আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেখতে দেখতে ছেলেটি খারাপ হয়ে গেল (একটি সত্য ঘটনা)

লিখে খাই, সবার ভাল চাই

দেখতে দেখতে ছেলেটি খারাপ হয়ে গেল শামীমুল হক ওরা দুই ভাই। একই কাসে পড়ে। যেন কবুতর জোড়া। হাইস্কুল পাশ করে কলেজে। দেখতেও খুব সুন্দর।

তাদের পিতা মাতা তাদের নিয়ে গর্ব করে। শুধু তাই নয়, গর্ব গোটা মহল্লাবাসীর। সংগঠন করে। সংস্কৃতিমনা। সবার বিপদে আপদে দৌঁড়ে যায়।

হঠাৎ করে ওদের একজন বদলে যেতে থাকে। কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। সুন্দর চেহারা কাল হতে থাকে। সব সময় যেন অন্যমনস্ক। এ নিয়ে ওর মা খুব চিন্তিত।

ওদের বাড়ি প্রায়ই যাই। ইদানিং ওর মার মনও খারাপ দেখছি। কিছু কি হয়েছে? জিজ্ঞেসও করতে পারিনা। মানুষের কাছে শুনেছি, মদ, গাঁজা, জুয়া কোন কিছুই বাদ নেই ওর। ওর বাবা অন্য এক জেলা শহরে চাকরি করে।

সপ্তাহে কিংবা মাসে বাড়ি এসে ১/২ দিন থেকে আবার ফিরে যায়। দেখতে দেখতে ছেলেটি চোখের সামনে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মনে মনে ঠিক করলাম, এবার ওর বাবা বাড়ি এলে সব বলবো। কদিন পরই জানতে পারলাম ওরা বাবা বাড়ি এসেছে। গেলাম ওদের বাড়ি।

সামনে চা এলো, নাস্তা এলো। ওর বাবার সঙ্গে এ কথা ও কথা বলার এক পর্যায়ে বললাম, ভাই আপনার বড় ছেলের চাল চলন এখন অন্য রকম মনে হ”্ছ। ে সঙ্গ দোষে সে খাবাপ হয়ে যাচ্ছে। এক কাজ করুন না- আপনার সঙ্গে ওকে শহরে নিয়ে যান। কথা শুনেই তিনি ক্ষেপে গেলেন।

বললেন, আমার ছেলের মতো ছেলেই হয়না। কুচক্রিমহল ঈর্ষান্ব্তি হয়ে আমার ছেলের ব্যাপারে কুকথা ছড়াচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের মাও বলে ওঠলেন- ঠিক তাই। আমার ছেলে কখনো খারাপ হতে পারে না। আমিতো শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।

এক প্রকার অপমাণিত হয়েই ওই বাড়ি থেকে বিদায় হলাম। আর কোন খোঁজ খবর নিতে পারিনি। ঢাকায় থাকি। গ্রামেও তেমন একটা যাওয়া হয়না। বছর দুয়েক পরের কথা।

সেই মহল্লায় এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ ডাকাতির ঘটনায় ছেলেটি এক নম্বর আসামী। কারাগারে ছিল বেশ কিছু দিন। এরও অনেকদিন পর গ্রামে যাই। শুনি ওরা স্বপরিবারে বাড়ি ছাড়া।

মহল্লাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বাড়ি ছাড়া করেছে। আশপাশের লোকজন জানাল, ওর মা’র কারণেই ও খারাপ হয়েছে। মা কোনদিন শাষন করেনি। কেউ ছেলে সম্পর্কে বিচার নিয়ে গেলে বরং ওল্টো তাকে হেনস্থা হতে হয়েছে। আর সকল অপরাধ তার বাবার কাছ থেকে আড়াল করেছে।

এভাবেই ছেলেটি দেখতে দেখতে একদিন খারাপ হয়ে যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.