আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে জান্নাতে যাবে



কে জান্নাতে যাবে 'কার্টুনিষ্ট কার্লোস কি জান্নাত পাবেন? ইসলামী পন্ডিতদের কাছে প্রশ্ন' শিরোনামে চৌধুরী শামীম প্রশ্ন রাখেন, কার্টুনিস্ট কার্লোস ফিলিস্তিন জনগণের উপর কার্টুন একে আলেমদের চেয়ে অনেক বেশি খেদমত করেছেন। তাই তিনি জান্নাত পাবেন কিনা? সেখানে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন, যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন, ফান করেছেন। আমি সেখানেই উত্তর দিতে পারতাম। কিন্তু সেই ব্লগের মন্তব্যকারী ব্লগার ও সম্পূর্ণ নতুন পাঠকের কথা বিশেষভাবে বিবেচনা এনে আমার অনুভূতি আলাদা করেই দিলাম। এটার সঠিক উত্তর আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।

আমি প্রথমেই বলে রাখছি আল্লাহই সব কিছু ভালো জানেন। তিনিই ভালো জানেন কে জান্নাতী আর কে জাহান্নামী। তবে যদি কোনো প্রকার যুতসই তথ্য প্রমাণ দলিল দস্তাবেজ পাই তাহলে পরবর্তীতে ব্লগে দেবার ইচ্ছা রাখি। বলেছি, আল্লাহই ভালো জানেন কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে। আমরা জানি না কার্টুনিস্ট কার্লোস জান্নাতী না জাহান্নামী।

তবে ফিলিস্তিন জনগণের জন্য কাজ নিপীড়িত জনগণের পক্ষেই যাবে। মি. কার্লোস কি উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন তা তো তিনিই জানেন, তার অন্তর আমরা জানি না। নিঃসন্দেহে দুনিয়ায় কারো ভালো কাজের জন্য আমরা কাউকে প্রশংসা করতে পারি। এতে অন্যেও উৎসাহিত হয়। মানুষের জন্য কাজ করা অবশ্য ভালো কাজ।

কার্লোস মানুষের জন্য মানবতার জন্য কাজ করেছেন হয়তো। তিনি হয়তো চেয়েছেন শান্তিপূর্ণ বিশ্ব। শোষণ অত্যাচারমুক্ত বিশ্ব। তার প্রকৃত মনের খরব আমরা জানি না। তিনি আখেরাত সম্পর্কে জানেন কিনা সেটাও আমরা জানি না।

যে আখেরাত সম্পর্কে জানে না বা বিশ্বাস করে না তার কাছে জান্নাত কি আর জাহান্নাম কি। কার্লোস নয়, এরকম যারা বিভিন্ন ভালো কাজ করছে তাদের ক্ষেত্রেও তো শামীম সাহবে একই প্রশ্ন তুলতে পারেন। আমরা তো জানি না শামীম সাহেবের প্রশ্নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে। আসলে মানুষে অন্তর সম্পর্কে আল্লাহ সবই জানেন। তিনি কার্লোসের উদ্দেশ্য যেমন জানেন তেমনি শামীম সাহেবের উদ্দেশ্যও জানেন।

আমার উদ্দেশ্যও জানেন। যারা এই লেখা পড়বে বা পড়বে না সবার সব কাজের উদ্দেশ্যই তিনি জানেন। সহীহ বুখারী শরীফের প্রথম হাদিসই হচ্ছে, নিশ্চয় কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। যে, যে নিয়তে কাজ করবে সে তার ফল পাবে। জান্নাত জাহান্নাম আছে এটা তো বিশ্বাস করতে হবে।

বিশ্বাস ঈমানের অংশ। যার তিল পরিমাণ ঈমান আছে সে একদিন জান্নাতে যাবে বলে হাদিসে এসেছে। আর জান্নাত জাহান্নাম বিশ্বাসের একটি অংশ। যে আল্লাহ বিশ্বাস করে না এমন নাস্তিক কি কার্লোসের মতো কাজ করলে শামীম সাহেব প্রশ্ন করবেন তিনি জান্নাতে যাবেন কিনা। যে পরকালে বিশ্বাসী নয় বা পরকাল সম্পর্কে জানে না সে নিশ্চয়ই জান্নাত জাহান্নামে যাওয়া না যাওয়ার উপর ভরসা করে দুনিয়া কাজ করে না।

