আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রফেসর মি:ওঁ (ধারাবহিক সায়েন্স ফিকশন)



প্রফেসর মি:ওঁ (ধারাবহিক সায়েন্স ফিকশন) ১. বিপদ সীমা। একটা মাথার খুলি মুখটা হাঁ করে ভয়ংকর দৃষ্টে তাকিয়ে আছে। তার ঠিক নিচে দু’টি হাড় আড়াআড়িভাবে অবস্থান করছে। মি:ওঁ একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন, -এটা ডেঞ্চার জোন। এ্যলিয়েনটা চোখ পিলপিল করে ওঁ-র দিকে তাকিয়ে বলল, -মানে কি? -মানে বিপদ সংকুল এলাকা।

মি:ওঁ বললেন। এ্যালিয়েনটা চুতুর্দিকে তাকিয়ে বলল, -না তো কোন বিপদ তো নেই; এখানে শুধু আপনি আর আমি। বাহ্‌! কত চমৎকার এলাকা!! মি:ওঁ একটু গম্ভীর হলেন। এ্যালিয়েনটাকে হাত দিয়ে ইশারা করে তার পিছনে পিছনে চলতে বললেন। একটা খুটির সামনে দাঁড়িয়ে মি:ওঁ পত্‌পত্‌ করে উড়তে থাকা লাল পতাকার মধ্যখানে সাদা কালি দিয়ে অংকিত বিপদ সংকেতের দিকে আঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন, - খুবই বিপদ।

এই সমসত্ম এলাকাটাই বিপদ সংকুল। এ্যালিয়েনটা আমতা আমতা করে বলল, - এখন কি হবে স্যার। -এখন ঘুম হবে। কারণ হঠাৎ যদি বিপদ চলে আসে তখন তো আর ঘুমানো যাবে না। তখন তো বিপদ মুকাবেলা করতে হবে; তাই না? -স্যার।

-কি? -একটা প্রশ্ন করবে। -না। এখন আমি সকল প্রশ্নের উর্ধ্বে উঠে ঘুমুতে চাই। কারণ আমার এখন একটি নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম দরকার। ব্রিটিশ কবি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ বলেছিলেন, ‘ঘুম! এক মনোরম বস্তু।

মেরম্ন থেকে মেরম্নতে তার প্রতি সবার ভালোবাসা। ’ যাও, ঘুমুতে যাও। গ্রিক মহাকবি হোমার কি বলেছিলেন জানো? তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক কথা বলার অনেক সময় আছে, তেমনি কোনো কোনো সময় কেবলই ঘুমের জন্য। ’ মি:ওঁ সিস্নপিং ব্রিফকেইসটা খুলে এর ভিতরে টুকে পড়লেন। সিস্নপিং ব্রিফকেইস কিন্তুু সিস্নপিং ব্যাগের মত নয়।

ব্রিফকেইসটা সম্পূর্ণ খুলে দিলে এটা তাবুর মত হয়ে যায়। ঠিক তাবুর মত নয়; তবে এটাকে এক রকম মশারীর মত বলা চলে। মশারী ঠিকমত টানিয়ে দিলে যে রকম হয়। এটাও ঠিক সেরকম। সব রকম আবহাওয়ায় এর ভিতরে নিশ্চনেত্ম ঘুমানো যায়।

মহাকাশেও; সমুদ্রেও; আসলে এটা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। মহাকাশে এটা শুন্যে ভেসে বেড়ায়। সমুদ্রেও তাই। তখন এটি হয়ে যায় জল প্রতিরোধী। উষ্ণতম আবহাওয়ায় এর ভিতরে বিরাজ করে শীতলতম পরিবেশ।

হিম শীতল পরিবেশে এর অভ্যনত্মরভাগে থাকে মৃদু উষ্ণ অনুভূতি। তাছাড়া এটি তেজষ্ক্রিয়তা প্রতিরোধী। এর বাহিরের চতুর্দিক নেগেটিভ আয়ন, পজেটিভ আয়ন এবং শক্তিশালী Py¤^Kxq শক্তি দ্বারা জ্যামিতিক হারে সাজানো। তবে এই চতুষ্কোণা তাবুর ভিতরের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক এবং আকর্ষনীয় বস্তুটি হচ্ছে একটি হালকা সাদা লেজার লাইট। এর ভিতরে লুকিয়ে আছে প্রায় তের শ কোটি বই এবং প্রকাশিত কিংবা অপ্রকাশিত সহস্র পা-লিপি।

