আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কূটনীতিক শাহনাজ গাজীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড়



কূটনীতিক শাহনাজ গাজীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নেতিবাচক চারিত্রিক কর্মকাণ্ড দেশের ইমেজকে ক্ষুণ্ন করবে বলেও মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চীনের কুংমিংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল শাহনাজ গাজীকে নিয়ে আগে থেকেই কূটনীতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে। গত ২০১০ সালে নিউইয়র্কের গ্রান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীণ ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।

কিন্তু তারপরও মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক ভালভাবে নেয়নি অনেকে। সূত্র জানায়, শাহনাজ গাজীর ওপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাই নাখোশ। তাদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, নিউইয়র্কের ঘটনার পর শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টির সুযোগ দেখা দিলেন শাহনাজ গাজীকে রাখা হয়েছিল বহাল তবিয়তে। সম্প্রতি আবারও তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে।

এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার সম পর্যায়ের ক্যাডার কর্মকর্তারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে এড়াতে পারছেন না। জানা গেছে, এর আগেও বিএনপি সরকারের আমলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকায় লন্ডনে শাহনাজ গাজীর তার পদায়ন বাগিয়ে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় ওই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. শমসের মুবিন চৌধুরীর সঙ্গে শাহনাজের ‘চমৎকার’ সম্পর্ক ছিল। এদিকে শাহনাজ গাজীকে নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে দেয়া একটি স্ট্যাটাসে শাহনাজ দাবি করেন তার ও শাকিলের ছবিগুলো ফটোশপের কারসাজি।

তবে ইমেজ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞদের মনে করেন, ছবিগুলো ফটোশপের মাধ্যমে করা হয়নি। এগুলো বাস্তবে তোলা ছবি। তাছাড়া নিউইয়র্ককাণ্ডের পরও তাদেরকে একসঙ্গে বেশ কয়েকবার গুলশানের সামদাদো রেস্টুরেন্টেও দেখা গেছে। সেখানে তাদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছিলেন রেস্টুরেন্টটির কর্মচারী আলবার্ড। তিনি ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, ‘ বিভিন্ন সময় আমি শাকিল স্যার ও শাহনাজ ম্যাডামের হাস্যজ্জ্বল দৃশ্যের ছবি তুলে দিয়েছি।

তারা একে অন্যের খুব ঘনিষ্ঠ বলেও জানতাম। ’ এদিকে শাহনাজ গাজী নিজেও এর আগে ছবিগুলো সম্পর্কে ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ‘ছবিগুলো কোথায়, কখন, কী অবস্থায় তুলেছি তাতো এখন বলতে পারব না। ’ তবে মাহবুবুল হক শাকিলের ঘনিষ্ট একটি সূত্র ঢাকা টাইমসটোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শাহনাজ গাজীর সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। একসঙ্গে বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলেছেন।

এগুলোর কোনটাই ফটোশপ বা অন্যকোনো ভাবে তৈরি করা নয়। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শাহনাজ গাজীকে মাহবুবুল হক শাকিল ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে প্রচার করা হয়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরে নিউইয়র্ক থেকে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারির পদটিও ছাড়তে হয় তাকে। তবে শাহনাজ গাজী ছিলেন বহাল তবিয়তে।

ওই ঘটনার পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশ মিশনে ডেপুটি কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে এবছরের শুরুতে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের নতুন মিশন খোলা হলে শাহনাজ গাজীকে কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় শাকিলের কোনো দায় ছিল না এ ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি আরও উচ্চতর পদে (বিশেষ সহকারী, মিডিয়া) নিয়োগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক আসুদ আহমেদ ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘শাহনাজ ম্যাডাম ও শাকিল সাহেব দুজনই সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। নিঃসন্দেহে তারা অনেক বিবেকবান।

তাদের নিয়ে যা শোনযাচ্ছে তা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত। তাই এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অফিশিয়ালি বিষয়টিকে বিবেচনা করা হচ্ছে না। ’ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। - See more at: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.