আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খালেদার নির্দেশ উপেক্ষাঃ রাজপথে নেই টাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘খালেদার ৮ সেনাপতি’

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
দেশজুড়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘন্টা অবরোধের আজ দ্বিতীয় দিন সারা দেশে অবরোধকারীরা যখন নিজের জীবন বিপন্ন করে অবরোধ শতভাগ সফল করছে তখন রাজধানীতে অবরোধ সফলের জন্য বেগম খালেদা জিয়া যাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তারা আজ কোথায়,এই প্রশ্নগুলো তাই মাঠ পর্যায়ে তৃর্ণমূল নেতা কর্মীদের মনে আজ ঘুর পাক খাচ্ছে । তৃর্ণমূল পর্যায়ের কিছু নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, বিএনপি’র দপ্তরে দায়িত্ব ও যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ একমাত্র বিএনপি’র দুর্দিনের কান্ডারী। তিনি ছাড়া বাকিদের মধ্যে মাঠে ছিলেন মাত্র একজন। এদের মধ্যে অন্যতম আ স ম হান্নান শাহ সোমবার রাতে গ্রেফতার হলেও মাঠে দেখা যায়নি বাকিদের।

তবে দলের পক্ষ থেকে ব্রিফিং এ বলা হচ্ছে, গ্রেফতার এড়াতে নয়, পুলিশের আগ্রাসী আচরণের কারণে নেতারা মাঠে নামতে পারছেন না। দলীয় সূত্র জানায়, তৃণমূলের মতো রাজধানীতেও চলমান আন্দোলন চাঙ্গা করতে দলের আট শীর্ষ নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে মাঠে থাকার নির্দেশ দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ‘আট সেনাপতি’র সঙ্গে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার বিভিন্ন আসন থেকে বিএনপি দলীয় এমপি প্রার্থীদেরও মাঠে থাকার নির্দেশ দেন দলীয় প্রধান। নেতারা রাজধানীতে আন্দোলন জমাতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়েই খালেদা জিয়া এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। দলীয় সূত্র মতে, খালেদা জিয়ার মনোনীত এই আট নেতা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু ও ঢাকার সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

এদের প্রত্যেককে ‘এলাকা’ও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ‘আট সেনাপতি’কে দায়িত্ব দেয়ার পর এই প্রথম তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দেয় ১৮ দল। ঘোষিত কর্মসূচি তৃণমূলে অনেকটা ‘কড়াভাবে’ পালিত হলেও রাজধানীতে এর তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে সারাদিন রাজপথে যান চলাচল ছিল হরতালের চেয়েও কম। এছাড়া তৃণমূলের নেতারা মাঠে থেকে অবরোধ পালন করলেও রাজধানীতে বিএনপি ও ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের তেমন কাউকে দেখা যায়নি।

তবে সকালে ‘আট সেনাপতির’ একজন অর্থাৎ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান নেতাকর্মীদের নিয়ে সাভারের আমিন বাজারে অবস্থান নেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেন তিনি। পরে পুলিশ আকস্মিক গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়লে অর্ধশতাধিক আহত ও ১৬ জন আটক হন। অন্যদিকে সোমবার রাতে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই বারিধারা থেকে আটক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। তিনি এই আট নেতার মধ্যে ছিলেন অন্যতম।

বিগত হরতালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই-একজন কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অবস্থান করলেও এবার তিনিও ছিলেন না। বেশ কিছুদিন ধরে কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ দলের যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার দিনশেষে প্রথম দিনের অবরোধের চিত্র তুলে ধরেন। অন্যদিকে বরাবরের মতো অবরোধের প্রথম দিনেও কোথাও দেখা যায়নি ঢাকা মহানগর বিএনপির দুই অভিভাবক সাদেক হোসেন খোকা ও আবদুস সালামকে। এদিকে অবরোধের প্রথম দিনের চিত্র তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, “বাইরে বের হলেই দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, হামলা চালানো হচ্ছে, তা নিশ্চিয়ই আপনাদের অজানা নয়। ” বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের ব্যাপারে তিনি বলেন, “তিনি আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন।

প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। ” Click This Link
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।