যে দিকেই লেজার লাইটের আলোর প্রতিফলন ঘটবে সেখানেই ভেসে উঠবে বইয়ের পাতা। যন্ত্রটিতে পৃষ্টা পরিবর্তন কিংবা বিশেষ কোন বই অথবা পৃষ্টা খুজে পেতে রয়েছে একটি বিশেষ স্ক্রলিং বাটন। তাই অবসরে সময় কাটানোর জন্য কোন চিনত্মা নেই। মশারীর ভিতরে বসে কিংবা শুয়ে; ডান কাৎ কিংবা বাম কাৎ; অথবা চিৎ হয়ে শুয়েও নিশ্চিনেত্ম বই পড়া যায়। কিন্তু মি:ওঁ এখন বই পড়ছেন না।

ঘুমুচ্ছেন। মি:ওঁ কখনই তার ঘুমের চাহিদার কাঁট-ছাঁট করেন না। মারা গেলেও না। মারা গেলে অবশ্যই ঘুম নিঃষ্প্রয়োজন। কারণ প্রাণীর মৃত্যুতে তার স্নায়ুগুলোরও মৃত্যু ঘটে।

আর ঘুম হচ্ছে মানুষের স্নায়ুর অপরিহার্য খাদ্য। এটা মসিত্মষ্কের জন্য শর্করা এবং প্রোটিন হিসেবে কাজ করে। মারা গেলে তো আর খাওয়া-দাওয়া করা যায় না। ঘুমিয়ে পড়লে প্রাণীর আত্মার একটু ¯^w¯Í মিলে। আত্মা দেহের বিদ্যুৎ শক্তি।

মানুষ সজাগ থাকলে সে তার কাজ-কর্মে বেশী ব্যাসত্ম থাকে। তখন বেশী বেশী বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর মানুষ ঘুমিয়ে পড়লে কম বিদ্যুৎ খরচ হয়। আত্মা তখন অবসর পায়। আত্মা তখন তার নিজের কাজে ব্যাসত্ম হয়ে পড়ে।

আত্মা তখন আত্মাদের জগতে ঘোরা-ফেরা করে। কিছু কিছু কাজ আছে যা আত্মা এবং দেহ এক সাথে মিলে মিশে করে। আবার কিছু কিছু কাজ আছে যেখানে কেউ কাউকে থামিয়ে রাখতে পারে না। যেমন আত্মা যখন ¯^cœ দেখে; দেহ কখনো তা নির্ধারণ করে দিতে পারবে না যে, সে কি ¯^cœ দেখবে। কিছু কাজ আছে যেখানে আত্মা কখনো সায় দেয় না, তবে দেহ তা অনায়াসেই করে থাকে।

আবার কিছু কিছু কাজ আছে যা আত্মা কল্পনা কেও, আর দেহ তা সম্পাদন করে থাকে। কি চমৎকার! একজন মানুষের দু’টি জগত। দু’টি জগত থাকলে অবশ্যই দু’টি পরিণতিও থাকবে নিশ্চয়ই। যেমন, মানুষ মারা গেল,তারপর তার দেহটি পচেঁ গেল; কিন্তু তারপর তার আত্মার কি হবে? ঘুম থেকে জেগে উঠে কিছুটা অবাক হলেন মি:ওঁ। আশে পাশে কোন বিপদ চিহ্নিত পতাকার বিন্দু মাত্র চিহ্ন পর্যনত্ম নেই।

হতেও পারে, যেমন দেখা গেল তিনি যে বরফাচ্ছাদিত এলাকায় ঘুমিয়েছিলেন তা খন্ড-বিখন্ড হয়ে গভীর সমুদ্রে চলে গেছে। নতুবা চতুর্দিকের বরফ গলতে গলতে বিপদ চিহ্নিত খুটিগুলো গভীর সমুদ্রে লীন হয়ে গেছে। এরকম হলে এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় না। কারণ এটাতো আর কোন সাধারণ এলাকা নয়, এটা হচ্ছে দড়্গিণ মেরম্ন; যেখানে কোন মানুষ বসবাস করে না। এ্যালিয়েনটা এতড়্গণে মি:ওঁ এর পাশে এসে দাড়ালো।

তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে যেন খুশিতে লাফাচ্ছে। এ্যালিয়েন বলল, -কেমন আছেন স্যার? মি:ওঁ বললেন, -দেখতে পাচ্ছনা দাড়িয়ে আছি। এ্যালিয়েনটা সত্মব্ধ হয়ে গেল। মি:ওঁ নরম ¯^‡i বললেন, -এ্যালিয়েন, তোমার কি ঘুম হয়েছে মি: এ্যালিয়েন? এ্যালিয়েন বলল, -জ্বি না স্যার, আপনাকে একটা খুশির সংবাদ দিব বলে আর ঘুমুতে যাই নি। -বল; কি? - স্যার আশে-পাশে আর একটাও বিপদ নেই।

