আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অশরীরী অস্তিত্বঃ সুপারন্যাচারাল এক্সপেরিয়েন্স

জামাত-শিবির দূরে গিয়া মর! আপনি কি অশরীরী অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন? অনেকেই দাবী করেন তিনি ভুত বিশ্বাস করেন না, কিন্তু জ্বীনের ব্যাপারে অস্পষ্টতা কিন্তু রয়েই যায়। "মুসলমান হয়ে জন্মেছি তাই জ্বীন বিশ্বাস করা উচিৎ, তবে সাইন্স পড়েছি তাই জ্বীন বিশ্বাস করতে পারি না। " আমার অবস্থা অনেকটা এই প্রকৃতির। কখনো অতিপ্রাকৃত ঘটনার সম্মুখিন হইনি। তবে আমার বন্ধুদের অনেকেই অশরীরি অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে, বেশ কঠিন ভাবেই বিশ্বাস করে, এবং আমার কাছের কিছু মানুষের অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা হয়েছে।

আমি কয়েকটা ঘটনা শেয়ার করি, এবং আপনাদের কার্ও যদি কোন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে, প্লিজ শেয়ার করবেন। ১) আমার বন্ধু রাফি (ছদ্মনাম) একটা মসজিদের পাশের মেসে থাকে। মসজিদের চারপাশে প্রচুর গাছপালা, সুপারি আর মেহগনির বাগান। তেমন বাড়ি ঘর নেই শুধু মসজিদ, ওদের মেস আর একটা হাফেজি মাদ্রাসা। রাফি আর ওর রুমমেট বন্ধুরা মাঝে মাঝেই ছাদের উপর পাটি পেতে শুয়ে থাকতো, বিড়ি-সিগারেট খেত।

মাঝে মাঝেই মসজিদের উপরে নাকি আগুনের গোলা/ফুলকি ছোটাছুটি করতে দেখা যেত। আরেক দিন দেড়টার দিকে ওরা তিন বন্ধু মিলে বাইরে সিগারেট খাচ্ছিল। এমন সময় রাস্তা দিয়ে (রাস্তা ১০ মিটার এর মত দূর) একজন বুড়িকে লাঠিতে ভর দিয়ে যেতে দেখেছিলো। এত রাতে বুড়ো মানুষ দেখে এরা একটু আজব হয়, তাই একটু এগিয়ে যায়, কিন্তু তখন একদম ফকফকা, কিছুই নেই। অথচ বুড়িকে ওরা তিনজনই দেখেছিল।

আমার এই বন্ধুটা আমার কাছে কখনো মিথ্যা বলে না। ২) আমার বন্ধু শাকিলরা যখন নতুন বাড়ি করে, তখন সেখানে তেমন বসতি ছিলনা, বেশ ফাকা জায়গা চারপাশে। শাকিল আর ওর ছোট ভাই প্রায় রাতেই ওদের বাবার ডাক শুনতে পেত। দৌডে গিয়ে দেখত বাবা ডাকেনি। প্রায় বছর দুই ওরা দুই ভাই এভাবে ডাক শুনতে পেত, ওদের আম্মার নিষেধ ছিল ডাকে যেন সাড়া না দেয়।

৩) আমার নানার শখ ছিল বড়শি দিয়ে মাছ মারা। তিনি ও তার বন্ধুরা প্রায়ই নদীতে মাছ ধরতে যেতেন। বেশ রাত করে ফিরতেন। তাদের অনেক আজব অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমরা ছোট বলে কখনো আমাদের সামনে বলতেন না, তবে তিনি প্রবলভাবে অশরীরী অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন।

৪) আমাদের ভাড়াটিয়া আন্টির মামার নাকি জ্বীন সাধনা আছে। মাস কয়েক আগে তিনি ও তার বোনেরা সেই মামাকে চেপে ধরেন জ্বীন দেখানোর জন্য। মামা কিছুতেই রাজী হচ্ছিলেন না। শেষে জ্বীনের আলামত দেখাতে রাজী হন। আন্টিদের সামনেই একবাটি দুধ রাখেন, একটু বাতাসের ঝাপটা এলো এবং বাটির দুধ গায়েব।

আরো চাপাচাপির পর আন্টিরা নাকি জ্বীনের শরীর স্পর্শ করেছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম জ্বীনের দেহ কি রকম? আন্টি শুধু হাসেন। এইসব শুনে আংকেল আর আন্টির ছোট ভাই খুব হাসাহাসি করেছিলেন। তখন ঐ মামা এই দুইজনকে একটা রুমে নিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে কিছু একটা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শর্ত ছিলো যাই ঘটুক সেটা ঐ রুমের বাইরে কেউ যেন না জানে।

আমরা আংকেলকে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি, ঐ রুমে কি হয়েছিলো, আংকেল জবাব দেননি, শুধু বলেছেন, জ্বীন আছে, এটা তিনি বিশ্বাস করেন। আজ পর্যন্ত আমার কোন এক্সট্রা-অর্ডিনারি অভিজ্ঞাতা হয়নি, তবে কাছের কয়েকজন মানুষের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার বিশ্বাস এখন সন্দেহবাদী পর্যায়ের। অশরীরী অস্তিত্ব স্বীকার করি না, আবার এইগুলা নেই এটাও বলি না। আপনাদের কোন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকলে বলবেন।

 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।