আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগ্নি ও অগ্নি নির্বাপনঃ যা জানা জরুরী

তৃতীয় বিশ্ব নয়, বাংলাদেশকে দেখতে চাই প্রথম বিশ্বের কাতারে
বছর দুই আগে চোখের সামনে এনটিভি, আরটিভি পুড়তে দেখেছি। কিছুদিন আগে দেখলাম বসুন্ধরা জ্বলতে। এভাবে কিছুদিন পর পরই কোথাও না কোথাও আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। কিন্ত আমাদের সচেতনতা এখনও সেই আগের পর্যায়ে। এই ঢাকা শহরের অধিকাংশ বহুতল ভবন, মার্কেট-এ অগ্নি নির্বাপনের কোন ব্যবস্থা নেই।

সবচে' আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে সরকারের নীতি নির্ধারকরা যেখানে বসেন সেই সচিবালয়ে পর্যন্ত অগ্নিনির্বাপনের সুব্যবস্থা নেই। নেই কোন ফায়ার ড্রিল-এর ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকা সত্বেও বসুন্ধরা পুড়েছে কেবল ফায়ার ড্রিল না হওয়ায়। কোন যন্ত্র কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা না জানা থাকলে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেও তা কাজে আসেনা। বসুন্ধরা পুড়ে যাওয়ার পর পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হওয়ায় কিছুদিন আগে সচিবালয়ে ফায়ার ড্রিল হয়েছে।

অনেক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতেও এমন ড্রিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু এটা কি যথেষ্ঠ? এ বিষয়ে সবার পরিষ্কার জ্ঞান থাকা জরুরী, বিশেষ করে আগুন কোন কোন কারনে লাগতে পারে, আগুন যদি লেগেই যায় তাহলে কি করতে হবে এবং সবচে গুরুত্বপূর্ন যে বিষয়টা তা হল আগুনের প্রকার ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া, তানাহলে আগুন নেভাতে গিয়ে আগুন আরও বাড়িয়ে তোলার সম্ভাবনা থাকে যার পরিনাম ভয়াবহ হতে পারে। এসব নানা বিষয় নিয়ে এখানে কিছু আলোচনা করা হয়েছে। সবার আগে জানতে হবে আগুন কি? আগুন কিভাবে জ্বলে? আগুন কি? আগুন হচ্ছে রাসায়নিক দহন বিক্রিয়ার ফলাফল। বিক্রিয়াটা সাধারনতঃ বায়ুমন্ডলের অক্সিজেন এবং কোন জ্বালানী (যেমনঃ কাঠ, বাঁশ, তেল, গ্যাস ইত্যাদি)-এর মধ্যকার।

তেল, কাঠ ইত্যাদি যদিও সারাক্ষন অক্সিজেন দ্বারা বেষ্টিত তার পরও কিন্তু আগুন জ্বলেনা। কারণ দহন বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার জন্য জ্বালানীকে তার প্রজ্বলন তাপমাত্রায় পৌছতে হয়। আগুন কিভাবে জ্বলে? ধরি একখন্ড কাঠকে খুব উঁচু তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হচ্ছে (সেটা হতে পারে কোন ফোকাসড লাইটের মাধ্যমে, ঘর্ষণ-এর মাধ্যমে কিংবা এমন কোন বস্তুর সংস্পর্ষে এনে যা নিজেই জ্বলছে)। যখন এই কাঠ খন্ডের তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (২৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস)-এ পৌছে তখন কিছু সেলুলোজ জাতীয় পদার্থ ভেঙ্গে যায় যা দ্বারা কাঠ গঠিত। এই ভেঙ্গে যাওয়া সেলুলোজ গ্যাসের আকারে নির্গত হয় সাধারনতঃ হাইড্রোজেন, কার্বন ও অক্সিজেনের যৌগ হিসেবে।

