আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সময়ের প্রয়োজনে

আজ একটা গল্প শুনাব। ঠিক যেন শেষ বিকাল এর মত বিরাট আকাশ। একটা লাউয়ের মাচা, কচি লাউ ঝুলছে। কয়েকটা ধানক্ষেত। দুটো তালগাছ।

দূরে আরেকটা গ্রাম। সেখানে আগুন জ্বলছে। জহির রায়হানের (১৯৩৫-১৯৭২) লেখা “সময়ের প্রয়োজনে” তরুন মুক্তিযোদ্ধার নোটখাতার বিবরন গল্পকারে পরিবেশিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প। সেই তরুন মুক্তিযোদ্ধার গল্প যে অপারেশনে গিয়ে পাকিস্থানিদের হাতে ধরা পরে। যার শেষ পরিণতি লেখক বলে যেতে পারেনি হয়ত সেই তরুন মুক্তিযোদ্ধা কে মেরে ফেলা হয়েছিল অথবা বেঁচে গিয়েছিল ভাগ্য চক্রে।

অনেকেই হয়ত পড়ে থাকবেন গল্পটা কিন্তু নতুন করে গল্পটা আপনাদের উথাপন করছি এই কারনে উক্ত গল্পে একটা জায়গায় উল্লেখ আছে যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের তাদের সেক্টর কমান্ডার প্রশ্ন করেছিলেন- “কেন যুদ্ধ করছ বলতে পার?” সবাই একি সাথে একি উত্তর দিয়েছিল, “দেশের জন্য। মাতৃভূমির জন্য। যুদ্ধ করছি দেশ কে মুক্ত করার জন্য। ” কিন্তু বাস্তবিকতার দিক দিয়ে চিন্তা করলে দেখা যাই যুদ্ধ হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনে। যুদ্ধ হয়েছিল সেই সব নরপিচাশদের বিরুদ্ধে যারা আমাদের রক্ত শুষে খাচ্ছিল।

কই আমরাত তাদের কোন ক্ষতি করিনি তবে কেন তারা আমাদের ২৬ মার্চ কুকুরের মত মারল। ২১ ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলন, নিজেদের ভাষা বাংলাকে মাতৃভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রাম যারা করেছিল তাদের দাবী এতটাই অসঙ্গত ছিল যে সালাম বরকতের মত নাম না জানা যুবকদের প্রান দিতে হয়েছিল। তাহলে বোধহয় ৭১ এর যুদ্ধ ঠিক ছিল সময়ের প্রয়োজনেই ঠিক ছিল। যতটা না ঠিক এখন আছে। শাহাবাগ মোড়ে নতুন প্রজন্মের ভিড় ঠিক যেন সময়ের প্রয়োজনে।

যুদ্ধে পাকিস্থানিদের ভুমিকা থাকলেও আরেক শ্রেণীর ভুমিকা খুব কম ছিল না। রাজাকার, আল-বদর, আল-শামছ। আজকের তরুন প্রজন্ম কেউ যুদ্ধ দেখেনি আমি নিজেও দেখিনি। কিন্তু তাই বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাইতে পারব না তাত কেউ বলেনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যখন খুব বেশি মাতামাতি চলছে ঠিক তখনি তার বিপক্ষেও অনেক কথা শোনা যাচ্ছে।

তাদের মধ্যে যে কথাটা শুনে সবচেয়ে হাসি লাগল “কাদের নামে আসলেই একটা রাজাকার ছিল কিন্তু এই ইসলামিক দলটাকে ধংস করতে আসল কাদেরের দোষ এই কাদের মোল্লার উপর চাপাইসে। ” আবার কালকে দেখলাম ২০০ টাকা আর বিরিয়ানি খাবার লোভে নাকি সবাই শাহাবাগ মোড়ে ভিড় করছে। কিন্তু তাদের জানা উচিত দেশ স্বাধীন করার সংগ্রাম যারা করেছে যারা যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল তারা যুদ্ধ বা সংগ্রাম করেনি খাবার জন্য। এখনকার তরুণরাও এই সংগ্রাম করছে না নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা জানে দেশ মানে মা দেশ আমাদের সবার যে দেশে আমরা বাস করি সে দেশ কে কলঙ্কমুক্ত করতে চাই সেই সব দুমুখি সাপদের হাত থেকে যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য দেশকে পাকিস্থানিদের হাতে বিক্রি করে দিয়েছিল। ২০১৩ সালে এসে আমাদের সংগ্রাম কোন বিশেষ দলের জন্য নয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোন প্রহসন নয়, কারো মদদে আমরা রাস্তায় নামিনি আমাদের শক্তি একটাই দেশকে মুক্ত যদি আমাদের তরুন প্রজন্মই করতে পারে তবে রাজাকারদের বিচার আমরাই করতে পারব।

তারুণের গান এখন আমাদের কণ্ঠে, বজ্রকন্ঠে বলিয়ান আমরা আর আমাদের একটাই দাবি রাজাকারের বিচার চাই। সময়ের প্রয়োজনেই চাই। আমরা সব সময় ছিলাম থাকব। অনেকদিন পর লিখলাম। বানান ভুলের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।