আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূতের ভয়? আর নয়, আর নয়



ঘুমানোর সময় স্মৃতিকে নিপুণভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভয়কে জয় করুন।

আপনি যে জিনিসটি নিয়ে ভয় পান এটি সাপ বা উড়ন্ত কোন কিটপতঙ্গই হউক না কেন এ সবই এক দিন আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পার করে দিবেন। একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অনেক ভয়ানক স্মৃতিও ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পার করে দেওয়া সম্ভব। এই পরীক্ষায় যে পদ্ধতিটি অনুসরণ করা হয়েছে তা হল ঘুমানোর পরে ও আগে ভয়ানক ব্যাপারটিকে লোকটির সামনে বার বার উপস্থাপন করা।

আমরা জানি ঘুম হচ্ছে স্মৃতিকে প্রক্রিয়াকরনের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি।

প্রতি রাতেই দিনের সমস্ত সব ঘটনাকে একত্রিত করে সবকিছু প্রতিফলিত করা হয়। শিকাগোর নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাথরিন হনার বলেন যে, ঘুমের এই সময়টাতে কোন বিশেষ ঘটনাকে চাইলেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

এই গবেষক দলটি ১৫ জন লোককে একটি নিয়ন্ত্রণে এনে তাঁদেরকে ভয়ের একটি পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। তাঁদেরকে এম.আর.আই. মেশিনের কাছে এনে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা বিভিন্ন ঘ্রাণ পরখ করতে দেওয়া হয়। যেমন- লেবু, পুদিনার ঘ্রাণ।

প্রতিবার ঘ্রাণ পরখ করার সময় একটি ছবি দেওয়া হয়, সাথে মৃদু বিদ্যুৎ শক দেওয়া হয়।

তাদের এই পরিবর্তন ত্বক পরিবাহকতা মাপক (এস.সি.আর.) ও এম.আর.আই. এর মাধ্যমে করা হয়। প্রথমবার বিদ্যুৎ শক দিয়ে বিভিন্নভাবে ছবি দিয়ে ভয় পাওয়ানোর মাধ্যমে কাজটি করা হয়।
পুরো ব্যাপারটিকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে এসে অংশগ্রহণকারীদের স্ক্যানারের বাইরে নিয়ে ৪০ মিনিট ধরে ঘুমাতে দেওয়া হয়। এই বার তাদেরকে বিদ্যুৎ শক ছাড়া যেই জিনিস্টি তারা ভয় পেতে ঘ্রাণ শুঁকতে দেওয়া হয়।



আবার এই তথ্য উপাত্ত স্ক্যানারে নিয়ে পরিমাপ করা হয়। এখনও কিছুটা ভয়ের সাড়া পাওয়া যায়। কিন্তু যতই ভয় দেখিয়ে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করা হয় দেখা যায় ভয় ততই কমে যাচ্ছে।
আবারও যখন ব্যাপারটা নিয়ে কথাবার্তা প্রায় বন্ধ হয় তখন তাদের ভয়void(0); প্রবণতা এস.সি.আর. void(0);ও এম.আর.আই. মেশিনের পরীক্ষা করা হয়। যা অন্যান্য মানুষদের তুলনায় অনেক ভাল।


অন্য আরেকটি দলকে ঘুমের পরিবর্তে ভয় পাওয়া কমানোর জন্য টিভি দেখতে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ভয়ের মাত্রার কোন পরিবর্তন সাধিত হয় নি। কাজেই ভয় পাওয়া থেকে বাঁচার অভিনব পদ্ধতিটি এই যে কতটা উপকারী তা এখন যে কথাটি বলব তা পড়লেই বুঝতে পারবেন। অধিক ভয় থেকে চাপে আপনার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিভিন্ন ধরনের মস্তিষ্কঘটিত সমস্যা হতে পারে।
তথ্যসুত্রঃ নিউ সায়েন্টিস্ট
Nature Neuroscience doi:10.1038/nn.3527


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।