আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অশরীরী

আমি অতি সাধারণ মানুষ উৎসর্গঃ এদেশের সেবায় নিয়োজিত সকল নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদকে। জামিল সাহেব প্লাটফর্মের সাথে লাগোয়া বেঞ্চে বসে আছেন। পাড়াগাঁয়ের রেলস্টেশন। মানুষজন খুব একটা নেই। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে আজ সকাল থেকেই।

নভেম্বরের মাস প্রায় শেষ। এই বৃষ্টি শীত নামিয়ে ফেলবে। জামিল সাহেবের এখনি একটু শীত শীত লাগছে। পাতলা একটি হাফহাতা পোলো শার্ট পরে আছেন তিনি। মাঝে মাঝে দমকা বাতাসে একটু একটু কাঁপছেন।

এই রেলস্টেশনে তিনি একরকম বাধ্য হয়ে বসে আছেন। তার গাড়িটা হঠাৎ নষ্ট হয়ে যাওয়াতে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে মৌলভি বাজার এসেছিলেন। আজকের মাঝেই তার ঢাকায় ফেরা দরকার। গাড়ির ব্রেকে সমস্যা হয়েছে।

আশেপাশে কোন মেকানিকের দোকান নেই। কাছাকাছি মেকানিকের দোকান আছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের রায়পুর বাজারে। ড্রাইভারকে গাড়ি ঠিক করতে ওখানে পাঠিয়ে দিয়েছেন জামিল সাহেব। তিনি এখন ট্রেনের জন্য বসে আছেন। ট্রেন আসলে তিনি ট্রেনে করে চলে যাবেন।

গাড়ি ঠিক করতে সম্ভবত অনেক দেরি হবে। ট্রেন কখন আসবে বুঝা যাচ্ছে না। ছোট জংশন। দিনে মাত্র দুটা ট্রেন এখানে থামে। একটা আসে সকাল এগারোটায়, আরেকটা বিকাল পাঁচটায়।

এখন প্রায় চারটা বাজে। আরো একঘন্টার মত তাকে এখানে বসে থাকতে হবে। তবে জামিল সাহেবের মনে হচ্ছে ট্রেন পাঁচটায় আসবে না। বাংলাদেশের ট্রেন টাইমটেবিল মেনে চলে না, নিজের খেয়ালখুশি মত চলে। দুপুর একটা থেকে তিনি এখানে বসে আছেন।

খাওয়া দাওয়া করেননি এখনো। এখন ক্ষিদেটা জানান দিচ্ছে। আশেপাশে কোন দোকান নেই যে কিছু কিনে খাবেন। এক ফেরিওয়ালা টুকরিতে করে চকলেট, লেবেঞ্চুশ আর বিস্কুট বিক্রি করছে। জামিল সাহেবের বিস্কুট খেতে ইচ্ছা করছে না।

বৃষ্টি সহজে থামবে বলে মনে হচ্ছে না। সম্পূর্ণ আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢাকা। এই বিকাল চারটার সময়ই মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। জামিল সাহেব চুপচাপ বসে আছেন। তার দৃষ্টি সামনের আমগাছটায়।

একটা পাখি তার ছোট্ট ছানাকে বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। জামিল সাহেব মা পাখিটার কার্যকলাপ দেখছেন। -স্যার, ভালা আছেন? জামিল সাহেব চমকে উঠলেন। তার সামনে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে হাসিমুখে। ভেজা শরীর।

সম্ভবত বৃষ্টিতে ভিজেছে। চুল থেকে এখনো চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ছে। লোকটার গায়ে ময়লা একটা কোট। বয়স ৪৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীর ভেঙে গেছে।

জামিল সাহেব পাল্টা প্রশ্ন করলেন- আপনি কে? -স্যার, আমার নাম হইল মিজান। -তা আমার কাছে কি চান? -কিছু না স্যার। আপনের পাশে একটু বসুম। এর লাইগা অনুমতি চাইলাম। -বসেন।

মিজান বসল। -স্যার, ভালা আছেন? জামিল সাহেব বিরক্তি নিয়ে তাকালেন মিজানের দিকে। -হ্যাঁ ভালো আছি। -স্যার, কি কিছু লইয়া দুশ্চিন্তা করতেছেন? -আপনাদের এখানে বিকালে কখন ট্রেন আসে? -কোন ঠিক নাই স্যার। কোনদিন পাঁচটা, কোনদিন ছয়টা, কোনদিন সাতটা।