সব বিপদগুলোকে আমি টুকরো টুকরো করে ভেঙ্গে সমুদ্রে ফেলে দিয়েছি। স্যার আমরা এখন বিপদমুক্ত আছি। বিপদগুলোকে আজ এমন শিড়্গা দিয়েছি যে ওরা আর এদিকে আসতে সাহস করবে না। মি:ওঁ প্রচন্ড শব্দ করে হাসতে শুরম্ন করলেন। এ্যালিয়েনটা আতঙ্কিত হয়ে গেল।

কারণ, এটা তার তিন b¤^i হাসি, দাঁত বের করে হাসি; মানে তিন b¤^i সতর্ক সংকেত কিংবা বিপদ সংকেত। এই হাসিটা বিশাল কোন অঘটনের সংবাদ বহন করে যা তিনি নিজেই ঘটাবেন, নতুবা অনাকাঙ্খিত কোন কর্মের ফল ¯^iƒc এর আবির্ভাব ঘটবে। মি:ওঁ এর সব রকমের হাসির সাথেই পরিচয় আছে এই এ্যালিয়েনটির। মি:ওঁ মুচকি হাসেন বেশ কয়েকটি মূহুর্তে। যেমন- রম্নমান্টিক মূহুর্তে, খুব বেশী খুশি হলে, নতুবা কথা বার্তার সময় পরিবেশের ¯^vfvweKZv বজায় রাখতে।

দুই b¤^i হাসিটা হলো মধ্যম ধরণের। এর সাথে সম্পর্ক হলো কৌতুকের অথবা কাউকে হাসানোর সময় পরিবেশের ¯^v‡_©| ভয়ের পূর্বাভাসে এ্যালিয়েনদের আকৃতি ছোট হয়ে যায়। এ্যালিয়েনটি মি:ওঁ এর কাছে হাত জোড় করে বলল, - স্যার এখন কি আমাকে অথবা আমাদেরকে কোন শাসিত্মর বলি হতে হবে? মি:ওঁ তোঁতলাতে তোঁতলাতে বললেন, -ওই খুটি গুলো তোমাকে চিমটি দিয়েছিল, না খামচি দিয়েছিল, নাকি আমাকে মারতে উদ্ধত হয়েছিল। তুমি ওইগুলো সমুদ্রে ফেলে দিলে কেন? -স্যার আপনি তো ওইগুলোর দিকেই হাত ইশারা করে বলেছিলেন ‘খুবই বিপদ’। এ্যালিয়েন বলল।

-খুটি গুলো তো বিপদ ছিল না। এগুলো ছিল আমাদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এগুলো আমাদেরকে বিপদ পূর্ব সংকেত দিয়েছে মাত্র। বিপদ হচ্ছে বিশেষণ; একটা বিশেষ গুণ। যা কোন ব্যাক্তি, বস্তু বা স্থানকে একটি বিশেষ ধ্বংসসাত্মক কিংবা ড়্গতিকর পরিণতির দিকে ধাবিত করে।

আর আপদ হচ্ছে বিশেষ্য যা কোন বিপদকে সাথে করে নিয়ে আসে। এখন কি বিষয়টা পরিষ্কার বুঝা গেল? -জ্বী না স্যার, এখনও বিষয়টা পরিষ্কার বুঝা যায় নি। অর্ধেক বুঝা গেছে। -তাহলে বাকী অর্ধেকটা কি বুঝা যায় নি? -স্যার সেটা হলো আসলে ‘বিপদ’ জিনিসটা কি? -আসলে বিপদ জিনিসটা হচ্ছে, আমরা খুঁটি দিয়ে সীমানা চিহ্নিত যে এলাকার ভিতর অবস্থান করছি, এখানে এভাবে অবস্থান করলে যে কোন সময় আমরা যে কোন ধ্বংসসাত্মক অথবা ড়্গতিকর পরিণতির সম্মুখীন হতে পারি। -স্যার বুঝেছি, ‘ধ্বংসসাত্মক অথবা ড়্গতিকর’; খুবই সহজ কথা।

