আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপানের ডায়েরী-২০!

সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
আজ আমাদের ছুটিও ভাই, আজ আমাদের ছুটি!!!! কাজকর্ম আর ছুটি মানব জীবনে খুব কঠিনভাবে জড়িত। সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যস্তময় সময় অতিবাহিত করছেন, যেহেতু আমরা মানুষ, শরীর তার নির্দিষ্ট কর্মঘন্টার পর নিস্তেজ হয়ে আসে, আমরাও হারিয়ে ফেলি স্পৃহা। এজন্য দরকার আরাম, যাতে ক্লান্তি আর অবসাদ দুর হয়। তাই ব্যস্ততার পর ছুটিকে খুবই আকাঙ্খিত মনে হয়।

দুনিয়ার যে যতই কর্মপরায়ন হউক না কেন, আমার মনে সবাই ছুটির জন্য লালায়িত থাকে। আমিও তেমন, যা হোক আজ থেকে আগামী ৫ই জানুয়ারী পর্যন্ত লম্বা এক ছুটি। বাংলাদেশে যেমন আমরা অনেকেই ১দিনের ছুটিকে জোড়াতালি দিয়ে ২/৩দিন করে ফেলি, জাপানে এটা সম্ভব না। কারন এখানে ধর্মীয় সাইড থেকে ছুটি কম, মানে জাপানীরা ধর্ম কে অতটা গুরত্ব দেয় না, কাজকেই এরা ধর্ম বানিয়েছে। ফলে যেকোন ধর্মীয় দিবসের ছুটি এখানে নেই।

তাই বড়দিনের মত মাল্টিন্যাশনাল ধর্মীয় দিনেও জাপানে ছুটি ছিল না, আমাদের অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবের দিনতো বাদই দিলাম। সেই হিসাবে এখনকার শীতকালীন ও বৎসর শেষের ছুটিতাই সর্বাধিক লম্বা ছুটি। যদিও আমি বাংলাদেশি স্টাইলে এই ছুটি উপভোগের জন্য ২দিন আগে থেকেই নিজে নিজেই ছুটি ঘোষনা করেছি। ছুটি নিয়ে একটা ঘটনা বলি, আমার ল্যাবে আর একজন ইন্দোনেশিয়ান আছেন, ও স্বাভাবিক ধরেছে জাপানে আর যাই হোক বড়দিনের ছুটি আছে, সে তাই ঐদিন ল্যাবে আসে নাই, আমি ল্যাবে ছিলাম, কারন জানি ছুটি নাই (আগে ধরা খেয়েছিলাম), কিকারনে ওকে ফোন দিয়েছি, সে বলছে, আমি কই, বললাম ল্যাবে, সে আশ্চার্য্য হয়ে গেছে, ছুটির দিনে ল্যাবে কেন, আমি বললাম বড়দিনের ছুটি নাই, তাই ল্যাবে, সে তখন পড়িমরি করে ল্যাব ছুটে এসেছে। আর আমি ঘোল খেয়েছিলাম, গত ২৩শে ডিসেম্বরে, ক্যালেন্ডারও খেয়াল করি নাই, মোবাইলে ছুটির লিস্টও দেখই নাই (জাপানে মোবাইল ফোনের ক্যালেন্ডার অপশনে জাপানীজ সরকারি ছুটির দিনগুলো উল্লেখ থাকে) ক্যাম্পাসে গিয়েই সন্দেহ হল, দেখলাম ছাত্র-ছাত্রীরা ট্রাউজার-ট্রাকস্যুট পড়ে জিমনেশিয়ামের দিকে যাচ্ছে, ল্যাবে আসলাম, এমনি শীতকালিন ছুটি উপলক্ষে এরা আসাও কমে দিয়ে, লাঞ্চ পর্যন্ত পুরা ল্যাবে একা।

প্রফেসরকে মেইল দিছিলাম, একটা সমস্যা নিয়ে, দেখি উত্তর দিয়ে, সে বাসায় আজ জাপানের রাজার জন্মদিন, তাই ছুটি........আর আমি, না জেনে অর্ধেকদিন নষ্ট করলাম, সোনার হরিন ছুটিকে, তারপরই বাসায় রওনা দিলাম। যা হোক অনেক বকবক করলাম, বিরক্ত আনার জন্য স্যরি। এবার আপনাদের জন্য আমার একটা প্রিয় গান........।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।