মাঝে মইধ্যে আহেও না। -আসে না মানে? -মানে স্যার হেইদিন আর বিকালে ট্রেন আহে না। স্যার কই যাইবেন? -ঢাকা যাব। -তা আপনে এই ট্রেনে কইরা ঢাকা যাইবেন কে? এইডা তো থার্ড কেলাস ট্রেন। -একটু ঝামেলাই পড়ছি বলেই এই ট্রেনে যাচ্ছি।

-স্যারের গাড়ি কই? জামিল সাহেব অবাক হলেন। তার যে গাড়ি আছে সেটা এই লোক জানল কিভাবে? লোকটা খুব একটা সুবিধার বলে মনে হচ্ছে না। -স্যারের গাড়ি কই? আবার প্রশ্ন করল লোকটা। -গাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। রায়পুর বাজারে পাঠিয়েছি ঠিক করার জন্যে।

-এইবার আপনের ব্যাপার বুঝছি। এইহান থেইকা ঢাকা যাওনের জন্য ট্রেন ছাড়া উপায় নাই। বাসে যাইতে হইলে মেলাদূর যাওন লাগব এইহান থেইকা। গাড়ি কি আপনের এইহানে নষ্ট হইছে? -আরেকটু সামনে নষ্ট হয়েছিল। -আইচ্ছা আইচ্ছা।

তা কখন থেইকা এইহানে বইসা আছেন? -দুপুর থেকে। -খাইছেন কিছু? মনে তো হয় কিছু খান নাই। আর খাইবেনই বা কেমনে! কিছু তো নাই এইহানে, বলে মিজান কোটের পকেট থেকে একটা পলিথিন বের করে। এইহানে কিছু মুড়ি আর গুর আছে। আসেন দুইজনে মিল্লা খাই।

জামিল সাহেব নড়েচড়ে বসলেন। লোকটা অজ্ঞান পার্টির কেউ নয়তো! এত নীরব, ছোটখাট রেলস্টেশনে অজ্ঞান পার্টি থাকার কথা নয়। এখানে মানুষের ভিড় নেই। অজ্ঞান পার্টির কাজ কারবার মানুষ নিয়ে। যেখানে মানুষ নেই সেখানে অজ্ঞান পার্টির থাকার কথা নয়।

কিন্তু তাহলে লোকটা কে? কি চায় তার কাছে? -স্যার মনে হয় খাইবেন না, তাইনা? আমারে অজ্ঞান পার্টি মনে করতাছেন নাকি? জামিল সাহেব কিছু বললেন না। তার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। এই লোকটার সাথে তার কথা বলতে বিন্দুমাত্র ইচ্ছা করছে না। লোকটার পাশে বসে থাকতেও ইচ্ছা করছে না। অথচ উঠে যেতেও পারছেন না।

প্লাটফর্মে আর একটা বেঞ্চ আছে বসার জন্য। কিন্তু সেটা ভাঙ্গা। এই ড্রাইভারটার জন্যই সব ঝামেলা হয়েছে। এই ড্রাইভার কোনো কাজের না। ঢাকায় পৌছে একে বিদায় করতে হবে।

-স্যার, আমি অজ্ঞান পার্টি না। আর অজ্ঞান পার্টি এইখানে আইসা করব কি? এইখানে তো মানুষই নাই। যেইখানে মানুষ নাই, সেইখানে অজ্ঞান পার্টিও নাই। তয় আমি আপনারে জোর করুম না। আর মুড়িও তেনাই গেছেগা।

এই মুড়ি চিবাইয়া আরাম পাইবেন না। জামিল সাহেব ঘড়ি দেখলেন। চারটা পঞ্চাশ বাজে। আর দশ মিনিট পরই বিকালের ট্রেন আসার কথা। তবে ট্রেন আসবে কিনা বুঝা যাচ্ছে না।

তিনি প্ল্যাটফর্মের আশেপাশে তাকালেন। পুরো প্ল্যাটফর্মে এখন মানুষ তিনজন। তারা দুজন ছাড়া আর আছেন ঐ ফেরিওয়ালা। বৃষ্টির বেগ বেড়ে গেছে। ফেরিওয়ালা তাই আটকা পরে গেছে এখানে।

