আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদা'র বেসুরা কন্ঠে আজ এত সুরেলা সুর ! এ সুর এল কোথা থেকে

নিজেকে নিয়ে কিছু একটা লেখার চেষ্টা, এখোনো করে যাচ্ছি . . .

ধরুন, আপনি গানের লিরিক জানেন কিন্তু গানের গলা নেই, বাস্তবে গলা থাকলেও গানের গলায় কোন সুর উঠেনা। একদিন হঠাৎ সকালে খেয়াল করলেন আপনি যে কথাই বলছেন তা অতি সুমধুর সুরে চারিদিকে মুর্ছিত করছে। আপনি তো অবাক হবেনই বটে আপনার আশেপাশের লোকজনও কিন্তু কম আশ্চর্য হবেন না ! যার কিনা কোন গানের গলাই নেই তার গলায় সুর ! এটা কিভাবে সম্ভব ! এটাও সম্ভব হওয়া খুব বেশী দূরে নয় কিংবা অসম্ভবও নয়! চিরদিনের যে বৈরিতা তা এতটাই সুষ্পষ্ট এমন কারও অজানা নয়। আমাদের দেশের দু-নেত্রী খালেদা বনাম হাসিনার কথা বলছি। সেই কবে তারা একসাথে পাশাপাশি বসেছিলেন তাও বোধহয় তারা ভূলে গিয়েছেন।

শেষের দিকে কোন এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তবুও সেখানে কোন কথা হয়নি। ব্যাক্তিগত কারণেই হোক আর রাজনৈতিক কারণেই হোক তাদের বৈরিতার এমন সুস্পষ্ট চিত্র আমাদের সবারই পরিচিত। এমন পরিচিত সম্পর্ককে পাশ কাটিয়ে যখন একজন আর একজনের মুক্তির কামনায় বিবৃতি দেয় তখন তো আশ্চর্য না হয়ে পারা যায়না। সহানুভূতি , পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সম্মান এই শব্দগুলি তাদের ব্যাক্তিগত অভিধানে ছিল কিনা সন্দেহ, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে না ছিল ঠিকই কিন্তু তার কোন বাস্তব প্রয়োগ ছিলনা। আজ সময়, পরিস্থিতির অনুকুলে, প্রতিকুলে হয়তবা তার ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে।

কিন্তু এও কি সম্ভব যারা এতদিন কথা বলা তো দূরে থাক মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত ছিলনা আর আজ একে অপরের জন্য কাঁদে, বিষয়টা কি বিশ্বাস করার মত ঘটনা ? তবুও সময়ের আবর্তে বিশ্বাস করতেই হয়, হয়তবা এরকম আরও অনেক কত অবিশাস্য ঘটনা আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে কে জানে !

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।