবে এই প্রজন্মই যদি পারি এই বর্বরদের বিষবাস্প থেকে স্বদেশকে রক্ষা করতে, তবে শান্তি আর সমৃদ্ধির পথে আমরাই হবো অগ্রগামী। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।