আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূতের বিশ্ববিদ্যালয়

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সেশনজন কমানোর জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আশা করা হয়েছিল এতে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ে চাপ কমবে এবং ডিগ্রী (পাশ)পরীক্ষা যথা সময়ে নেয়া যাবে। শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য এ পদক্ষেপ সঠিক ছিল কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে এখন যেটা হচ্ছে তা না বলে পারা যাচ্ছে না। আমি মনে করি ব্যর্থ হতেই চলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

বর্তমানে ডিগ্রী(পাশ) কোর্স ৩ বছর মেয়াদী করার কারণে দেশের ডিগ্রী কলেজগুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশী। এই কোর্স শেষ করতে কত বছর লাগবে তা উক্ত কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা জানে না। দুই সেশন মিলে ১ম সেমিষ্টারে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী অপেক্ষা করছে তাদের পরীক্ষার জন্য। ১ম বর্ষ (নতুন)ইতিমধ্যেই প্রায় ১ বছর ক্লাশ শেষ করেছে, অন্যদিকে ১ম বর্ষ (পুরাতন) পরীক্ষার ফরম পূরণ করে বসে আছে, কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে তা কেউ জানে না। অবস্থা খুবই বেগতিক।

ইদানিং শোনা যাচ্ছে ডিগ্রী(পাশ) কোর্স পুনরায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দিয়ে দেয়া হবে। আমার স্যার ডঃ আব্দুল কাদির ভূঁইয়া(সমাজবিজ্ঞান)রাঃবিঃ এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় একদিন টিউটোরিয়াল ক্লাসে আমাদের ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি ভূতের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে তোমরা কি তা জান? আমি বলেছিলাম স্যার, ভূতেরা তো লেখাপড়া করে না, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় দরকার কেন? তিনি তখন প্রায় রেগে গিয়ে বলেছিলেন, তুমি তো একটা চড়ুই পাখি। দুনিয়ার কোন খবর রাখো? সত্যিই অবস্থা দেখে এখন আমার মনে হচ্ছে স্যারের কথাই ঠিক ছিল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।