স্যার মনে কিছু নেবেন না; আপনি কিন্তু প্রচন্ড বোকার মত। - তা তুমি বলতেই পারো। তাবে পুরোপুরি বোকা না। আর সব বিষয়ে চালাক হওয়া যায় না। আর বড় বড় বিষয়ে বুদ্ধিমান হলে অনেক ছোট-খাটো বিষয় অবহেলায় থেকে যাওয়াটাই ¯^vfvweK| তারপর শুন.. - জ্বীনা স্যার আগে চলেন এই বিপদ সংকুল এলাকা থেকে পালিয়ে যাই।

- না আগে শুন। তারপর হলো কি জানো...... - জ্বীনা স্যার আগে চলেন এখান থেকে বের হই। - না আগে শুন। তারপর.......তারপর......দিলে তো আমার বারোটা বাজিয়ে। এখনতো আর মনে পড়ছে না কি যেন একটা বিষয় বলতে চেয়েছিলাম।

রাখো তোমার চলা-চলি; বিষয়টা মনে না পড়লে আমি আর এক বিন্দুও নড়ছি না। -স্যার, আপনার হাতে তো কোন ঘড়ি নেই। এখন যে বারোটা বাজে বুঝলেন ক্যামনে? -গাধা, তোমার এত বেশী বুঝা লাগবে না। এগুলো হচ্ছে রূপক বার্তা। -স্যার একটা ছোট-খাটো ভুল করেছেন বোধ হয়।

-কি ভুল? -স্যার আমি কিনত্মু গাধা নই। আপনি তো ভালো করেই জানেন যে, আমি অন্য রকম জাতের একটি প্রাণী। -হ্যা, মনে পড়েছে তোমাকে যে কি একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম সেটা মনে পড়েছে..... -কি সেটা? স্যার। -না এটা এখন বলা যাবে না। কারণ কথাটার সময়য়োপযোগিতা নষ্ট হয়ে গেছে।

পড়ে যদি উপযুক্ত সময়ে মনে পড়ে তখন তোমাকে বলে দেব; কেমন? -জ্বী স্যার; এমন। -স্যার তাহলে চলেন আমরা এখন চলা-চলি করি। -‘চলা-চলি’ মানে? -স্যার, মনে নেই! ওই যে আমি আপনাকে বললাম ‘চলেন এখান থেকে বের হয়ে যাই’ তারপর আপনি বললেন ‘রাখ তোমার চলা-চলি.......’ -ওহ্‌ তাই। -তাহলে একটু দাড়াও চলা-চলি পূর্ব আমার চলাফেরা বিষয়ক সংবিধানে কিছু সংশোধনী এনে নেই। কিছুড়্গণ পর, -এ্যালিয়েন, আমি এখন সংশোধনী পেশ করতে প্রস্তুত আছি।

এ্যালিয়েন মাথা ঝাঁকালো। মি:ওঁ বলতে শুরম্ন করলেন, -প্রথমত: পরম করম্নণাময় দয়ালু প্রতিপালকের কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, মানব জাতি এবং এ্যালিয়েন জাতির সকল অনিষ্টকারী সদস্যদের অনিষ্ট থেকে। দ্বিতীয়ত: ¯^iY কর, তুমি তোমার জাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে চাঁদ থেকে পালিয়ে শনিতে আশ্রয় নিয়েছিলে। আর আমি আমার জাতিকে ভাবী বিপদ থেকে মুক্ত করে তাদের উপকার সাধনের পরও মিথ্যা অভিযোগ আর মানহানির কারণে আত্ম অবিমানে ড়্গুব্ধ হয়ে পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলাম। নিয়তি আজ আমাদের এক সাথে একত্র করেছে।

মহামান্য এ্যালিয়েন, (মি:ওঁ কাউকে m‡¤^vab করে বিশেষ কোন গুরম্নত্বপূর্ণ কথা বলতে গেলে ‘মহামান্য’ শব্দটি ব্যাবহার করে থাকেন, এতে করে শ্রোতার মনযোগ কঠোরভাবে আকর্ষিত হয়) আমার উপর পৃথিবী, চাঁদ এবং মহাকাশ পর্যনত্ম গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি আছে; আর তোমার উপর শুক্র, শনি, রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ এবং বৃহস্পতি পর্যনত্ম (মি:ওঁ নেপচুন ও পস্নুটো নামের পরিবর্তে রবি ও সোম নাম দু’টো ব্যাবহার করে থাকেন; সব বারের নাম যেহেতু দেওয়া আছে, তবে এ দু’টো কেন বাদ যাবে)। মহামান্য এ্যালিয়েন, আমদের উপর এখন অনেক দায়িত্ব। সকল ভ্রানিত্ম আর ভুলগুলো আজ মানবজাতি আর এ্যালিয়েন জাতির কাছে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। এতে করে অসংখ্য অশুভ শক্তি আমাদেরকে তাড়িয়ে বেড়াবে। তৃতীয়ত: মি:এ্যালিয়েন সাকুরাই, (এটি উক্ত এ্যালিয়েনের আসল নাম, মি:ওঁ আদেশসূচক কথা বলবেন হেতু নির্দিষ্টভাবে নামটি উলেস্নখ করেছেন) তোমার জ্ঞাতার্থে বলতে হচ্ছে যে, মানুষ্যকুলের কতিপয় প্রভাবশালী হর্তাকর্তাদের নজর এড়িয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করতে আমি অনেক কষ্ঠে দড়্গিণ মেরম্নর বরাফার্বত অঞ্চলে মহাকাশ থেকে অবতরণ করেছি।

