আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিংবদন্তী জহির রায়হান...................

www.bdearned.blogspot.com

জহির রায়হানের জন্ম ১৯৩৩ সালে ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে। তিনি ছিলেন একাধারে একজন উপন্যাসিক, লেখক ও চলচিত্রকার। জীবনপন্জী.... --------------------------------------------------- ১৯৩৫: জন্ম ১৯ আগস্ট, মজুপুর গ্রাম, ফেনী। প্রাথমিক লেখাপড়াঃ মিত্র ইন্সটিটিউট, কলকাতা। আলিয়া মাদ্রাসা, কলকাতা।

১৯৪৯: 'নতুন সাহিত্য' পত্রিকা (কলকাতা)-য় 'ওদের জানিয়ে দাও' শীর্ষক কবিতা প্রকাশিত। ১৯৫০: আমিরাবাদ হাইস্কুল (ফেনী) থেকে মেট্রিক পরীক্ষা। ১৯৫১-১৯৫৭: কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সরাসরি জড়িত। ১৯৫২: : ছাত্র অবস্থাতেই মহান ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন। মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ থেকে জহির রায়হানে পরিণত।

প্রমথেশ বড়ুয়া মেমোরিয়াল ফটোগ্রাফি স্কুল (কলকাতা)-য় ভর্তি। ১৯৫৩: জগন্নাথ কলেজ (ঢাকা) থেকে আই.এস.সি পরীক্ষা। ১৯৫৬-১৯৫৮: কোর্স শেষ না করেই চিকিৎসাশাস্ত্র (মেডিক্যাল কলেজ) ত্যাগ। ১৯৫৬: পাকিস্তানের প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক জারদরি-এর সহকারী মনোনীত হয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ। ১৯৫৮: : বি.এ.অনার্স (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পঞ্চাশের দশকে ছাত্র অবস্থায় প্রথম গল্পগ্রন্থ 'সূর্য গ্রহণ' প্রকাশিত। ১৯৬১: : প্রথম চলচ্চিত্র 'কখনো আসেনি'-এর মুক্তি লাভ। চিত্রনায়িকা হেনা লাহিড়ী সুমিতা দেবীর সাথে পরিণয়। পাকিস্তানের প্রথম রঙ্গিন ছবি 'সঙ্গম' তৈরি। ১৯৬৪: 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ।

১৯৬৮: চিত্রনায়িকা কোহিনূর আকতার সুচন্দার সাথে পরিণয়। ১৯৭০: পাকিস্তানের প্রথম রাজনৈতিক-চেতনামন্ডিত চলচ্চিত্র 'জীবন থেকে নেয়া' মুক্তিলাভ। ১৯৭১: : মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রথম চলচ্চিত্র 'স্টপ জেনোসাইড' নির্মাণ। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দ্বিতীয় চলচ্চিত্র 'এ স্টেট ইজ বর্ন' নির্মাণ।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চলচ্চিত্র 'ইনোসেন্ট মিলিয়ন' (পরিচালকঃ বাবুল চৌধুরী) এবং 'লিবারেশন ফাইটার্স' (পরিচালকঃ আলমগীর কবীর)-এর তত্ত্বাবধান। বুদ্ধিজীবীদের বাংলাদেশ মুক্তি পরিষদ (Bangladesh Liberation council of Intelligentsia)-এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। ১৯৭১: সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ (১৯৭২ সালে ঘোষিত) ১৯৭২: বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটি গঠন। ১৯৭২: নিখোঁজ (৩০ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত। ১৯৭৭: চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় একুশে পদক লাভ।

১৯৯২: সাহিত্যে কৃতিত্বের জন্য স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ। পুরস্কার..... আদমজী সাহিত্য পুরস্কার ১৯৬৪। (হাজার বছর ধরে) নিগার পুরস্কার ('কাঁচের দেয়াল') চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবি হিসেবে। বাংলা একাডেমী পুরস্কার ১৯৭১। (উপন্যাসঃ মরণোত্তর) একুশে পদক ১৯৭৭।

(চলচ্চিত্রঃ মরণোত্তর) স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার ১৯৯২। (সাহিত্যঃ মরণোত্তর) উপন্যাস....... শেষ বিকেলের মেয়ে (১৯৬০)। প্রথম উপন্যাস। প্রকাশকঃ সন্ধানী প্রকাশনী। রোমান্টিক প্রেমের উপাখ্যান।

হাজার বছর ধরে (১৯৬৪)। আবহমান বাংলার গ্রামীণ জীবনের পটভূমিতে রচিত আখ্যান। আরেক ফাল্গুন (১৯৬৯)। বায়ান্নর রক্তস্নাত ভাষা-আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত কথামালা। বরফ গলা নদী (১৯৬৯)।

প্রথম প্রকাশঃ 'উত্তরণ' সাময়িকী। অর্থনৈতিক কারণে বিপর্যস্ত ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত পরিবারের অসহায়ত্ব গাঁথা। আর কত দিন (১৯৭০)। অবরুদ্ধ ও পদদলিত মানবাত্নার আন্তর্জাতিক রূপ এবং সংগ্রাম ও স্বপ্নের আত্নকথা। চলচ্চিত্র.......।

কখনো আসেনি (১৯৬১)। সোনার কাজল (১৯৬২)। কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩)। সঙ্গম (১৯৬৪)। বাহানা (১৯৬৫)।

আগেয়ারা (১৯৬৭)। বেহুলা (১৯৬৬)। জ্বলতে সূরযকে নীচে। জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)। স্টপ জেনোসাইড (১৯৭১)।

এ স্টেট ইজ বর্ন (১৯৭১)। লেট দেয়ার বি লাইট (অসমাপ্ত) পত্রিকা সম্পাদনা এক্সপ্রেস (ইংরেজি সাপ্তাহিক)। প্রবাহ (বাংলা মাসিক

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।