যখন এই গ্যাস অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায় তখন এর যৌগের অনুগুলো ভেঙ্গে যায়। এবং এই মুক্ত অনুগুলো বাতাসের অক্সিজেনের সাথে নতুন করে মিলিত হয়ে পানি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য যৌগ গঠন করে। বাতাসে উর্ধ্বগামী গ্যাস শিখা তৈরি করে। কার্বন অনুগুলো এই শিখায় উত্তপ্ত হয়ে আলো বিচ্ছ্বুরন করে। শিখার তাপ কাঠের তাপমাত্রা প্রজ্বলন তাপমাত্রায় স্থির রাখে, কাজেই এটা ততক্ষন জ্বলতেই থাকে যতক্ষন পর্যন্ত জ্বালানী ও অক্সিজেন পাওয়া যায়।

তাহলে দেখা যাচ্ছে আগুন জ্বলার জন্য তিনটা জিনিস দরকারঃ ১. প্রচুর তাপ ২. অক্সিজেন ৩. জ্বালানী এজন্য অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের কাজই হল এখান থেকে অন্ততঃ একটা উপাদান সরিয়ে দেয়া যাতে করে আগুন জ্বলতে না পারে। নির্বাপনঃ আগুনের থেকে এর অত্যাবশ্যকীয় তিন উপাদানের যে কোন একটা উপাদান সরিয়ে দিতে পারলেই আগুন নিভে যাবে। আর এ কাজ করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে। ক) তাপ অপসারনঃ তাপ অপসারনের সবচে’ ভাল পদ্ধতি হচ্ছে আগুনে পানি ঢেলে দেয়া। এতে করে জ্বালানীর তাপমাত্রা প্রজ্বলন তাপমাত্রার অনেক নিচে নেমে আসে।

ফলে তা জ্বলন প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দেয়। খ) অক্সিজেন অপসারনঃ আগুন থেকে অক্সিজেন অপসারন করতে হলে আগুনকে আবদ্ধ করে ফেলতে হবে যাতে এটা মুক্ত বাতাসের সংস্পর্ষ না পায়। এতে করে আগুনের আশপাশের অক্সিজেন জ্বলে শেষ হয়ে যাবে এবং অক্সিজেনের অভাবে আগুনের মৃত্যু ঘটবে। আর এটা করার উপায় হচ্ছে মোটা কম্বল দিয়ে আগুনকে ঢেকে দেয়া। তাছাড়া অদাহ্য পদার্থ যেমনঃ বালি বা বেকিং সোডা ইত্যাদি আগুনের উপর ঢেলে দেয়া।

গ) জ্বালানী অপসারনঃ অগ্নিনির্বাপনের সবচেয়ে কঠিন কাজ এটি। উদাহরন স্বরূপ কোন কাঠের তৈরি ঘরে লাগা আগুনের ক্ষেত্রে পুরো ঘরটাই জ্বালানী এবং এটা অপসারিত হবে কেবল তখন যখন সবটা পুড়ে যাবে। অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র ও তার ব্যবহারঃ অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র একটি মজবুত মেটাল সিলিন্ডার যার ভেতর পানি বা অদাহ্য অন্য কোন পদার্থ (তরল কার্বন-ডাই-অক্সাইড উদাহরন স্বরূপ) উচ্চ চাপে সংরক্ষিত থাকে। যখন লিভার চেপে সিলিন্ডারের ভালব খোলা হয় তখন ভিতরে রক্ষিত তরল সজোড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে যেমনটা হয় এ্যারোসলের ক্ষেত্রে। অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের মুখে একটি সেফটি পিন দিয়ে আটকানো থাকে।

যন্ত্র ব্যবহার করার সময় এই সেফটি পিন টান দিয়ে খুলে নিতে হয়। তারপর অপারেটিং লিভার নিচের দিকে চাপ দিলেই নজল দিয়ে বেরিয়ে আসে গ্যাস অথবা ফোম। নির্গত গ্যাস আগুনের শিখা লক্ষ করে ছাড়লে তা কাজে আসবেনা। সবচেয়ে ভাল ফল পেতে হলে জ্বালানী (যা জ্বলছে) লক্ষ করে গ্যাস ছাড়তে হবে। এবং অবশ্যই গ্যাস নির্গমন পাইপ ডানে-বায়ে নাড়াতে হবে (ঝাড়ু দেয়ার মত) যাতে করে চারপাশ থেকে বাষ্প উড়ে চলে যায়।

