আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোকা মেয়ে ( হালকা ১৮+)



রুপালী মেয়েটি আমাদের রান্না করে খাওয়ায়, শরীর স্বাস্হ্যে এক গোট্টা হলে ও এই মেয়েটি বাসা বাড়িতে কাজ করে তা তার র্ফসা শরীর দেখে কেউ বলতে পারবে না। আমি তখন আজিম পুরের নিউ পল্টনে থাকি, মেসের বধ্য পরিবেশ ভাল লাগেনা বলে তিন তলায় একটি ফ্যামেলি ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসাবে থাকি, ব্যচলারদের খাওয়া কি যে কষ্ট তা একমাত্র ব্যচলারাই বলতে পারে, নীলক্ষেতের হোটেল গুলি ছিল নিত্য সঙ্গি, কিন্তু নীলক্ষেতের সস্তা খাবার খেয়ে গ্যাসষ্টিক, ডায়রিয়া হয়নি এমন লোক হারিকেন দিয়া ও খুজে পাওয়া যাবে না। এমন মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করে সবার খালা হিসাবে নিউ পল্টনে এক মহিলা, সে মাসিক ২৫০০ টাকা বিনিময়ে তিন বেলা খাদ্য যোগান দিবে, আমার মত একজন বউহীন ব্যচলরের জন্য তো মহা সুসংবাদ, পর দিনই জয়েন্ট করলাম খালার আবাসিক রেষ্টুরেন্ট এ, খাবারের মান যাই হোক তবুও নীলক্ষেতের বিষাক্ত খাদ্য গ্রহন করতে হবে না এটাই ছিল মহা শান্তনা। তো যাই হোক খালার সহকারী ছিল রুপালী, খালার গ্রামের গরীব ঘরের মেয়ে, তিন বেলা খাবারের বিনিময়ে সারাদিন রান্না বান্না করে, সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। থালা বাসন কাপড় কাচা থেকে শুরু করে খালার সব কাজের ব্যবস্থাপক ছিল রুপালী।

এতো খাটাখাটনির পরও মেয়েটির মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকতো। রুপালী বোবা, এ কথা জানতে পারি আরো তিন চার দিন পর, টাইপেড জ্বরে রুপালী বাকশক্তি হীন হলেও সবার কথা বুঝতে তার কোন সমস্যা ছিল না, রুপালি একজন যৌবন পাপ্ত মেয়ে এর চাইতে সে একজন দুঃখি মেয়ে এটা ছিল রুপালীর আমার মনের স্থান। কিন্তু আমার সাথে যারা খেত তাদের বেশী ভাগই রুপালীর যৌবনরে স্বাদ আচ্ছদনের চেষ্টায় আচ্ছিত ছিল। যদিও রুপালীর কোন ভাব প্রকাশ হত না। একদিন শুনি রুপালী বিছানায় শুয়ে আছে, তার কারন কি জিঙ্ঘাসা করতেই খালা যা বলল , তার সারর্মম হল এই, রুপালী প্রায় সময় চুরি করে খালার নাতনীয় প্রসাধনী ব্যবহার করে, যা খালার নাতনী রুপালী কে অনেক আগের ১৪৪দারা জারি করেছে, বার বার সতর্ক করার পরও রুপালী সেই ১৪৪ দারা ভঙ্গ করে নিজের রুপসাধনা করে।

গত রাতে হাতে নাতে ধরাপড়ার ফল সরুপ, অতি উত্তম মাধ্যমের ফলে রুপালীর আজ এই অবস্থা। মেয়েটির জন্য খারাপ লাগছিল, অসহায় একটি মেয়ে সখ আছে কিন্তু সাধ্য নাই, অফিস থেকে আসার পথে সস্তায় কিছু মেয়েদের সাজবার প্রসাধনি কিনে খালার হাতে দিলাম, রুপালী কে দেওয়ার জন্য। খালা এসব দেখে বলল, আর বল না বাবা, তুমি ভদ্র ছেলে তাই আমার হাতে দিয়েছো, অন্য ছেলে গুলি তো বড্ড খারাপ, মেয়েটির মন পটাবার জন্য নানা কিছু কিনে নিয়ে আসে, মেয়েটিও বড্ড বোকা, যা পায় সব কিছু লুফে নেয়, আর রাতের বেলা এসে মেয়েটির সাথে নান অপকর্ম করা চেষ্টা করে, আমি আবার খুব সাবধানে থাকি, যে যাই কিছু দেকনা কেন, সব গুলি ফিরিয়ে দেই, কেউ কেউ এখন রুপালীর ধারে ভিড়বার জন্য আমার নাতনীর কাছে নানান কিছু রেখে যায়। যা রুপালী আমার নাতনীর সাজগোজের জিনিস গুলি নিজের মনে করে ব্যবহার করে, আর আমার নাতনী তা সহ্য করতে পারে না। মেয়েটি এত বোকা যে , এর আগেও কয়েকবার ছেলেদের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল, লোভী ছেলে গুলি কয়েক দিন পর রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়, তার পর আবার আমার এখানে, একবার তো পেটে বাচ্চা হয়ে গিয়ে ছিল, অনেক টাকা খরচ করে পেট খালাস করে ছিলাম, গত চার মাস আগে একবার চলে গিয়ে ছিল, একটি ছেলে দুই সাপ্তাহ রাখার পর সদস ঘাটে ফেলে চলে যায়, মেয়েটি লজ্জায় আমার কাছে না এসে খারাপ জায়গায় গিয়ে উঠে, আমার এখানে ভাত খায় এমন একটি ছেলে ওর খোজ দিলে, ওকে খারাপ জায়গা থেকে ধরে নিয়ে আসি, কয়েকদিন পর দেখি ওর সিফিলিস হয়েছে, নিজের ঘাটের টাকা খরচ করে ডাক্তার দেখিয়ে, ভাল করে আমার কাছে রাখছি, এখন ওকে আমি দোকানে পর্যন্ত পাঠাই না, এই ভয়ে যে আবার কোন ছেলের পাল্লায় পড়ে অঘটন ঘটায়।

দুদিন পর দেখি রুপালী সেজেগুজে আমার সামনে হাজির, নানা অঙ্গভঙ্গি করে আমাকে আকৃষ্ট করা চেষ্টা করছে। মনে করলাম ওকে আমি কিছু কিনে দেওয়ার কৃতজ্ঞা সরুপ খুশি হয়ে এমন করছে। কিন্তু কয়েকদিন আমাকে আকার ইঙ্গিত করে অনেক কথা বলল আমার বুকে ইশার বুঝালা সে আমার বুকে ঘুমাতে চায়, হায়রে বোকা মেয়ে সারা জীবন তো ঠকলি, এভাবে কাউকে না কাউকে আপন করে নিতে গিয়ে। এই উচু নিচু সমাজ ব্যবস্থায় তা কি কোন ভাবে সম্ভব??


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.