আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদুৎ চুরি করার সেই দিন গুলো

কোথাও যদি হারিয়ে আমি যাইগো কোন দিন , যেও ভুলে , আমায় যেও ভুলে

শিরোনাম দেখে অনেকই বলবেন বিদুৎ ই ্যেখানে থাকেনা চুরি আবার কিভাবে ? হ্যা ঠিকই বলছেন এখন যে সময়টুকু বিদুৎ থাকে তাতে করে চুরি করার সময় কই আর। আর বেশীর ভাগ সময় বিদুৎ বিহীন থাকায় মিটারেও তেমন বিল হবার কথা না!!!!!! তবে ১৯৯৭ /৯৮ সালের দিকে এতটা বিদুৎ আসা যাওয়া করে নি। তার মানে এই না যে লোড শেডিং হতো না । হতো তবে খুব অল্প সময়ই হতো। ওয়াপদার দেওয়া বিদুৎ সংযোগে মাসে নিদিস্ট একটা বিল দিতাম আমরা , ব্যবহার যতোই হোক না কেন।

তা মাসে ২৫০/৩০০ টাকার মধ্যে সীমা বদ্ধ থাকত। মিটার ছিল কিন্তু কখনো তা ঘুরতে দেখী নি। কয়েক মাস পর পর বিদুৎ এর লোক এসে মিটার হাতে ঘুরিয়ে দিয়ে যেত। আর এই পদ্ধতি যে শুধু আমরা ই করতাম তা না এটাই ছিল একমাত্র সিস্টেম সবার জন্য । সবার কি আরামে দিন কাটতো অল্প বিলে ফ্যান টিভি চলত ।

আহ কত শান্তি। সবার শান্তি হারাম করে দিয়ে আসল পল্লী বিদুৎ। প্রতি পরিবারে আলাদা মিটার । তাও আবার ঘরের বাইরে থাকবে। ইউনিট হিসাবে বিল দিতে হবে কোন ফাকি বাজি চলবে না।

কিন্তু ফাকি বাজি না চললে বিলতো আসবে হাজার খানেক টাকা প্রতি মাসে। কিভাবে চুরি করা যায় বিদুৎ????????????? সবাই পন্থার খোজে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই পেয়ে গেলাম চুরির মোখ্ম পন্থা। বিদুৎ এর মিটারে পরেই নিরাপত্তা ফেইজে কারেন্ট যেত তার পর সারা ঘরে বিতরণ হতো। নেগেটিভ আর পগেটিভ এই দুই লাইনে একটি ফেইজ থাকতো ।

আমরা দুই লাইনে দুইটি ফেইজ বসালাম । নেগেটিভ থেকে একটি অতিরিক্ত তার দিয়ে মিটারের যে অংশ দিয়ে বিদুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতাম সতর্কতার সাথে। ব্যাস মিটার ঘুরা বন্ধ। সন্ধার পর থেকে সারা রাত এভাবে চলত। সকাল বেলা খুলে রাখতাম।

আবার বিল ২০০/২৫০ টাকায় নেমে এলো । এরকম অনেকই ব্যবহার শুরু করল তাতে করে পল্লী বিদুৎ সমিতি সন্দেহ শুরু করল । তারা রাতে বাড়ি বাড়ি লোক পাঠাত মিটার চেক করা জন্য। এতে করে বিদুৎ চুরি করা ঝুকি পুর্ণ হয়েগেল। চুরি বন্ধ।

কিছু দিন যেতেই আবার নতুন পন্থা পেলাম । তাও খুবই সহজ আর মজার। মিটার বসাতো ওরা কাঠের টুকরার সাথে। আর সেটা ঘরের বেড়ার সাথে পেরেক মেরে আটকে দিত। দুই কোনায় দুই পেরেক।

মিটারে নিচে কাঠকে একটু জোরে চাপ দিতেই একটা পরেক আলগা হয়ে যেত আর একটা লাগানো থাকতো তাতে করে মিটার কাত হয়ে যেত । আর কোন কারণে কাত হবার ফলে মিটার ঘুরতো না। সহজ পদ্ধতি হওয়া অনেকেই ব্যবহার করত যখন বেশী বিদুৎ খরচ হতো। এভাবে প্রায় দুই বছর পল্লী বিদুৎ সমিতির পুন মেরেছিলাম । এর পর এক মামা পল্লী বিদুৎ সমিতির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি হবার পর চির তরে চুরি বন্ধ করি।

আর স্বাভাবিক বিল দিতে থাকি ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.