আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরগাছা বৃত্তে বন্দী আত্মনিমগ্ন প্রজন্ম ......আমার একটু নিজের মত করে ভাবা

:)

চিন্তা করি, আজ থেকে আরো পনের থেকে বিশ বছর পর কি হবে আমাদের ঝগড়া-ঝাটি আর মারামারি আর কাটাকাটি আর গালাগালির ইস্যু গুলো ? আমি যখন একটা মানুষের সাথে মিশি, তার আইডিওলজীর ভিন্নতাকে শ্রদ্ধা করেইতো ..... এখানে কিন্তু আইডিওলজীর ভিন্নতা পাকিস্তান ভারত না! ভারত কি পাকিস্তান ...... আরেকটা দেশতো কখনো আইডিওলজী হতে পারেনা ...... তাইলে কোন ব্যাপারটা আমাদের মধ্যে কাজ করে যখন আমরা খুব গালি-গালাজ করি? খুব শত্রুতা করি ভারত আর পাকিস্তানের দালাল বলে? এই ব্যাপারটা কি আমাদের ভেতর থেকে আসে নাকি ক্রোধটা কোন এক শক্তি তৈরী করে দিচ্ছে? নিজেদের উপরই নিজেরা ক্রোধান্বিত ...... কি আশ্চর্য! কে আমাদের এমন করে দিচ্ছে? আমরা কেউতো ভারতবর্ষে ছিলামনা ব্রিটিশ আমলে! আমরা তো কেউ পাকিস্তান আমল ও দেখিনি! আমরা পেয়েছি বাংলাদেশই। আমরা দেখেছি বাংলাদেশ! আমরা দেখছি বাংলাদেশ! তাইলে কেন সমর্থন কিংবা আকর্ষন কিংবা মিশন অথবা ভালোবাসা থাকবে সেই দুই সময়ের জন্য ? আমারতো নেই! আমাদেরতো না থাকারই কথা! মানুষকে বিচার করবো কি দিয়ে? সে আমাকে কি বলছে, সে কিভাবে অন্যকে কি বলছে তা দিয়েইতো, তাই নয়কি? এই ব্লগের খুব খুউব বিখ্যাত একজন ব্লগার যিনি গালির জন্য আর নিক দেবার জন্য খ্যাতনামা ছিলেন, তার আপন ছোট বোনকে সহপাঠীর গালি এবং অশ্লীল শব্দ ব্যাবহার করার জন্য আমি সেই ছেলের বিরুদ্ধে ফাইট করেছিলাম ইউনিভার্সিটিতে, স্টুডেন্ট এডভাইসার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলাম এই অপরাধকে ......... ভাইয়া হয়তো জানেনও না দেশে না থাকার কারণে, তার বোনকে কতটা বাজে গালি দিয়েছিল ছেলেটা! যদি দেখতেন ছোটবোনের কষ্ট পাওয়া মুখটা ...... কোনদিন পারতেননা আর অমন সব শব্দ ব্যাবহার করতে! বাস্তবতা বড় ভিন্ন, ব্লগের পাতার মত না! একজন ব্লগার লিখেছিলেনঃ “মাইয়া মানুষ কে তৈরী করতেই ইশ্বরের বেশী সময় লেগেছে , অনেক জটিল মনঃস্তত্ব তো , কোন মতে কিছু একটা বানায় ছেড়ে দিয়েছেন তাই.....” এই মন্তব্যটা যেই করুক, যত মহান ই তিনি হোকনা কেন, তার জন্য আমার করুণাই হবে! যতই ফান হোক ......রুচীবোধটা ঠিক থাকা চাই ......... এখন এই সমালোচনা করায় যদি আমাকে দালাল শ্রেনীতে ফেলে দেয় তাইলে সোজা কথা হলো, এই সমাজটা সভ্য নেই আর! কিন্তু আমাকেই অসভ্য বলা হতে পারে কারণ ওই যে ...... আমরা অন্ধ আনুগত্য করতে পছন্দ করি। আমরা শাদা কে শাদা , কালো কে কালো বলতে ভয় পাই! আমরা পার্সোনালিটির চেয়ে পার্সন বেশী ইম্পর্ট্যান্স দেই! আমি বিশ্বাস করিনা , আমি বিশ্বাস করতে চাইনা, এই মুক্ত বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম নিয়ে, এর আলো বাতাসে বেড়ে উঠে ......... এই জেনারেশনের কেউ কখনো রাস্ট্রের স্বাধীনতার বিরোধী হতে পারে! কারো সাথে আমার মতের মিল হবেনা হয়তো, কিন্তু আমি এটাই বিশ্বাস করি! একাত্তোরের পরবর্তী প্রজন্ম আমরা যারা, আমরা কোনদিন কি দালাল হতে পারি ভারতের ??? পাকিস্তানের ??? এ কি করে সম্ভব ? আমাদের চোখ আর খোলা নেই...... কান এ হেডফোন! মুখ ব্যাস্ত অন্যকে তুষ্ট করতে ...... আমরা কি চাই আমরা তা জানিনা! অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, জ্ঞানপাপী জনগোষ্ঠীকে যখন আবজাব কিছু একটা গনতন্ত্রের নামে গুলে খাইয়ে দেয়া হয়, তখন সেটা পেটে সহ্য হয়না! উত্তেজিত জনতা ধর মার কাট এ চরম আনন্দ পেয়ে দিন শেষে বাড়ি ফিরে সরকারকে গালি গালাজ করে আবার সকালে এক ড্রাম তেল নিয়ে সিস্টেম কোথায় কি করা যায় সেই সুযোগের অপেক্ষায় ...... আগেতো পেটে কিছু পড়ুক! কিংবা বিত্তের পেছোনে ছোটা লোভী কিছু মানুষের ...... স্বার্থের জন্য যা ইচ্ছে তাই করা! আমি প্রাচীনপন্থী বৃদ্ধ যারা, হোক বয়সে কিংবা মানসিকতায়, তাদের কাছ থেকে কিছু আশা করিনা ... ... আমি আমার মতন যারা, আশি নব্বইতে জন্মেছে , তাদের অপেক্ষায় আছি! ওরা একটা সভ্য জাতির কর্ণধার হবে, যার মূলে থাকবে সহনশীলতা, প্রজ্ঞা , ভালোবাসা, জ্ঞান, মেধার চর্চা, মানবিক আবেগ, পরিচ্ছন্নতা ...... আর আদর্শকে আদর্শ দিয়ে ঠেকানোর সুস্থ্য প্রতিযোগিতা। কেউ সেখানে কারো বা কিছুর দালাল হবেনা! প্রত্যেকে একটা ছায়ার নিচে থেকেই, নিজের কথাটা ঠিকি বলবে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। ছায়াটা হবে সবুজ রঙ্গের, আর একটু লাল। ওরা মানুষকে ভালোবাসবে, বক্তৃতা কম দেবে, কাজ করবে ...... কাজ করতে করতে যখন দেখবে সব ভুল ফুল হয়ে গেছে, তখন হাসবে সন্তুষ্টির হাসি...... হু, আমরা দেশকে ভালোবাসি! পনের কোটি মানুষ এক হলে কি না করা যায় ? ডান না - বাম না - চরম না , নরম ও না! আমি একটা মধ্যপন্থী সহনশীল উদারমনা জাতির প্রত্যাশায় স্রষ্টার কাছে প্রার্থণা করি.........

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।