তার বোধ তাকে মানুষের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে ঠিকই কিন্তু আল্লাহর উপর বিশ্বাস তার আছে কিনা সেটা তো আল্লাহ ও সংশ্রিষ্ট ব্যক্তিই ভালো জানেন। একজন ব্যক্তিকে আল্লাহর অস্তিত্বকে অবশ্যই মানতে হবে। তাকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস আনতে হবে। আমরা জানি না কার্লোস মুসলমানদের প্রতি কতটুকু সহানুভূতিশীল ছিলেন। কার্লোসের মতো মানুষ মুসলমান দেখে হয়তো একাজ করেনি।

একাজ করতে তারা মুসলমান বিষয়টি হয়তো বিবেচনায় আনেননি। তিনি হয়তো জুলুম নির্যাতন, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছেন। আর বর্তমান বিশ্বে ফিলিস্তিনিরাই তো সব থেকে বেশি নৃশংস জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। কার্লোস হয়তো এর বিরুদ্ধে মানবতাকে উচ্চকিত করতে চেয়েছেন। তিনি হয়তো জুলুমকারী, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ফিলিস্তিনের বিষয়টি কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরতে বিবেচনায় এনেছেন।

তিনি পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে হয়তো প্রতিবাদ করেছেন। কার্লোসের মতো আরো কত শত ব্যক্তিই তো মানবতার জন্য কাজ করছেন। কার্লোসের মনের খবরও তো আমাদের অজানা। কাজেই জান্নাত আর জাহান্নামে কে যাবে না যাবে তা আল্লাহ যেমন ভালো জানেন তেমনি তিনি তা লাভের উপায়ও বলে দিয়েছেন। জান্রাতে যাওয়ার শর্তও বলে দিয়েছেন।

খুব স্বাভাবিক ভাবে একটি প্রশ্নও করতে পারি। এরকম লোক কি মৃত্যুর পর তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, তোর রব কে, তোমার কে, তোমার দ্বীন কি। আল্লাহ যেমন ভালো জানেন এ ব্যাপারে তেমনি তিনি যাকে খুশি তাকেই বেহেস্ত দিতে পারেন। সে ক্ষমতাও তার আছে। আমাদের এর উপরও বিশ্বাস করতে হবে।

'কার্টুনিষ্ট কার্লোস কি জান্নাত পাবেন? ইসলামী পন্ডিতদের কাছে প্রশ্ন' শিরোনামে চৌধুরী শামীম প্রশ্ন রাখেন, কার্টুনিস্ট কার্লোস ফিলিস্তিন জনগণের উপর কার্টুন একে আলেমদের চেয়ে অনেক বেশি খেদমত করেছেন। তাই তিনি জান্নাত পাবেন কিনা? সেখানে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন, যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন, ফান করেছেন। আমি সেখানেই উত্তর দিতে পারতাম। কিন্তু সেই ব্লগের মন্তব্যকারী ব্লগার ও সম্পূর্ণ নতুন পাঠকের কথা বিশেষভাবে বিবেচনা এনে আমার অনুভূতি আলাদা করেই দিলাম। এটার সঠিক উত্তর আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।

আমি প্রথমেই বলে রাখছি আল্লাহই সব কিছু ভালো জানেন। তিনিই ভালো জানেন কে জান্নাতী আর কে জাহান্নামী। তবে যদি কোনো প্রকার যুতসই তথ্য প্রমাণ দলিল দস্তাবেজ পাই তাহলে পরবর্তীতে ব্লগে দেবার ইচ্ছা রাখি। বলেছি, আল্লাহই ভালো জানেন কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে। আমরা জানি না কার্টুনিস্ট কার্লোস জান্নাতী না জাহান্নামী।

তবে ফিলিস্তিন জনগণের জন্য কাজ নিপীড়িত জনগণের পক্ষেই যাবে। মি. কার্লোস কি উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন তা তো তিনিই জানেন, তার অন্তর আমরা জানি না। নিঃসন্দেহে দুনিয়ায় কারো ভালো কাজের জন্য আমরা কাউকে প্রশংসা করতে পারি। এতে অন্যেও উৎসাহিত হয়। মানুষের জন্য কাজ করা অবশ্য ভালো কাজ।

কার্লোস মানুষের জন্য মানবতার জন্য কাজ করেছেন হয়তো। তিনি হয়তো চেয়েছেন শান্তিপূর্ণ বিশ্ব। শোষণ অত্যাচারমুক্ত বিশ্ব। তার প্রকৃত মনের খরব আমরা জানি না। তিনি আখেরাত সম্পর্কে জানেন কিনা সেটাও আমরা জানি না।

