আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাশিয়া

পূর্ব ইউরোপ ও উত্তর এশিয়াজুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের বৃহত্তম দেশ।

রাশিয়ার আয়তন দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডার আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ। দেশটির সরকারি নাম রাশিয়ান ফেডারেশন। রাশিয়ার মতো এত বেশি খনিজসম্পদ বিশ্বের অন্য কোনো দেশের নেই। রাশিয়ার চার-পঞ্চমাংশ জনগণ এর পূর্ব ইউরোপীয় অংশে বাস করে।

২০০৩ সালে দেশটির জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪৫ লাখের কিছু বেশি। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। দেশটির বেশির ভাগ জনগণ রুশ ভাষায় কথা বলে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ, যা সোভিয়েত শাসনামলে লেনিনগ্রাদ নামে পরিচিত ছিল।

১৯২২ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত রাশিয়া ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র।

সে সময় অনেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে রাশিয়া নামে চিনলেও আসলে রাশিয়া ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৫টি অংশের একটি। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠার পূর্বে রাশিয়ায় রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল। রাশিয়ার রাজকে 'জার' বলা হতো।

খ্রিস্টধর্ম রাশিয়ার প্রধান ধর্ম। রুশ খ্রিস্টানদের নিজস্ব গির্জা রয়েছে যা রুশ অর্থোডঙ্ গির্জা নামে পরিচিত।

১৪শ ও ১৫শ শতকে মস্কোকে ঘিরে একটি শক্তিশালী রুশ রাষ্ট্র গঠিত হতে শুরু করে। বিশালকায় রুশ সাম্রাজ্য ১৯১৪ সালে তার সর্বোচ্চ বিস্তারে পেঁৗছে। ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবে বলশেভিকরা রুশ রাজবংশের পতন ঘটায় এবং মস্কো আবার রাশিয়ার রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯২২ সালে বলশেভিকরা বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করে। পুঁজিবাদী পরাশক্তির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন।

দুই পরাশক্তির দ্বৈতরথে শুরু হয় শীতলযুদ্ধ। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে শীতলযুদ্ধের অবসান ঘটে। রাশিয়া মুক্তবাজার ও গণতন্ত্রে প্রবেশ করে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।