আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দরবনে কুমির চাষ

Mahmood Khan

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কুমির চাষ শুরু হয়েছে। বিদেশে কুমিরের ব্যাপক চাহিদার কথা বিবেচনা করে আকিজ ওয়াইল্ডলাইফ ফার্ম বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে এ কুমির চাষ ও প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আকিজ গ্রুফ অব ইন্ডাস্ট্রিজ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে সরকারের কাছ থেকে ২৫ একর জায়গা লিজ নিয়ে এই জায়গার উপর গড়ে তুলেছে কুমির চাষ বা কুমির প্রজনন প্রকল্প। আকিজ ওয়াইল্ডলাইফ ফার্মের প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, এই খামারে সাড়ে তিনশ কুমিরের আবাসন তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই খামারে প্রথম বারের মতো গত ২ আগস্ট নারী-প্ররুষ মিলে ৫০টি অস্ট্রেলিয়ান প্রজাতির কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে।

৫০টির মধ্যে একটি কুমির মারামারি করতে গিয়ে আহত হয়ে মারা যায়। বর্তমানে ৪৯টি কুমির সুস্থ শরীরে বেঁচে আছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা এসব কুমির পাহাড়ি পরিবেশে নিজেদের সহজেই মানিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো জানান,একটি কুমির অস্ট্রেলিয়া থিকে বান্দরবানের ঘুমধুম খামার পর্যন্ত পৌঁছাতে খরছ পড়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। আর একটি কুমির এক বছর লালন পালনের পর একটি কুমির থেকে আট থেকে ১০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

কুমিরের চামড়া এবং তেল মূল্যবান হলেও তবে দেশের অভ্যন্তরে এর চাহিদা নেই। মূলত বিদেশে রফতানির লক্ষ্যেই বান্দরবানে এই কুমিরের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। কুমির দেখাশোনা করার দায়িত্বে নিয়োজিত শফিকুল আনোয়ার জানান, প্রতি সপ্তাহে একটি কুমিরকে ৫ কেজি করে মাছ খেতে দেয়া হয়। খামারের মধ্যে ২৫টি কুমির উন্মুক্ত এবং ২৪টি খাঁচা পদ্ধতিতে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিদেশি কৃষিবিদের তত্ত্বাবধানে ১৬জন শ্রমিক কর্মচারী প্রতিদিন এসব কুমির দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে গড়ে তোলা এই কুমিরের খামার বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। ওই কুমিরের খামারটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের খুব কাছে হওয়ায় প্রতিদিন শ শ পর্যটক কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছে। বান্দরবানের অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন, এখনো বান্দরবান জেলায় শ শ একর জায়গা বা পাহাড়ি জলাশয় বেকার পড়ে আছে। যদি এই সব জায়গার উপর পরিকল্পিতভাবে কুমির, সাপসহ নানা জীবজন্তুর খামার গড়ে তোলা হয় তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে এই দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধিশালী হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।