আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগের লক্ষ্যে আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। তবে সরকারের এ উদ্যোগের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে বাধা আসতে পারে বলে খুব গোপনে কাজটি সম্পন্ন করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

জানা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) দাবির মুখে আইন পরিবর্তনের উদ্যোগটি নেওয়া হয়। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে একজন কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর মতামতও নিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

এমআরএ আইনটি পরিবর্তন হলে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, টিএমএসএস, কারিতাসসহ যে কোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমআরএ।

প্রশাসক নিয়োগের লক্ষ্যে এমআরএ যে যুক্তি দেখিয়েছে সেটি হচ্ছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সদস্যদের সঞ্চয় আত্দসাৎ করছে কিছু প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী। এমন কি তারা জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডেও লিপ্ত রয়েছে। সদস্যদের সঞ্চয়ের নিরাপত্তা দিতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া দরকার বলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এমআরএ আরও জানিয়েছে, তাদের আইনে চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী অপসারণের ক্ষমতা আছে। কিন্তু সেই পদে কাউকে বসানোর ক্ষমতা নেই।

ওই ক্ষমতা ব্যবহারের জন্যই প্রশাসক নিয়োগের ক্ষমতা চাইছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এদিকে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসির মতামতও নিয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। মতামতে ওই আইনজীবী বলেন, এমআরএ আইনের ৫১(১) ধারা অনুযায়ী গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ডেলিগেটেড লেজিলেশন প্রক্রিয়ায় প্রশাসক নিয়োগ করা যেতে পারে। আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, এমআরএ আইনে প্রশাসক নিয়োগের ব্যাপারে তার কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি আইনের মাধ্যমেই সম্ভব বলে তিনি মতামত দিয়েছেন।

আজমালুল হোসেন আরও বলেন, অনিয়মের কারণে কোনো ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হলে যেমন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে, তেমনিভাবে এমআরএ আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানেও প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, ৩০ জুন ২০১২-এর হিসাব মতে গ্রামীণ ব্যাংক, বিআরডিবি ও এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। এসব গ্রাহকের অনুকূলে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানে সদস্যদের সঞ্চয়ের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.