আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম হোতা ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্ট

www.cameraman-blog.com/

আমি থাকি উত্তরায়। যাতায়াতের জন্য সব ধরনের যানবাহনই ব্যবহার করি। এর মধ্যে অন্যতম বাস। বাসের মধ্যেও আবার রকমফের আছে এসি, ডাইরেক্ট এবং সাধারণ। সাধারণ বাসের মধ্যে গাজীপূর টু সায়েদাবাদ বলাকা সার্ভিস এবং টঙ্গি টু গুলিস্থান ৩নং রুটের বাস ও ব্যবহার করতে হয়।

কিছুদিন আগে (রোজার সময়) বলাকা সার্ভিস মগবাজার থেকে বেইলী রোড ঘুরে কাকরাইল হয়ে চলাচল করতো। এতে মৌচাকের জ্যামটা এড়ানো যেতো। এখন আবার মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ হয়ে চলছে। মৌচাক আর শাহজাহানপূরে কি পরিমান জ্যাম হয় সেটা ভূক্তভোগি মাত্রই জানেন। বিশেস করে স্কুল টাইমে শাহজাহানপূরের জ্যাম অবর্ণনীয়।

৩নং বাসও চলতো ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে। এতে মহাখালি রেলগেটের জ্যামটায় পড়তে হতো না। এখন আবার এটা নিচ দিয়েই চলছে এবং যথারীতি জ্যামে পড়ছে। এক বাস কন্ডাক্টরকে জিজ্ঞাসা করায় সে বললো তাদের নাকি উপর দিয়ে গেলে লস হয় তাই মালিক সমিতি ট্রাফিক ডিপর্টমেন্টের সাথে আলাপ করে নিচ দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এখন প্রশ্ন হলো ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্ট কি বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে মুক্ত করে সুষ্ঠু চলাচল সিশ্চিত করার জন্য নাকি বাস মালিকদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার কাজে সম্পৃক্ত ? এই দুই রুটের বাসগুলি হয়তো আরো অনেক জায়গায় জ্যামে পড়ছে - বলাকা পড়ছে মহাখালি আর মগবাজারে (আরো আছে) আর ৩ নং পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আশেপাশে (আরো আছে) কিন্তু রুট পূর্নবিন্যাসের ফলে যদি এরকম ২/১ টা জ্যাম মুক্ত হওয়া যায় তবে ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্টের এতো আপত্তি কেন ? ৩নং বাস নিচ দিয়ে যাওয়ার ফলে জ্যামে পড়ছে তাই না, সে নিজেও তো জ্যামের অংশ হয়ে উঠছে।

একই কথা প্রযোজ্য বলাকা সার্ভিসের বেলায়ও। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সবাই মিলে চাইলেও ওরা বোধহয় চায় না ঢাকা যানযট মূক্ত হোক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।