প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর।
ভগবদ্গীতায় শ্লোক ২২-এ বলা আছে-
বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়
নবানি গৃহ্ণাতি নরঃ অপরাণি।
তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণানি
অন্যানি সংযাতি নবানি দেহী। ।
এর অর্থ, মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র পরিধান করে, দেহীও তেমনই জীর্ণ শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করে।
এখান থেকে বলতে পারি মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে মৃত মানুষের দেহটাকে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু নতুন দেহটাকে আমরা দেখতে পাই না। এই নতুন দেহটা হলো ভূত।
শ্লোক ২৩-এ বলা আছে-
নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ।
ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ।
।
ন-না; এনম-একে; ছিন্দন্তি-ছেদন করতে পারে; শস্ত্রাণি-অস্ত্রসমূহ; ন-না; এনম-একে; দহতি-দহন করতে পারে; পাবকঃ-অগ্নি; ন-না; চ-ও; এনম-একে; ক্লেদয়ন্তি-আর্দ্র করতে পারে; আপঃ-জল; ন-না; শোষয়তি-শুষ্ক করতে পারে; মারুতঃ-বায়ু।
একে অস্ত্রের দ্বারা কাটা যায় না,আগুনে পোড়ানো যায় না,জলে ভেজানো যায় না,অথবা হাওয়াতে শুকানোও যায় না।
২২ নং শ্লোকের পর ২৩ নং শ্লোকে বলা হয়েছে-
মানুষের মৃত্যুর পর নতুন যে দেহ গঠিত হলো সেই দেহকে অস্ত্রের দ্বারা কাটা যায় না, এই দেহকে আগুনে পোড়ানো যায় না, এই দেহ জলে ভেজে না, অথবা এই দেহকে বাতাস শোষণ করতে পারে না বা শুকাতে পারে না।
এই দেহটা আসলে ভূত।
কিন্তু শ্লোকে আত্মা বলে কোন শব্দ ব্যবহৃত হয়নি, আবার ভূত বলেও কোন শব্দ ব্যবহৃত হয়নি। ২৩-নং শ্লোক আত্মা সম্বন্ধে বললে ২২-নং শ্লোকের পর বলতো না।
২২ নং শ্লোকে নতুন দেহের কথা বলা হয়েছে। আর ২৩-নং শ্লোকে এনম শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। আমি এনম বলতে আত্মা না বলে পূর্বের শ্লোকের নতুন দেহকে বোঝাতে চেয়েছি।
আর এখান থেকে পরিষ্কার ভূতের অস্তিত্ব আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।