বিপ্লবী, প্রীতিলতা, স্মৃতিকণা ও বিপ্লব। গাইবান্ধার নাট্যশিল্পী ও চিত্রশিল্পী দম্পতি বেলা রানী সরকার ও কৃষ্ণ চন্দ্র সরকারের চার সন্তান।
বাম ধারার রাজনীতির আদর্শের রক্ত শরীরে মিশে থাকা বাবা-মা ছেলেমেয়ের এমন নাম রাখেন।
সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্ম নেওয়া এই চার ভাইবোন ছোট থেকেই নানা রকমের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। লেখাপড়ায়ও এই চার ভাইবোন মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
এঁদের মধ্যে প্রীতিলতা ছোটবেলা থেকেই নাচতে পছন্দ করেন। মা-বাবাকে আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য তিনি একটি নাচের স্কুল চালু করেন। নিজের আয় দিয়ে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা চালিয়ে যান। বাকি ভাইবোনও এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেন।
কিন্তু মা-বাবার এই চার তারার মধ্যে প্রীতিলতা নামের তারাটির উজ্বলতা কমে যেতে বসেছে।
থমকে গেছেপরিবারটির স্বাভাবিক জীবনের ছন্দ।
২০১২ সালের প্রথম দিকে প্রীতিলতা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রংপুরের এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হলে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। এরপর কয়েক দফা ঢাকার বড় কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা প্রীতিলতাকে বিদেশের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
স্বল্প আয়ের এই পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার।
কথা হলো প্রীতিলতার ভাই বিপ্লবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নাচের পোশাক হাতে নিয়ে কাঁদে। ওর মুখের দিকে কেউ তাকাতে পারি না। বসতভিটার অর্ধেক অংশ বিক্রি করে গত বছরের মাঝামাঝিতে প্রীতিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়।
দেশে ফিরে অল্প দিনেই জমানো টাকা শেষ হয়ে যায়। ’
কিন্তু প্রীতিকে বাঁচাতে দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য আবার ভারতে নেওয়া দরকার। এর জন্য প্রয়োজন ছয় থেকে সাত লাখ টাকা । শেষ সম্বল পাঁচ শতাংশ জমির বসতবাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই তাঁদের। বোনের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।
কিন্তু এখনো আশা হারায়নি প্রীতিলতার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা আশা করছেন, আবার তাঁর নূপুরের ঝংকারে চারপাশ আনন্দময় হয়ে উঠবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।