কিন্তু তুমি এ্যালিয়েন সাকুরাই বিপদ সংকেতের সকল সীমা রেখা তুলে দিয়ে আমার সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দিলে। এখন....... -স্যার আশে-পাশের বরফ গুলো গলতে শুরম্ন করেছে। -কথা শেষ করে নেই, এখন তুমি বল-আমি যদি..... -স্যার, আপনার পায়ের নিচের বরফগুলো থেমে থেমে কেঁেপ কেঁেপ উঠছে। -বাহ্‌ আমি তো খেয়ালই করি নি। পৃথিবীবাসীকে ধন্যবাদ।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বোধহয় অনেক বেড়ে গেছে তাইতো বলি আমি এতো হালকা জামা পড়ে এখানে দাড়িয়ে আছি কিভাবে? এতড়্গণে তো হিম শীতল হয়ে যাওয়ার কথা। কি সুন্দর! বরফ সব গলে গলে অনেক গবেষণার খোরাক জুটবে.....কিভাবে..... বরফ গলে গিয়েছিল এবং কেন তেমনটি হয়েছিল? -স্যার এখন আপনার কি হবে? -ওহ্‌ সেটাও তো এতড়্গণ চিনত্মা করিনি। এখন আমদের কি হবে? -স্যার আমার কোন চিনত্মা নেই। কারণ এ্যালিয়েনরা তো আর পানিতে ডুবে না, তারা খুব তাড়াতাড়ি বাতাসে ভ্রমন করতে পারে। আবার তাদের ঠান্ডা কিংবা গরম আবহাওয়জনিত কোন অনূভুতিও নেই।

-হুম্‌। দড়্গিণ মেরম্নতে যখন এসেছি তখন সেস্নজ গাড়িতে না চড়লে কেমন দেখায়। দেখতো আশে-পাশে কোন চ্যাপ্টা জাতীয় কোন বস্তু আছে কি না? -কি করবেন স্যার? -একটা সেস্নজিং গাড়ি বানাবো। -স্যার আপনার ব্রিফকেনসটাই তো চ্যাপ্টা। -হ্যা, একদম ঠিক বলেছ।

তাহলে এক কাজ করা যাক, আমি আমার সিস্নপিং গাউন টা ব্রিফকেইসের হাতলের সাথে বেঁেধ দেই, আর তুমি আমাকে টেনে টেনে নিয়ে চল। -স্যার এ্যালিয়েনরা টানাটানি পছন্দ করে না। টানাটানি করে তারা যাদের কোন শক্তি নেই, কিন্তু প্রচন্ড শক্তি দেখাতে চায়। যেমন- মানুষ এবং পিপিলীকা। এ্যালিয়েনরা প্রচন্ড শক্তির অধিকারী।

তাই তারা শক্তি দেখাতে চায় না। তারা টানাটানিও করে না; টানাটানি তাদের শারীরিক বৈশিষ্টের সাথে সংঙ্গতিপূর্ণও নয়। -তাহলে এখন আমার কি হবে? -স্যার কোন চিনত্মার কারণ নেই। আপনি ব্রিফকেনসটির উপর বসেন। আমি আপনাকে শুণ্যে তুলে নিয়ে যাচ্ছি।

-হ্যা ঠিক বলেছ। একদম ঠিক বলেছ। দাড়াও ব্রিফকেসটার উপর কিছু বরফের টুকরো দিয়ে দেই। তাহলে কিছুটা না হয় সেস্নজিং গাড়ির মতো মনে হবে। মনে হবে যেন, বরফে চলা-চলি করতে করতে বরফের টুকরো গাড়ির উপরে উঠে পড়েছে।

এ্যালিয়েন সাকুরাই অদৃশ্য হয়ে গেল। গনত্মব্য অনির্ধারিত। -চলবে.......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.