আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যাকার (সাই-ফাই গপ্পো)

কিছু আবজাব লেখাজোখা.......

“কমান্ডারবৃন্দ নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে উপস্হিত, জেনারেল। ” “ধন্যবাদ কবির, আমি এখুনি আসছি। ” জেনারেল রায়হান উঠে দাড়ালেন। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুই হয়ে গেল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তিনি হাটতে শুরু করলেন।

২০৮১ সাল। কিছুদিন থেকেই সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক বেশ শীতল। সম্প্রতি এসিয়ান কয়েকটি রাষ্ট্র পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ৫ম বারের মত এ,ডব্লিও,ডি,এফ, এর আয়োজন করেছে যাতে প্রদর্শিত আনডিটেক্টেবল ভায়ার্ম পশ্চিমা দেশগুলোকে আতংকিত করে তুলেছে। এবং তারা যথারীতি এসব প্রতিরোধের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।

তারা জাতিসংঘের মাধ্যমে কিছু অনৈতিক শর্ত এসিয়ান দেশগুলোর উপর চাপিয়ে দিতে চাইলো যাতে তারা অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান,শ্রীলংকা,জাপান,চায়না, ইরান সকলে এর তীব্র বিরোধীতা করলো। এরপর সেই পুরোনো গল্পের পুনরাবৃত্তি। হুমকি, পাল্টা হুমকি, পশ্চিমা বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব আর এসিয়ানদের অনড় অবস্থান। পরিনতি - তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

করিডরে জেনারেল রায়হান এর সাথে দেখা হলো সিস্টেম-ইনচার্জের সাথে। "উপল, কি খবর?" "মেশিন স্ট্যান্ডবাই, কনডেন্সিং লিকুইড আর রিসাইক্লিং ডিস্ক ইন বেস্ট শেপ, স্যার। " "হা হা হা, কালকেও যদি আমি তোমাকে এই প্রশ্ন করতাম তাহলে তুমি বলতে, জি স্যার, শরীর ভালো। যুদ্ধ আমাদের কতটা অমানবিক করে তুলতে পারে!" "তবে স্যার আগের ভয়াবহতা আর নেই। " "হুমম, ঠিকই বলেছো।

" জেনারেল অন্যমনস্কভাবে বললেন। নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে জেনারেল প্রবেশ করতেই সবাই উঠে দাড়ালো। সেলফ ডেভেলপিং ল্যাংগুয়েজ এর জনক এই অদ্ভুৎ মানুষটির প্রতি সবারই একটা শ্রদ্ধা মেশানো ভালবাসা আছে। তিনি হাত তুলে সবাইকে বসতে বললেন। "তোমাদের একটা কথা আমি স্মরন করিয়ে দিতে চাই।

" জেনারেল তার বক্তৃতা শুরু করলেন। "আমাদের এই দেশটা একসময় খুব অনুন্নত একটা দেশ ছিলো। কারনে অকারনে অন্য দেশের কাছে হাত পাততে হত। সেখান থেকে আমাদের যে আজকের অবস্থা তার অন্যতম কারন তোমাদের মেধা। আজ আবার তোমাদেরকে দেশের প্রয়োজন।

আশা করি তোমরা দেশকে হতাশ করবে না। " জেনারেলের কথা শেষ হতেই সকলে হাত তালি দিয়ে উঠলো। "এসো কাজে নেমে পড়া যাক" বলেই জেনারেল তার টার্মিনালে বসে মনিটর অন করে কীবোর্ডে হাত রাখলেন। এখন যুদ্ধে আর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয় না। যুদ্ধে রক্তপাত বন্ধ হয়েছে আগেই।

এরপর যুদ্ধ হতে লাগলো রোবটদের মাঝে। আর এখন একটা দেশের পুরো নিয়ন্ত্রন থাকে মূল তথ্যকেন্দ্রে। যুদ্ধ হয় মূল তথ্যকেন্দ্রের দখল নিয়ে। আর যুদ্ধ করে প্রোগ্রাম ইনিশিয়েটর আর্মি। যাদেরকে একসময় পৃথিবী চিনতো হ্যাকার নামে।

[সাধারন ব্লগার হবার খুশিতে একটা সাই ফাইই দিয়ে দিলাম। কেমন লাগল জানাবেন]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.