আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্থবিরতা



পাশের বাড়ির দোতলায়। কোণার ফ্ল্যাটটাতে। আলো নিভে গেলে বুঝি। গভীর হলো রাত। আমি আমাদের ছাদে।

আমগাছটার আড়ালে। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি। সিগারেট খাই, আর প্রতিদিন। ভিন্ন ভিন্ন রমনীর সাথে। লোকটার সঙ্গম দেখি।

ইদানিং একঘেয়ে লাগে। চারিদিকে শুধুই ভালোবাসার কথা। গল্পে, উপন্যাসে। একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। আর তাদের।

বিয়ে হয়ে যায়। অফিসে, কারখানায়। কত রকমের অফিসার আর আর্দালি। কলেজে, গানের স্কুলে। কত রকমের অধ্যাপক আর ওস্তাদ।

ভালোবাসায় ঝকঝক করছে তাদের মুখ। ঝকঝক করছে তাদের চশমা। আংটি আর জামার বোতাম। আর বিশাল এক আকাশের নীচে শুয়ে থাকতে থাকতে আমরা স্বপ্ন দেখছি, আমরা সুখী হয়েছি। আমাদের ছেলেপুলেরা সুখী হয়েছে।

তাদের ছেলেপুলেরা। মেয়েদের কাছে এটা চাইছে ওটা চাইছে। মেয়েদের জন্য জান দিচ্ছে। আমার দুঃখ এই। স্বপ্নগুলো স্পর্শ করতে পারি না।

হাত দিয়ে। সারাদিন আজ। শুধুই তোমার কথা। মনে পড়ছে। এখানে।

আশেপাশে আছে। কিছু ধাতব-মানুষ। ধাতব বউ নিয়ে তারা। অনবরত ঢুকে পড়ছে স্টার-সিনেপ্লেক্সে। সমুদ্রের পাশের।

ওই ছোট্ট শহরটাতে। হাল্কা পায়ে। কোন্ শিশুদের সঙ্গে তুমি খেলে বেড়ালে আজ? বিছানায়। কার জামা ধরে তুমি টান দিচ্ছো এখন? নোংরা আর ঘেমে ওঠা চেহারা নিয়ে। দারুণ কাটালাম।

এবারের গ্রীষ্ম। আর এখন শরতের রাতে। দূরে। শান্ত নূরজাহান লেন। আমি কিছুই করছি না।

আমি ঘুমুচ্ছি না। লিখছি না। শুধুই মনে পড়ছে। আমাদের পুরনো সকালবেলার কথা। আর দুপুরবেলার কথা।

আর বিকেলবেলার কথা। মনে পড়ছে। আকাশের দূর কোণায়। সেই কবে! একটা মাত্র তারা জ্বলেছিলো। জ্বলে যাচ্ছিলো।

লিখে রাখিনি কিছুই। রাত্রিদিন। আমি কেবল। অলৌকিক একটা আকাঙ্ক্ষা। বুকের ভেতর নিয়ে বেঁচে চলেছি তোমার জন্য... যদি ভালো থাকি।

ফোন করবো আবার কাল বিকেলবেলা। তুমি এখন ঘুরে বেড়াও। স্বপ্নের ভেতর। আর আনন্দ করো। শোনো।

একটি মেয়ে। সিএনজির ভেতর। গতকাল সন্ধ্যায়। একা-একা। কাঁদছিলো।

দেখলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।