আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুয়েট বুয়েট কোরো না বুয়েটের বড় জ্বালা

ভস্ম হই। মৃত্যুর চুমু আমার কপোল ছুঁয়ে যায়। বেঁচে উঠি আবার। নতুন দিনের আশায়। বেঁচে উঠি বারবার।



পোস্টটির যোগসুত্র বা কার্যকারন ধরতে হলে আপনাকে আগের একটি পোস্টের কমেন্ট এবং পরবর্তী দুটি পোস্ট পড়তে হবে। এই পোস্টে মেহরাব শাহরিয়ারের করা কমেন্টের একটা লাইন, "এই ব্লগের বালখিল্য পোস্টগুলো নিয়ে বুয়েটের গ্রুপগুলোতে আমরা যথেষ্ট হাসাহাসি করি..." নিয়ে তুমুল ঝড় উঠেছে। সন্দেহ নেই মন্তব্যটাতে তাচ্ছিল্যের একটা ভাব আছে। কেমিক্যাল আলী এই মন্তব্যের প্রতিবাদে তার এই পোস্টে বুয়েটের প্রাক্তন কিছু ছাত্রের মুখোশ উন্মোচন করে দেখাতে চেয়েছেন যে তারা আসলে আহামরি কিছু না। কথা সত্য, চার বছরে বুয়েট হয়ত কিছু টেকনিক শেখায়, কিছু বিদ্যা ঢোকানোর চেষ্টা করে মস্তিষ্কে।

কিন্তু তার আগের আঠার বছর ধরে শেখা ব্যবহার, আচার বা অন্যান্য বিষয়ে কতটাই প্রভাব ফেলতে পারে? হযবরল এর প্রতিবাদ করেছেন একটু ভিন্নভাবে। তার পোস্টে তিনি ব্র্যান্ডিংয়ের একটা অভিযোগ এনেছেন। তার কথাগুলোর সাথে আমি পুরোপুরি একমত। এই ব্র্যান্ডিং শুধু বুয়েট নয়, ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এবার মেহরাব শাহরিয়ারের কমেন্টের লাইনটাকে আবার দেখি, কিন্তু বুয়েটের জায়গায় অন্য শব্দ বসিয়ে।

কথাটা দাঁড়ায়, "এই ব্লগের বালখিল্য পোস্টগুলো নিয়ে কলেজের গ্রুপগুলোতে আমরা যথেষ্ট হাসাহাসি করি..."। কথাটার অর্থ কিন্তু একই দাঁড়ায় কিন্তু বুয়েট ব্র্যান্ডটা বাদ দিয়ে। হযবরল যেমনটা বললেন তেমনি কি আমরাও একটা ব্র্যান্ডিং করে ফেললাম না এখানে? আমি স্বীকার করি, বুয়েট, মেডিক্যাল নিয়ে আমাদের সমাজে ফ্যাসিনেশন আছে। এরকমও দেখেছি গণিতে ভালো একটা ছেলেকে বাবা-মা জোর করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠিয়েছে। পরে ছেলেটি ক্রমাগত ফেইল করে কিছুই হয়ে উঠতে পারেনি।

ব্র্যান্ডিংয়ের কাছে বলি হয়েছে একটি জীবন। আমি এও স্বীকার করি, বুয়েটের একটা বড় অংশ এই ব্র্যান্ডিংয়ের সুবিধাটুকু ভোগ করে। মেহরাব শাহরিয়ারের কথাটায় শ্লেষটুকু আমিও অনুভব করি, এবং সেজন্য তাকে ধীক্কার জানাই। আমি ঘৃণা করি যখন মানুষ নিজের অর্জিত যোগত্যার বদলে প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালুকে অর্জন হিসেবে দেখায়। কিন্তু আমি এও ঘৃণা করি যখন দেখি একজন মানুষের ব্যর্থতা বা অযোগ্যতাকে প্রতিষ্ঠানটির অযোগ্যতা হিসেবে দেখানো হয় (কেমিক্যাল আলীর পোষ্ট দ্রষ্টব্য)।

আর এই ভুল বোঝাবুঝি, ব্যান্ডিং, এন্টিব্র্যান্ডিং সবকিছু এড়াতে কিছু মানুষ যখন নিজের পরিচয় জানাতে সংকোচ বোধ করেন, যখন পরিচয় জানাবার এই দ্বিধা আরেকটি নেগেটিভ ব্র্যান্ডিংয়ের জন্ম দেয় (ঢং করছে ধরে নিয়ে) তখন তার দায় কিন্তু আপনিও এড়াতে পারবেন না। কিছুতেই না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।