নাহলে এই জনশূন্য রেলস্টেশনে ফেরিওয়ালার বসে থাকার কোন মানে হয় না। মুড়ি খাওয়া শেষ করে গুড়ের টুকরা কাগজে পেঁচিয়ে আবার কোটের ভিতরে রাখল মিজান। -ট্রেন মনে হয় আইবোনা। -কেন? -মনে হয়। স্যার ট্রেন না আইলে ঢাকা যাইবেন কেমনে? -আপনার চিন্তা করতে হবে না।

-স্যার, বিষ্টি যেই বাড়া বাড়ছে, আপনে তো কোনো দিকেই মনে হয় যাইতে পারবেন না। এই বিষ্টি এত সহজে থামবো বইলা মনে হয় না। -আমার কথা ভাবা লাগবে না। আপনি বাড়ি যাবেন কিভাবে সেটা চিন্তা করেন। আপনার বাড়ি কই? -আমার বাড়ি দূর আছে।

আপনে চিনবেন না। আপনে বরং আপনের ড্রাইভাররে ফোন দিয়া বলেন সে যেন একটা গাড়ি ভাড়া কইরা এইখানে নিয়া আসে। আপনে ঐ গাড়িতে কইরা চইলা যাইয়েন। ট্রেন আইজকা আইবোনা। জামিল সাহেব বসা থেকে উঠলেন।

একবার খোঁজ নেয়া দরকার। তিনি টিকেট ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন। উঁকি দিয়ে দেখলেন ভিতরে একজন মানুষ টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। এই লোকটাই টিকেট বিক্রি করে। জামিল সাহেবের ডাকাডাকিতে লোকটা ঘুম থেকে উঠল।

-ভাই, আজকে কি ট্রেন আসবে? -না। ভৈরব এক্সিডেন্ট হইছে। বগি লাইনের থেকে বাইর হইয়া গেছে। এইটা ঠিক করতে মেলা টাইম লাগব। আজকে মনে হয় আর আইবোনা ট্রেন।

-এইখান থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে কিভাবে? -আপনের আগে রানিনগর যাওন লাগব। কিন্তু এই বিষ্টিতে যাইবেন কেমনে? -রানিনগর এখান থেকে কতদূর? -দূর আছে। সাত-আট কিমি হইব। -কি দিয়ে যাওয়া যায়? -মাঝে মইধ্যে বাস আসে। রানিনগর যায়।

তয় অনেক পর পর আসে। আসলে একটা বাইপাস রোড হইয়া যত গেঞ্জাম হইছে। আগে বাস-টাস অনেক যাইত। এখন সব বাইপাস রোড দিয়া যায়গা। এইখান দিয়া অখন আর বাস-টাস খুব একটা যায় না।

জামিল সাহেব টিকেট ঘর থেকে সরে আসলেন। ভালই সমস্যায় পড়েছেন তিনি। ড্রাইভারকে ফোন করার জন্য পকেট থেকে ফোন বের করলেন। ফোন বন্ধ। সম্ভবত চার্জ শেষ।

তিনি আবার এগিয়ে গেলেন টিকেট ঘরের দিকে। -ভাই, আপনার ফোন থেকে একটা ফোন দেয়া যাবে? আমার ফোন বন্ধ হয়ে গেছে। চার্জ নেই। -আমার কোন ফোন নাই। -কি করি বলেন তো ভাই? এখন ঢাকা যাই কিভাবে? -বিষ্টি কমলে রাস্তায় যাইয়া দাঁড়াইয়েন।

-বৃষ্টি কমবে বলে তো মনে হচ্ছে না। -তাইলে আর কি করবেন! রাইতটা এইখানেই কাটাইয়া দিয়েন। কাইলকা সকালে ঢাকা রওনা দিয়েন। জামিল সাহেব হতাশ হয়ে বেঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। মিজান এখনো বসে আছে।

জামিল সাহেব বেঞ্চে বসলে মিজান বলল- স্যার, গাড়ি আইবো না তাইনা? জামিল সাহেব মাথা নাড়লেন। মিজান বলল- স্যার, আপনের গরীবের পার্টির লোকগোরে খবর দেন। ওরা আপনেরে সাহাইয্য করব। তয় এইখানে তো আপনের এন্টি পার্টির দাপট বেশি। গরীবের পার্টি সরকারে আইলেও এই এলাকায় জিততে পারে নাই।