যে আখেরাত সম্পর্কে জানে না বা বিশ্বাস করে না তার কাছে জান্নাত কি আর জাহান্নাম কি। কার্লোস নয়, এরকম যারা বিভিন্ন ভালো কাজ করছে তাদের ক্ষেত্রেও তো শামীম সাহবে একই প্রশ্ন তুলতে পারেন। আমরা তো জানি না শামীম সাহেবের প্রশ্নের উদ্দেশ্য সম্পর্কে। আসলে মানুষে অন্তর সম্পর্কে আল্লাহ সবই জানেন। তিনি কার্লোসের উদ্দেশ্য যেমন জানেন তেমনি শামীম সাহেবের উদ্দেশ্যও জানেন।

আমার উদ্দেশ্যও জানেন। যারা এই লেখা পড়বে বা পড়বে না সবার সব কাজের উদ্দেশ্যই তিনি জানেন। সহীহ বুখারী শরীফের প্রথম হাদিসই হচ্ছে, নিশ্চয় কর্মের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। যে, যে নিয়তে কাজ করবে সে তার ফল পাবে। জান্নাত জাহান্নাম আছে এটা তো বিশ্বাস করতে হবে।

বিশ্বাস ঈমানের অংশ। যার তিল পরিমাণ ঈমান আছে সে একদিন জান্নাতে যাবে বলে হাদিসে এসেছে। আর জান্নাত জাহান্নাম বিশ্বাসের একটি অংশ। যে আল্লাহ বিশ্বাস করে না এমন নাস্তিক কি কার্লোসের মতো কাজ করলে শামীম সাহেব প্রশ্ন করবেন তিনি জান্নাতে যাবেন কিনা। যে পরকালে বিশ্বাসী নয় বা পরকাল সম্পর্কে জানে না সে নিশ্চয়ই জান্নাত জাহান্নামে যাওয়া না যাওয়ার উপর ভরসা করে দুনিয়া কাজ করে না।

তার বোধ তাকে মানুষের জন্য কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে ঠিকই কিন্তু আল্লাহর উপর বিশ্বাস তার আছে কিনা সেটা তো আল্লাহ ও সংশ্রিষ্ট ব্যক্তিই ভালো জানেন। একজন ব্যক্তিকে আল্লাহর অস্তিত্বকে অবশ্যই মানতে হবে। তাকে আল্লাহর উপর বিশ্বাস আনতে হবে। আমরা জানি না কার্লোস মুসলমানদের প্রতি কতটুকু সহানুভূতিশীল ছিলেন। কার্লোসের মতো মানুষ মুসলমান দেখে হয়তো একাজ করেনি।

একাজ করতে তারা মুসলমান বিষয়টি হয়তো বিবেচনায় আনেননি। তিনি হয়তো জুলুম নির্যাতন, অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছেন। আর বর্তমান বিশ্বে ফিলিস্তিনিরাই তো সব থেকে বেশি নৃশংস জুলুম অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। কার্লোস হয়তো এর বিরুদ্ধে মানবতাকে উচ্চকিত করতে চেয়েছেন। তিনি হয়তো জুলুমকারী, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ফিলিস্তিনের বিষয়টি কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরতে বিবেচনায় এনেছেন।

তিনি পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে হয়তো প্রতিবাদ করেছেন। কার্লোসের মতো আরো কত শত ব্যক্তিই তো মানবতার জন্য কাজ করছেন। কার্লোসের মনের খবরও তো আমাদের অজানা। কাজেই জান্নাত আর জাহান্নামে কে যাবে না যাবে তা আল্লাহ যেমন ভালো জানেন তেমনি তিনি তা লাভের উপায়ও বলে দিয়েছেন। জান্রাতে যাওয়ার শর্তও বলে দিয়েছেন।

খুব স্বাভাবিক ভাবে একটি প্রশ্নও করতে পারি। এরকম লোক কি মৃত্যুর পর তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, তোর রব কে, তোমার কে, তোমার দ্বীন কি। আল্লাহ যেমন ভালো জানেন এ ব্যাপারে তেমনি তিনি যাকে খুশি তাকেই বেহেস্ত দিতে পারেন। সে ক্ষমতাও তার আছে। আমাদের এর উপরও বিশ্বাস করতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.