আর এই কাজটা করতে হবে নিরাপদ দূরত্বে থেকে এবং আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে যেতে হবে যখন আগুন নিভতে শুরু করবে। কোন কোন নির্বাপন যন্ত্রের মুখে চাপ নির্দেশক মিটার থাকে। অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের গায়ে ব্যবহার নির্দেশিকা দেয়া থাকে। এই নির্দেশিকা দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ভালভাবে পড়ে নেয়া উচিত। কারন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানা না থাকলে প্রয়োজনের সময় সেটা ব্যবহার করা হয়ত সম্ভব নাও হতে পারে।

বিভিন্ন রকমের নির্বাপন যন্ত্র থাকলেও তাদের ব্যবহার প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। এবং এটাকে একটা সুত্রের আকারে লেখা যায়ঃ PASS Pull the Pin at the top of the extinguisher. The pin releases a locking mechanism and will allow you to discharge the extinguisher. Aim at the base of the fire, not the flames. This is important - in order to put out the fire, you must extinguish the fuel. Squeeze the lever slowly. This will release the extinguishing agent in the extinguisher. If the handle is released, the discharge will stop. Sweep from side to side. Using a sweeping motion, move the fire extinguisher back and forth until the fire is completely out. Operate the extinguisher from a safe distance, several feet away, and then move towards the fire once it starts to diminish. Be sure to read the instructions on your fire extinguisher - different fire extinguishers recommend operating them from different distances. Remember: Aim at the base of the fire, not at the flames!!!! প্রয়োজনে এই নির্দেশিকা প্রিন্ট করে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র যেখানে ঝুলানো থাকে তার পাশে টাঙ্গিয়ে রাখা যেতে পারে। অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রের প্রকারভেদঃ আগুনের ধরনের উপর নির্ভর করে কোথায় কোন নির্বাপন যন্ত্র ব্যবহৃত হবে। খুব ভাল, কার্যকর ও জনপ্রিয় অগ্নিনির্বাপন উপাদান হচ্ছে পানি। কিন্তু ভুল জায়গায় এর ব্যবহার মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে।

পানি সাধারনতঃ জ্বলন্ত কাঠ, বাঁশ, কাগজ, কার্ডবোর্ড এজাতীয় পদার্থের আগুন নেভাতে পারে। কিন্তু পানি কখনোই বৈদ্যুতিক কিংবা দাহ্য তরলের আগুন নেভাতে পারেনা। বৈদ্যুতিক আগুনে পানি ঢাললে তা আপনাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ করতে পারে। আর দাহ্য তরলের আগুনে পানি ঢাললে তা আগুনকে আরও ছরিয়ে দিতে পারে যা ক্ষতির পরিমান বাড়াবে বৈ কমাবে না। একটি নিরাপদ অগ্নিনির্বাপন উপাদান হচ্ছে ড্রাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড।

যখন নির্বাপন যন্ত্রের ভালব খোলা হয় তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সম্প্রসারিত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসে পরিণত হয়। যেহেতু কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেনের চেয়ে ভারী তাই এটি জ্বালানীর চারপাশ থেকে অক্সিজেনকে সরিয়ে দেয়। তার ফলে আগুনের তিন উপাদানের একটি অপসারিত হয়ে আগুন নিভে যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় অগ্নিনির্বাপন উপাদান হচ্ছে ড্রাই ক্যামিকাল ফোম বা পাউডার যা সোডিয়াম বাইকার্বনেট (সাধারন বেকিং সোডা), পটাশিয়াম বাইকার্বনেট অথবা মনো এ্যামোনিয়াম ফসফেট দ্বারা তৈরি। বেকিং সোডা যখন উত্তপ্ত হয় তখন তা অল্প তাপেই (৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) ভেঙ্গে যায়।

