আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপ্রাসঙ্গিক প্রলাপ

আমি নিজেকে বিলাতে চাই সকলের কল্ল্যাণের জন্য...............

গুরু আর শিষ্য বের হয়েছিল সফরে । এক দেশে গিয়ে তারা দেখে সব জিনিষের দাম সমান । এই দেখে গুরু আক্ষেপ করে বলেছিল এরই নাম মগের মুল্লুক । যে দেশে চিনি আর লবনের দাম সমান সে দেশে কোন বুদ্ধিমান লোক থাকতে পারেনা । পুরো গল্পটি হয়তো সবারই জানা ।

কিন্তু বড়ই দুঃখ ও চিন্তার কথা হচ্ছে আমাদের এই স্বপ্নের দেশটিও যেন সেরকমই একটি মগের মুল্লুকের রুদ্রমূর্তি নিয়ে প্রকাশ পাচ্ছে । না!এখানে লবন-চিনি কোনটার দামই কমছেনা বরং একশো মিটার স্প্রিন্ট এর মত দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত । কিন্তু কমে যাচ্ছে মানুষের জীবন আর ইজ্জতের মূল্ল্য । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা করা হলো মেধাবি ছাত্র আবু বকরকে । কয়েকদিন দেখা গেল কে বেশি শোকর‌্যালী,প্রতিবাদ,মানববন্ধন করতে পারে তার প্রতিযোগিতা ।

এরপর সব ঠান্ডা,যেন হিম হিম শীত শীত শীতবুড়ি এলোরে । গুরু শিষ্যের গল্পের শেষের একটু না শুনালেই নয় । সেই মগের মুল্লুকে দুই চোর গেছে এক বাড়িতে চুরি করতে । সিদ কেটে ঘরে ঢুকার সময় দেয়াল ভেঙ্গে মারা গেল এক চোর । অপর চোর রাজদরবারে মামলা করল বাড়িওয়ালার নামে ।

রাজা ধরে আনতে বললেন বাড়িওয়ালাকে । বাড়িওয়ালা এসে বলল তার কোন দোষ নেই,দোষ সব সেই রাজমিস্ত্রীর যে বাড়িটা বানিয়েছে । ধরে আনা হলো রাজমিস্ত্রীকে । সব শেষে দোষি সাব্যস্ত করা হল এক স্বর্ণকারকে । কিন্তু দেখা গেলো স্বর্ণকার খুব রোগা ।

তাই রাজা তার রাজ্য থেকে একজন মোটাতাজা লোককে ধরে এনে তাকে ফাসি দিতে বললেন । এই হল মগের মুল্লুকের বিচার ব্যবস্থা । কষ্টের কথা হচ্ছে আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থাও অনেকটা এমনি হয়ে যাচ্ছে । ফাসির আসামিদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করে খুনের অলিখিত কিন্তু সুস্পষ্ট লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে আর প্রতিদিন নিরীহ মানুষদের গ্রেফতার করে দাবি করা হচ্ছে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে । এ যেন সেই কবির মত যে অনেকক্ষন ধরে চিন্তা করছিল ছন্দ মিলানোর জন্য ।

হঠাৎ তুড়ি বাজিয়ে বলে উঠলো ইউরেকা পেয়েছি আমার কবিতার পরবর্তী লাইন হবে 'আকাশেতে উড়ে যায় একপাল হাতি' । আমাদের দায়িত্তশীল লোকদের কথাও অনেকটা এমনি শুনাচ্ছে । সেদিন একটা ভিডিও দেখলাম নাম "ok.Cut" । মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর বানানো । এই ভিডিওতে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন তার বানানো ছবি "Third Person Singular Number" এর বিরুদ্ধে যে সমালোচনা হয়েছে তা অমূলক ।

আমার মনে ফারুকী সাহেব এখন বুঝতে পেরেছেন তার এই ছবির মাধ্যমে উস্কে দেওয়া হয়েছে কিছু বখাটে রোমিওদের যারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেরায় জুলিয়েটদের টিজ করার জন্য । এদের ধৃষ্টতা কতদূর পৌছেছে তা আজ আর কারো অবিদিত নয় । এতগুলো কিশোরী জীবন দিল,প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হোল এক শিক্ষক আরেক মা । জানিনা আর কত জীবন যাবে । এই বীর শিক্ষক আর বীরাঙ্গনা মায়ের মৃত্যুতে আমি নীরবতা পালন করতে চাইনা আমি নীরবতা পালন করতে চাই তাদের জন্য যারা এতকিছুর পরেও নীরব ।

আমি salute জানাতে চাই সেই সব লোকদের যারা এতকিছুর পরেও বলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।