আমি তোমায় বুঝেছি সমগ্র বুঝহীনতার ভেতর দিয়ে।
আমি আর নীলু নদী তীর ধরে হাটঁছিলাম।
নীলুর ইচ্ছে হলো নদীর জলে পা ভিজাবে। নদী তো না মরুভূমির মাঝে ছোট্ট নালা যেন। বললাম, 'যাও।
'
তার এক কথা আমার হাত ধরে জলে পা ছুয়াঁবে। আমার যেতে ইচ্ছে করছিলো না। দূর থেকে নীলুকে কি যে সৌন্দর্য ও রহস্যময়ী মনে হয়! পারতঃ পক্ষে এই সুযোগ আমি হারাতে চাই না।
কিন্তু কে শুনে কার কথা, আমাকে যেতো হলো। নীলু এতো আলতোভাবে হাত ধরে আছে, মনে হচ্ছে একটুকরো মেঘ হাতে নিয়ে উড়ে যাচ্ছি।
নিজের অজান্তে বলে উঠলাম, 'অচীন মেঘ তুমি কি স্বর্গ থেকে এলে!'
নীলু বলে, 'কি বললে?'
'দেখ কি ঝকঝকে আকাশ, আকাশে তোমার ছায়া। '
'পাগল!'
ভাবি, 'হু! পাগলই তো। '
ছোট্ট সেই স্রোতসিনী, মনে হচ্ছিল স্বর্গের পবিত্র নহর।
আমরা দু'জনে হাতে হাত রেখে পা ডুবিয়ে বসে আছি। নীলু আমার কাঁধে মাথা রাখল।
সে অদ্ভুত ভালো লাগা। পাখিরা যেন গান গেয়ে উঠল, আর ফুলেরা, কোন অচীন দেশ থেকে সুবাস নিয়ে এলে। জানি না!
শীর্ণ জলের ধারাটি সমুদ্দুরের মতো ফুঁসে উঠল যেন।
নীলু কেঁদে উঠল। আমি চুপচাপ।
সে অচীন পাখিটা বুকের ভেতর ডানা ঝাপটাতে থাকে। দিগন্তে ঝড় উঠে। সবকিছু ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায়। শুধু স্থির হয়ে আছি আমরা দু'জনে।
আমি আর নীলু! নীলু আর আমি!
আমরা !
নীলু তার ভেজা হাত আমার গালে রাখল।
গেয়ে উঠলাম, পদ্মার ঢেউরে মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা, যারে....
তারপর থেমে গেলাম। সামনে অপার শূন্যতা।
শূন্যতাকেই মনে হয় পরম অনুভূতি। এই এমন এক অনুভূতি, এর মাঝে দুনিয়া অদ্ভুত এবঙ বর্ণনাতীত প্রজ্ঞার আকারে হাজির হয়। আমরা দু'জনে প্রকৃতির বিশালতায় নিজেদের ক্ষুদ্রতায় শূন্যতায় আলোরিত হয়ে নিখাদ মৌনতায় সপেঁ দিই।
এই আমাদের পরম ধ্যান। এই মৌনতায় নীলু কেঁদে উঠে। আর আমি আমার হৃদয় সপেঁ সেই এই কান্নার মাঝে। নিজেকে সমর্পন করি সেই অলৌকিক জগতে। তার আলোতে আমরা পথ চিনে নিই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।