এবং সোডা ভেঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইড-এ পরিণত হয়। সাথে থাকে ইনসুলেটিং ফোম যা একত্রে আগুনকে আবদ্ধ করে ফেলে এবং অক্সিজেন অপসারন করে। ফলে খুব দ্রুত আগুন নিভে যায়। আগুনের ধরন ভেদে চার ধরনের নির্বাপন যন্ত্র পাওয়া যায়। ক্লাস এ : এ ধরনের নির্বাপন যন্ত্র কাঠ, বাঁশ, কাগজ, প্লাস্টিক ইত্যাদি পদার্থের আগুন নেভাতে পারে এবং এধরনের যন্ত্রে নির্বাপন উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয় পানি।

সিলিন্ডারের গায়ে পানি ধারন ক্ষমতা ও কতটুকু আগুন নেভাতে সক্ষম তা উল্লেখ থাকে। ক্লাস বি : এ ধরনের নির্বাপন যন্ত্র পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, গ্রীজ ইত্যাদি পদার্থের আগুন নেভাতে পারে। সিলিন্ডারের গায়ে কত বর্গফুট আগুন নেভাতে সক্ষম তা উল্লেখ থাকে। ক্লাস সি : এ ধরনের নির্বাপন যন্ত্র বৈদ্যুতিক আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের যন্ত্রের গায়ে কোন রেটিং থাকেনা।

ক্লাস ডি : এ ধরনের নির্বাপন যন্ত্র রাসায়নিক পরীক্ষাগারে দাহ্য ধাতুর (যেমনঃ ম্যাগনেসিয়াম, টাইটানিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম) আগুন নেভাতে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের যন্ত্রের গায়েও কোন রেটিং থাকেনা। এবং এ ধরনের যন্ত্র কেবল মাত্র কাস ডি আগুনের জন্যই তৈরি, অন্য কোন আগুনে এ যন্ত্র ব্যবহার করা যায়না। যে ধরনের নির্বাপন যন্ত্রই ব্যবহার করুন না কেন একটা কথা মনে রাখতে হবে এসব যন্ত্র অল্প কিছুক্ষন হয়তোবা ১০/১২ সেকেন্ড ব্যবহার করা যায়। তাই ব্যবহার করার সময় যাতে পুরোটা কাজে লাগে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

তানাহলে দামী এ জিনিস অপচয় হওয়ার আশঙ্কা আছে। সবশেষেঃ আগুন আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত। আগুন ছাড়া আমাদের চলেনা। আবার এক মুহুর্তের অসতর্কতা নষ্ট করতে পারে মূল্যবান সম্পদ ও কেড়ে নিতে পারে অনেক অমূল্য প্রাণ। তাই আগুন ব্যবহারে যেমন সতর্ক হতে হবে তেমনি আগুন যদি লেগেই যায় তাহলে কি করতে হবে তাও আমাদের ভাল ভাবে জানতে হবে।

আরটিভিতে আগুন লাগার পর সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ উদ্ধার করতে গিয়েছিল কিন্তু হেলিকপ্টারের বাতাস সেই আগুনকে আরও বাড়াতে সাহায্য করেছিল। এখনও উঁচু ভবনে আগুন লাগলে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে দেখি জানালার গ্লাস ভাঙ্গতে। এতে করে আগুন আর আবদ্ধ থাকে না, প্রচুর অক্সিজেন সরবরাহ আগুনকে আরও বহু গুনে বাড়িয়ে তোলে। কাজেই এধরনের সচেতনতা প্রফেশনালদের ক্ষেত্রেও জরুরী। আগুন বিষয়ে গনমাধ্যমের উচিত ব্যাপক জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেয়া।

আর আমাদেরও ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেয়া দরকার। আমরা যারা এ বিষয়ে জানি তারা আমাদের আশপাশের জনগনকে সচেতন করে তুলতে পারি। আর প্রত্যেকের বাড়ি, দোকান বা অফিসে অন্ততঃ একটা অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র রাখা উচিত। প্রাথমিক খরচটা হয়ত একটু বেশি এবং হয়তবা কখনোই এটা ব্যবহার হবেনা, কিন্তু বিপদের সময় এই যন্ত্রটিই আপনার অনেক মূল্যবান সম্পদ বাচিঁয়ে দেবে এবং রক্ষা করবে অমূল্য জীবন। তাই আসুন আগুন ব্যবহারে নিজে সতর্ক হই এবং অন্যকেও সচেতন করে তুলি।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।