আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রজনী কর্ম...।।

তরুণদের ভাল কিছু করার আকাঙ্খা যখন তারনা দেয়, একটা দেশ তখনই অগ্রসর হয়। নিরব নিস্তব্ধ গভীর রাত, আমি একলা এক রুমে বড় এক বিছানায়, দরজা ভেড়ানো, শুনশান নিস্তব্ধতা। এর মাঝেই ওরা এলো, একে একে রুমে ধুঁকে গেলো, আমি ঘুমন্ত, কোন প্রোটেকশন ছিল না। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে, কারণ আমিতো ভালো ছেলে। আমাকে ঘুমন্ত দেখে ওরা আমার সাথে যা ইচ্ছা তাই করতে শুরু করলো।

গালে, কপালে, নাকে, কম্বলের নিচে ধুঁকার চেষ্টা। আমি ঘুমন্ত অবস্থায় যতো টুকু পারলাম ওদের প্রদুত্তর দেয়ার চেষ্টা করে গেলাম। সকালে ক্যাম্পাসে জেতে হবে, আমি চাচ্ছিলাম না কিছু করতে। ওদের বাড়াবাড়িতে এক পর্যায়ে উঠেই গেলাম ঘুম থেকে। দু পক্ষের সমান অংশগ্রহণ না হলে তো জমে না।

তাই উঠেই নেমে পড়লাম কামে। ঠাশ ঠুস শব্দে যাচ্ছেতাই অবস্থা, ভয় হচ্ছিলো পাছে আব্বুর ঘুম না ভেঙ্গে যায়, এই অবস্থায় দেখলে যে প্রচুর রাগ করে বসবেন, আম্মু ও। বিছানায় রক্তের ছিটা পরে আছে এখানে সেখানে, ভয় হচ্ছিলো সকাল বেলা সবাই ঘুম থেকে উঠার আগেই আমাকে ঘুম থেকে উঠেই এই শীতের দিনে চাঁদরটা ধুতে হবে, নয়তো রক্তের দাগ যাবে না, আর ওই সময়ে গোছল, একটা অসহনীয় কাজ। নিজের অজান্তেই এই কাজ করে ফেলায়, মনটাও বিষণ্ণ হয়ে আছে। মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠেই এমন কাজে লেগে যাওয়াতে কেমন জানি টায়ার্ড লাগতেছিল, বোতলটা থেকে পানি খেলাম।

একটু বল পেলাম গাঁয়ে। ডিম লাইটেই কাজটা সেরে ফেলছিলাম, এর পর টিউব টাও জ্বালালাম। এর পর এক এক করে সব গুলো মশা কে বিছানা থেকে তুলে একটা কাগজে জমালাম। শ্যালা এক সাথে এতো গুলা কোন একলা ছেলেকে এটাক করে? তবে দোষতো আমারই, আমি তো ভালো ছেলে, সব দিনই মশারীটা খাটাই, ইডানিং আলসেমি বেশী করতেছি। দোষতো আমার না, বিল গেটস বলছেন, তার সব চেয়ে কঠিন কাজটার জন্য নাকি তিনি অলস লোকটাকে নিবেন, তাইতো আমি আলসেমির মাত্রা বাড়াচ্ছি।

অফারতো সে দিয়েই রাখছে, আমি জাস্ট সিভি টা আপডেট করতেছি। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠেই পোস্টটা লিখলাম, যাই এখন আবার ঘুম দেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।