এইখানে তারা হাইরা গেছে। দক্ষিণবাজারে গরীবের পার্টির একটা অফিস আছে। তয় হেইডা গত দুইমাস ধইরা একবারো খোলে নাই। জামিল সাহেব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। কে এই লোক? এতকিছু জানে কিভাবে? তিনি গরীবের পার্টি করেন এটা জানল কিভাবে? -আপনার পরিচয় কি ভাই? আপনি করেন কি? প্রশ্ন করলেন জামিল সাহেব।

-আমার নাম তো আপনেরে আগেই কইলাম স্যার। আমি মিজান। এখন কিছু করি না। তয় একসময় রিসকা চালাইতাম। আর চুরি করছিলাম তিনবার।

-চুরি করেছেন কেন? -একবার রিসকা বাইরে রাইখা হোটেলে পানি খাইতে গেছিলাম। আইসা দেখি রিসকা গায়েব। পুরা পথে বইসা গেলাম। টেকা পয়সা কিছু নাই। খাওয়ার লাইগা পোলাপানগুলা কান্দাকাটি করে।

অনেক চেষ্টা করলাম, মাগার কোন কাজ পাইলাম না। শেষে আর থাকতে না পাইরা এক রাইতে এক বাসার জানালা দিয়া মোবাইল চুরি করলাম। মোবাইল বেইচা কয়েকদিন ভালই চললাম। তারপর আবার যখন টেকা শেষ হইল তখন আরেক বাসায় মোবাইল চুরি করলাম। শেষে আপনের বাসায় মোবাইল চুরি করতে গিয়া ধরা খাইলাম।

জামিল সাহেব বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছেন। তার আবছা আবছা মনে পড়ছে বছর তিনেক আগে তার বাসায় মোবাইল চুরি করতে গিয়ে এক চোর ধরা পরেছিল। কিন্তু এই লোক এখানে আসল কি করে? -তারপর আপনে আরো লোকজন লইয়া আমারে বেদম মারা মারলেন। অনেক কাকুতি মিনতি করছিলাম। আপনের মায়া হয় নাই।

মারতে মারতে আধমরা কইরা আমারে রাস্তায় ফালাইয়া দিলেন। আমার তহন জ্ঞান আছিলো না। চোখ খুইলা দেখি আমি ঢাকা মেডিকেলে। কে আনছিল এইখানে তাও জানিনা। ঐ হাসপাতালেই দুইদিন পর মইরা গেলাম।

জামিল সাহেবের মেরুদন্ড দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। তার সামনে একটা মৃত ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে? এটা কিভাবে সম্ভব! তার মাথা কাজ করছে না। মিজান কোটের ভিতর থেকে একটা ছোট লাঠি বের করল। লাঠিটা জামিল সাহেবের সামনে ধরে বলল- স্যার, দেহেন তো লাডিডা চিনতে পারেন কিনা? জামিল সাহেব লাঠির দিকে তাকালেন। সাধারণ একটা লাঠি।

একটু ময়লা রঙ। -কিসের লাঠি? -আমি জানতাম আপনে চিনবেন না। এই লাডি দিয়াই আপনে আমারে পিটাইছিলেন। স্যার, আমার আর আপনের মইদ্যে কিন্তু মিল আছে। আমিও চোর, আপনেও চোর।

আমি মাইনষের মোবাইল চুরি করতাম। আপনে দেশের টেকা চুরি করেন। তয় দেশের টেকা যারা চুরি করে হেগোরে কি দুর্নীতিবাজ না কি জানি কয়। তয় আমার কাছে আপনে চোরই। আমি ছোডচোর, আপনে বড়চোর।

আমি চুরি করছিলাম বইলা আপনে পিডাইছিলেন। এখন আমি আপনেরে পিডামু। এই লাডি দিয়াই পিডামু। জামিল সাহেব হঠাৎ প্রচন্ড ভয় পেলেন। চারিদিকে অন্ধকার হয়ে গেছে।

ফেরিওয়ালাটা চলে গেছে। বৃষ্টি এখনো থামেনি। জামিল সাহেব দৌড় দিলেন। তার পেছনে ছুটে আসছে এক অশরীরী। হাতে একটি লাঠি ধরা।

জামিল সাহেব রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রাণপণে ছুটছেন। কিছুতেই তিনি এ অশরীরীর হাতে ধরা পড়তে চান না। পরদিন জামিল সাহেবের ক্ষতবিক্ষত লাশ স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে পরে থাকতে দেখা গেল। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃত্যুর পূর্বে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ©Muhit Alam ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।