আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেননা রমিজার নিরুদ্দেশ হওয়াই একটা মিথ

আমি সিনেমা দেখি

পাঠকবৃন্দ; এটা একটা গল্প। যদিও গল্পের ভিতরে কোনো গল্প নেই। তবে একটা ঘটনা। ঘটনা না বলে একে কাহিনীই বলি। যদিও এটাই; মানে কাহিনীটাই একটা গল্প।

তবুও এর ভিতরে কোনো গল্প নেই। এই কাহিনীটাকে আমরা নিম্নলিখিতভাবে বিন্যস্ত করতে পারি। প্রথমেই আসা যাক এর চরিত্রগুলো কি কি বা কারা ১. একটি মৎস্য এবং যা খুবই প্রাচীন। ২. একটি দুধেল গাই ৩. কাসেম আলী ৪. ষোলর যুবতী রমিজা। আর ৫. আমি কাহিনীটিতে আমরা প্রধান চরিত্র কাকে নির্বাচন করবো তা মূলতঃ সব শেষেই বোঝা যাবে।

যদিও এর সব শেষ চরিত্র ‘আমি’ এবং আমার এই গল্পটি শোনা অন্য একজনের কাছে। তার নাম এখানে এনে তাকে আর কোনো চরিত্র হিসেবে তৈরি করলাম না। তো; শুরু করা যাক-এক এক করে ১. একটি মৎস্য এবং যা খুবই প্রাচীনঃ এটি একটি গজার জাতীয় মৎস্য। টগার হাওরে তার বাস। কত হাজার বছর যাবত এটি হাওরের গহীন তলদেশে বাস করছে তা কেউই জানে না।

শুধু যারা নিশি রাতে কোনো কারণে বা অকারণে; ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়; অমাবস্যা বা পূর্ণিমায় টগার বুকে এসেছে তারাই তাকে এক নজরের জন্য দর্শন করেছে। তাদের মুখের বয়ান অনুযায়ী বিশাল কাষ্ঠ খণ্ডের মতো কিংবা গাছের গুঁড়ির মতো মিশকালো দেহ। পানির উপর ভেসে রয়েছে। আর চোখ দুইটা জ্বল-জ্বল করছে তারার মতো। শুধু লেজখানা খুব আয়েশ করে নাড়ছে।

সেই নাড়াতেই পানির বুকে উঠছে উথাল-পাথাল। তবে সে কোনো দিন কারো অনিষ্ট কার্যে অংশগ্রহণ করেছে বলে কেউ জানে না। ২. একটি দুধেল গাইঃ এই গাইটি সাদা রঙের এটির একটি কালো বাছুর আছে। এটি সকালে ও বিকালে দুই বেলা সাড়ে সাত সেড় দুধ দেয়। তাকে সকালে টগার পাড়ে ছেড়ে দিয়ে আসা হয় ও বিকেলে ঘরে ফিরিয়ে আনা হয়।

সে খুব ভালো। সে কখনোই কাউকে ঢুঁশ বা লাথি মারেনি। ৩. কাসেম আলীঃ ২২ বৎসরের যুবক। তামা রঙের গায়ের চামড়া। সারাদিন নৌকা বেয়ে মানুষকে টগার প্রান্ত বদল করায়।

আর সন্ধ্যায় ফিরে আসে নিঃসঙ্গঁ ঘরে। ৪. ষোলর যুবতী রমিজাঃ তার সম্পর্কে সঠিক কাহিনী এখনও মেলেনি। ৫. আমিঃ কোথাও নেই। কাহিনীঃ তো যা বলা; সেই কাহিনীটি, একদিন রমিজা ছুটে যায় টগার পাড়ে। সময় তখন সন্ধ্যা ছোঁয় ছোঁয়... তার দুধেল গাইটিকে এখনও ঘরে ফেরানো হয়নি।

কিন্তু গাইটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। রমিজা গাই খুঁজতে লাগলো। কেননা গাইটি দুধেল। এদিকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত। কাসেম আলী ফিরছিল টগার অন্য প্রান্ত থেকে।

রমিজাকে দেখে থমকে দাঁড়ায়। এই রাতে মেয়ে মানুষ কেন টগার পাড়ে? কাসেম ঘরে ফিরে না। রমিজা খোঁজে দুধেল গাই। কাসেম দেখে রমিজাকে। এক সময় রাত হয় নিশি।

ভেসে উঠে একটি মৎস্য এবং যা খুবই প্রাচীন। কাসেম ও রমিজা অবাক চোখে দেখে। মৎস্যটি কাষ্ঠ খণ্ডের মতো। আর মৎস্যটি কি অদ্ভূত ভঙ্গিতে লেজটি নাড়ছে। কাহিনীটি মূলত এখানেই শেষ।

পাঠকবৃন্দ; শুধু সেইদিন সকালে কাসেম আলীর মৃতদেহ টগার পাড়ে পাওয়া যায়। যদিও রমিজার কোনো খোঁজ আর মিলেনি। আর আমি নামক চরিত্রটি শুধু বিন্দু হযে কাসেম; রমিজা ও পাঠকবৃন্দের দৃষ্টির শেষ সীমনায় অবস্থান করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.