আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সঙ্গী হিসেবে মেয়েরা কেমন পুরুষকে চায়...

নারীর মন নাকি বিধাতাও বোঝে না। এই মেঘ, এই রোদ্র মাখা প্রেমিকার মনটি জয়ে কত কিছুই না করে প্রেমিক পুরুষটি। তবু সামান্য ভুলে হয়ে যায় ছন্দপতন। দীর্ঘ প্রেমে গড়া ভালোবাসার ঘরটিও বালুর বাঁধের মতো ভেসে যায় নিমেষে। তাই নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণাও নেহাত কম হয়নি।

সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কগুলো দীর্ঘস্থায়ী করার মূলমন্ত্রের একটি অংশই কিন্তু পুরুষদের হাতে। এক্ষেত্রে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েদের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে পুরুষদের স্বচ্ছ ধারণা থাকাটা অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের মতে ৩টি বিষয় অনুসরণ করলে একজন পুরুষ সহজেই সঙ্গিনীর মন জয়ে সক্ষম হবেন।

সৎ ও বিশ্বস্ত থাকুন: কোন নারীর প্রথম চাওয়াই তার পুরুষ সঙ্গীটি সৎ ও বিশ্বস্ত হবে। অবিশ্বাসের দরজা দিয়েই যে ভাঙনের প্রথম বীজটা অঙ্কুরিত হয়ে ডালপালা ছড়াতে শুরু করে।

নারীরা এমন সঙ্গী খোঁজেন যাদেরকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারেন। সততার মাপকাঠিতেই একজন পুরুষকে সবার আগে যাচাই করেন তারা। আপনি যদি কখনও মিথ্যার আশ্রয় নেন এবং পরে আপনার সঙ্গিনী সেটা জানতে পারেন, তিনি আপনাকে খুব সহজে ক্ষমা করবেন না। আর এতে যে অবিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি হবে সেটাও সহজে ভরাট হবার নয়। একই বিষয় বিপরীত দিক দিয়েও ঘটে।

তাই কোন ভুল হয়ে গেলে সঙ্গীনি জিজ্ঞাসা করার আগেই যদি ভুলটা স্বীকার করে শুধরানোর একটা সুযোগ চান, নিশ্চয়ই তিনি আপনার সৎ সাহসের মূল্যায়ন করবেন। তাই স্ত্রী বা প্রেয়সীর কাছে নিজের এমন ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করুন, যাতে তিনি আপনার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারেন। এটা একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।

হয়ে উঠুন পরিণত: সঙ্গী হিসেবে মেয়েরা এমন পুরুষকে খোঁজেন যিনি বুদ্ধিতে হবেন পরিণত। স্বভাব হবে শান্ত।

আবেগপ্রবণ তবে সেটা নিয়ন্ত্রিত। খারাপ সময়গুলো ঠাণ্ডা মাথায় দক্ষতার সঙ্গে পার করার ক্ষমতা আপনার রয়েছে- এই বিষয়টাই আপনার সঙ্গীনিকে আকৃষ্ট করবে। সারা জীবন কাটানোর জন্য মেয়েরা চান এমন একজন মানুষ যার ওপর নির্ভর করা যায়। ভাবা যায় বন্ধু, একইসঙ্গে অভিভাবক। একজন পুরুষ হিসেবে আপনিও সঙ্গিনীর ওপর ঠিক ততোটাই নির্ভর করবেন, যা তাকে বিরক্ত করবে না।

আবেগতাড়িত হওয়া ভাল। কিন্তু, সেটা যেন মাত্রা না ছাড়ায়। আপনি যে কোনো সিদ্ধান্ত বুঝে-শুনে নেন এ বিষয়টাই আপনার সঙ্গীনিকে আপনার প্রতি দুর্বল করে তুলবে। সমস্যা থেকে পালিয়ে নয়, মোকাবেলা করার সৎ সাহস আপনার মাঝে আছে সেটাই সঙ্গিনীর কাছে প্রমাণ করুন। মেয়েরা শারীরিক বা মানষিকভাবে পুরুষদের আগেই পরিণত হয়।

তাই তার আবেগ-অনুভূতিগুলোও আগেভাগেই তার মনকে দোলা দিয়ে যায়। সঙ্গীনির আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন। পরিপক্কতা আসার ক্ষেত্রে পুরুষরা সময়ের দিক থেকে নারীদের তুলনায় প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও পরিবেশ, পরিস্থিতিতে সময়ের সঙ্গে সে সেটা পুষিয়ে নেয়। আর কে কত আগে পুষিয়ে নিতে পারল সেটাই মূল কথা।

মনোযোগি শ্রোতা হোন: একজন সুবক্তার চেয়ে একজন মনোযোগি শ্রোতা অধিক প্রিয়।

কথাটি শুধু রাজনীতির মাঠ বা চায়ের টেবিলে নয়, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। সঙ্গীনির কথা, সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে সে বুঝবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রতিবার যে তাকে সমস্যার সমাধান দিতে হবে তেমন নয়। হয়ত সমাধান তার নিজের কাছেই আছে।

একটি মেয়ে চায় তার কথা কেউ শুনুক। তাকে গুরুত্ব দিক, যাতে সে কিছুটা হাল্কা হতে পারে। এর বেশি কিছু নয়। তাই কোন নারীর সঙ্গে একটি সুন্দর ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক চাইলে নিঃসন্দেহে আপনার শোনার দক্ষতাটা বাড়াতে হবে।   স্ত্রী হয়তো নিজের ভুলেই সমস্যায় জড়িয়েছেন।

কিন্তু, এজন্য তাকে তিরস্কার করবেন না। বরং, তাকে মানসিকভাবে সমর্থন দিন।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ২৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।