আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাত্রিলিপি

...যেন এলিভেটরটা অনন্তকালের জন্যে বন্ধ হয়ে গেছে, আমি দাড়িয়ে আছি নিঃসঙ্গ ছাদের রেলিং ধরে।

একটু একটু ঠান্ডা পড়ে শেষরাতের দিকে। এখন রাতের প্রথম প্রহর। ডাইরি সবসময় রাতের নৈশব্দের মধ্যেই লিখি। কিন্তু জেনারেটরের বিকট শব্দে নীরবতার লেশমাত্র নেই।

এর চেয়ে বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো। মাঝে মাঝে অপেক্ষা করতে খারাপ লাগে না। আসলে ঘুম না এলে কি আর করা? যারা অপেক্ষা করতে পারে, তাদের জেগে থাকতে কষ্ট হয় না। অপেক্ষা করেই তারা কাটিয়ে দিতে পারে এরকম নির্ঘুম রাত গুলো। জীবনতো খুব একটা দীর্ঘ কিছু নয়।

পেছনে তাকালে মনে হবে এক পলকেই বুঝি ফুরিয়ে গেছে শৈশব,হাওয়ায় হারিয়েছে কৈশোর। কিন্তু যাদের অপেক্ষা করার কিছু নেই,অপেক্ষা করার কেউ নেই,তাদের জন্য রাত জাগা কঠিন হয়ে যায়। ভোকাট্টা হয়ে যাওয়া ঘুড়ির মতই তারা উড়ে বেড়ায় মেঘের দেশে। দুর্বল দর্শন লিখতে লিখতে বিদ্যুত এসে গেছে। জেনারেটর থেমে গেছে।

চারিদিকে অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য। জীবনানন্দের কবিতার মত রাত জাগা পেঁচা এ শহরে পাওয়া যাবেনা। বরং পাওয়া যাবে কিছু পড়ুয়া পরীক্ষার্থী। হেমন্তের ধান কাটা কৃষক এ শহরে নেই। এখানে চাঁদ ঢাকা আছে দালানের আড়ালে।

জেগে আছে ট্রাকের ড্রাইভার,কিছু অনাহারি মানুষ,ঘাই হরিনীরা..জেগে আছে হুইস্কি হাতে কিছু মদ্যপ মানুষ। অনেকে লিখছে বসে দিনলিপি,পরাজিত প্রেমিকেরা মেলাচ্ছে কবিতার ছন্দ। কাঠ পেন্সিল দিয়ে রুল টানা রঙিন খাতায় আমি লিখছি রাত্রিলিপি। (তিন বছরের পুরনো একটা ডাইরির পাতা থেকে)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।