আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সচেতনতা পোষ্টঃ মোবাইল ফোনের ফাঁদ থেকে তরুণীরা সাবধান!

ফেসবুক আইডি:নাই

রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন তরুণীরা। প্রেমের নামে এই তরুণীরা হচ্ছেন যৌন নিপীড়নের শিকার। এর ফলে প্রতারিত তরুণীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে কিংবা ঐসব কষ্টের স্মৃতি ভুলতে আসক্ত হচ্ছে মাদকে। প্রতিমাসে এমন শতাধিক তরুণীকে চিকিৎসা ও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা। এমনকি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে তরুণীদের কেউ কেউ আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে।

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তরুণীদের অভিভাবকরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যান। কোন কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিমাসে মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে পড়ে যৌন নিপীড়নের শিকার শতাধিক তরুণীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। একশ্রেণীর তরুণ কিংবা যুবক তরুণীদের মোবাইল ফোনে কিভাবে ফাঁদে ফেলে দিনের পর দিন যৌন নিপীড়ন চালায় এর করুণ কাহিনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে তুলে ধরেন। বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. এমএ মোহিত কামাল বলেন, মোবাইল ফোনে স্কুল-কলেজ পড়ণ্ডয়া কিশোরী কিংবা তরুণী কন্যা ও তরুণ-যুবক পুত্র ঘণ্টার পর ঘণ্টা কার সঙ্গে কথা বলছে তা অভিভাবকরা দেখে না দেখার ভান করেন। আবার কোন কোন অভিভাবক বিষয়টি গুরুত্ব দেন না।

কোন কোন পরিবারে ফোনে কথা বলা ফ্যাশন। লেখাপড়া বাদ দিয়ে তার সন্তান ঘণ্টার পর ঘণ্টা কার সাথে কথা বলছে তা অভিভাবকেরই যাচাই করা দায়িত্ব। তিনি বলেন, এই ধরনের যৌন নিপীড়নের ঘটনা সামাজিক অপরাধ। এক্ষেত্রে থানা পুলিশের কিছুই করার নেই, অভিভাবকদেরই মূল দায়িত্ব। তার কাছে প্রতিদিন এমন প্রতারণার শিকার ৩ থেকে ৫ জন তরুণী চিকিৎসার জন্য আসে বলে জানান।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রাজধানী ও আশপাশে মোবাইল ফোনের ফাঁদে পড়ে প্রতিমাসে শতাধিক কিশোরী-তরুণী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রীরা বেশি মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে পড়ে। বখাটে তরুণ-যুবকরা ঐ সকল ছাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন কায়দায় সংগ্রহ করে। ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকেও এক শ্রেণীর তরুণ-যুবক তরুণীদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। এসব বখাটে তরুণ-যুবক মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

মোবাইল নম্বর সংগ্রহ শেষে তারা প্রথমে কুশল বিনিময় করে। এরপর নানা ধরনের মিষ্টি কথা বলে উভয়ের মধ্যে কথা বলার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর নানা অভিনয়-কৌশলে পার্কে কিংবা রেস্টুরেন্টে এসে সাক্ষাৎ শুরু করে। এক পর্যায়ে তরুণী তরুণের প্রেমে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক শুরু হয়।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তরুণ কিংবা যুবক তরুণীর সঙ্গে দৈহিক মেলামেশার চিত্রটি ভিডিওতে ধারণ করে। কোন কোন তরুণী রাজী না হলে ভিডিও চিত্র তরুণীকে দেখায়। এরপর এক প্রকার বাধ্য করে দৈহিক মেলামেশা করতে। তরুণ দিনের পর দিন তরুণীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এই কায়দায় তরুণীরা মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে পড়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

এইসব মোবাইল ভিডিও নানা ধরণের দেশী পর্ণো সাইটে আপলোডও হচ্ছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি উত্তর জোন) মাইনুল হাসান বলেন, প্রায়ই এই ধরনের অভিযোগ তারা পেয়ে থাকেন। তদন্ত কাজে পরিবারের সামাজিক অবস্থানের কথা বিবেচনা করে অভিভাবকরা সহযোগিতা করেন না। অভিযুক্ত তরুণ-যুবকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অভিভাবকদেরকে তিনি সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত তরুণী ও তার পরিবারের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।