আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যানেকডট 1 ।। জর্জ ওয়াশিংটন ও তার দাঁত

স্বেচ্ছাচার না করা গেলে তারে স্বাধীনতা বলে না। স্বাধীনতা মানেই স্বেচ্ছাচারের অধিকার।

জর্জ ওয়াশিংটন ও তার দাঁত আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ( 1789-1797, যার পোট্রর্েটগুলি না হাসতে পারনের দুঃখে অমর হইয়া আছে) নকল দাঁতের স্বাদহীনতায় অতিষ্ঠ হইয়া একবার চাইর সেট নকল দাঁত পোর্ট ওয়াইনে ডুবাইয়া রাখছিলেন। উনি আসল দাঁতগুলি হারায়ছিলেন ব্রাজিল নাট ভাঙার বদ অভ্যাসের কারণে। 1789 সালে তিনি যখন প্রেসিডেন্ট হইলেন তখন তার নিজের বলতে দাঁত মাত্র একটাই অবশিষ্ট আছিল।

গরু, মানুষ আর অন্য জন্তু-জানোয়ারের দাঁত থিকা তৈরি করা নকল দাঁতের পাটি দিয়া তিনি কাজ চালাইতেন। ওয়াশিংটন পরে দেখতে সুন্দর দাঁতের সন্ধানে ফিলাডেলফিয়ার এক লিডিং ডেনটিস্টের শরণাপন্ন হইছিলেন। ওই ডেনটিস্ট জলহস্তীর লম্বা দাঁত থিকা এক সেট কৃত্রিম দাঁত তৈরি কইরা দেন তাঁরে। শিল্পসুষমামণ্ডিত নকল দাঁতগুলিরে রক্ষা পাওয়া একমাত্র দাঁত-এর লগে গাঁইথা দেন দন্তচিকিৎসক। দুঃখজনক, সে গ্রন্থন যথাযথ হয় নাই।

প্রেসিডেন্টের জীবনে ধারাবাহিক বেদনার সূত্রপাত ঘটে এই দাঁতের সারির কারণে। তিনি লডানাম (laudanum : অ্যালকোহলে দ্রবীভূত আফিম) লইয়া দাঁতের বেদনা ভুলতে থাকেন। বিবিধ নকল দাঁতের স্বত্বাধিকারী হিসাবে তার বেশ ওজনদার (110 গ্রাম) এক সেট সীসার দাঁতও আছিল। তবে ওনার প্রজাবৃন্দের সাধারণ বিশ্বাস আছিল হেগো প্রেসিডেন্ট কাঠের দাঁত দিয়া চাবায়। জর্জ ওয়াশিংটন ডার্টি জোক শুনতে এবং মাঝে মইধ্যে অশোভন গল্প করতে পছন্দ করতেন।

তিনি এবং তার স্ত্রী মার্থা হেগো চিঠিপত্রের বেশিরভাগই নষ্ট কইরা ফালাইছিলেন। তবু দুভর্াগ্যক্রমে কিছু চিঠি রইয়া যায়। 1920 সালের শেষ দিকে মাল্টিমিলিওনেয়ার জে. পি. মরগ্যান এই চিঠির কয়েকটা কিনা নিছিলেন। পরে এইসব চিঠি যে পনের্াগ্রাফিক এই বুঝতে পাইরা তিনি সব চিঠি পুড়াইয়া ফেলান। ওয়াশিংটন বিশ্বাস করতেন হ্যান্ড শেইক করাটা একজন রাষ্ট্রপতির যোগ্য কাজ হইতে পারে না, তাই হোয়াইট হাউসে আসা অভ্যাগতদের তিনি বাউ কইরা শুভেচ্ছা জানাইতেন।

ওয়াশিংটনের মালিকানায় ছয়টা সাদা ঘোড়া আছিলেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় ওনাাগো দাঁত ব্রাশ করানের পর্বটা তিনি নিজে উপস্থিত থাইকা পরিচালনা করতেন। জর্জ ওয়াশিংটনের মরবিড ভয় আছিল যে তার মৃতু্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হইয়াই তারে জ্যান্ত কবর দিয়া ফেলতে পারে হারামজাদা প্রশাসনিক কর্মকতর্ারা। এই ভয় থিকা তিনি নির্দেশ দিয়া রাখছিলেন তার মৃতু্যর পরে যেন মিনিমাম তিন দিন...তারে কবর দেয়া না হয়। সূত্র : আর্ট এন্ড কালচার ম্যাগাজিন, দৈনিক যায়যায়দিন , 27/7/06 ছবি : 1797 portrait of George Washington by painter Gilbert Stuart


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।