আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুড্ডির পাইলটের কোরবানীর গরু দর্শন !!!

সামুর এক মাত্র সর্বাধীক বানান ভুল সম্পন্য ব্লগ ! মনে রাখবেন আপ্নে সামুর সবচাইতে বিপজ্জনক ও বদ ব্লগারের ব্লগে প্রবেশ করেছেন , আপ্নি দুষ্টু প্রকৃতির না হলে এখানে সময় নষ্ট কইরেন না ।

আজ রাতে আফতাব নগর গড়ুর হাটে কালো রংয়ের একটা গড়ু দেখেই হঠাৎ দাড়িয়ে গেলাম ! এমন পেল্লায় আর আজব ধরনের গড়ু আমি এর আগে দেখিনি ! বিশাল বড় মাথার মাঝখানে আবার হাতির মতো সুড় ! গড়ুর মালিককে সুড় বিষয়ক প্রশ্ন করতেই দাত মুখ খিচিয়ে এমন একটা লুক (চাহনি) দিলো !!! “ অই মিয়া গাঞ্জা কি বিকালে খাইছেন ? নাকি অখন খাইয়া আইলেন ? হাতির সুড় পাইছেন কোই ? এইটা তো গড়ুর পিছন দিক ! এইটা গড়ুর ল্যাঞ্জা , মাথা তো অই দিকে ! “ যাই হোক নিজের দৃষ্টিভ্রমকে আলো স্বল্পতার কারসাজী হিসেবে চালিয়ে দিয়ে গড়ুটাকে লম্বা লম্বি ভাবে অতিক্রম করে এর মাথাটাকে দেখতে পেলাম !!! সাধারনত এই ধরনের পরিস্থিতে আমার চোয়ালের স্ক্রু লুজ হয়ে যায় মুখের থুতনির অধ:পতন ঘটে ! মুখের অগ্রভাগের উচ্চপদস্থ দন্ত ও নিম্নপদস্থ দন্ত দলের পারস্পরিক বিচ্ছেদের সুযোগ নিয়ে, মশা , মাছি , বোলতা , ভিমরুল জাতীয় পতঙ্গের দল বিনা পাসপোর্ট ভিষায় অবাধ যাতায়াত করতে পারে । আর তখন শুধু আমার ভোকাল কর্ড একটাই শব্দের আউটপুট দেয় আর সেটা হলো ” ওয়াও ! ওরে কেউ আম্রে ধর “ ! (ব্যক্তিগত বর্ননায় আসল কথাই বলতে ভুলে গেছি ) যা দেখলাম সেটা গড়ুর মাথা নাকি কমিউনিটি সেন্টারের রান্না করার ড্যাগ তা বুঝতে খানিক সময় লাগলো ! কালো রংয়ের গড়ুটার চোখ গুলো ছিলো ক্রিকেটের বলের সাইজের ! বড় বড় কানগুলো মাছি তাড়াতে যখন নাড়ছিলো তখন এমনভাবে বাতাস বইছিলো যে , আমার সিথি করা আচড়ানো চুলগুলো একেবারে এলোমেলো হয়ে গেলো ! আর হিমেল বাতাসে আমার বুকটা জুড়িয়ে গেলো ! ঘটনার এ পর্জায়ে মনে হলো গড়ুটা আমাদের সামনে তার সংগীত বিষয়ক জ্ঞ্যানের দক্ষতা প্রকাশ করতে চাইলো । হাম্বা বলে যে শব্দটা শুনতে পেলাম সেটা গড়ুর ডাক না বলে গর্জন বলাই ভালো । যে ঘটনাটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না সেটা হলো ,টি শার্ট ট্রাউজার পরা কেড্স পায়ে ভুড়িঅলা একজন আংকেল এর আগমনকে গড়ুটার প্রতিবাদী প্রত্যাখান । আংকেল কে দেখে মনে হলো উনি কোন বড় কোম্পানির কর্নধার বা কোন ব্যাংকের পরিচালক ! সাথে থাকা সানগ্লাস আর ইউনিফর্ম পরিহিত নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাদের সড়িয়ে দিতে লাগলো ! মুখে না বললেও নিরাপত্তা রক্ষীদের আচড়নে “ আমি এই গড়ু কেনার সামর্থ্যহীন ব্যাক্তি” এটা প্রকাশ পেতে লাগলো ! সবাইকে সড়িয়ে দিয়ে আংকেলকে গড়ুটার পাশে দাড়ানোর সুযোগ করে দিলো নিরাপত্তারক্ষীরা আর এটাই বেচারার জন্য কাল হয়ে দাড়ালো ! গড়ুটা তার পেল্লায় মাথাটা বেকিয়ে একটা ঝাকুনি দিলো আর মোটামুটি পনের মোন ওজনের ভুড়িঅলা আংকেলটি চরুই পাখির মতো উড়ে গিয়ে মাটিতে আছড়ে পরলেন । আর মাটিতে পরার সংগে সংগে সে কি চিৎকার ! ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তিনি কেবলই বলতে লাগলেন , ” ওরে আমার হাত কোই ! পা কোই ! এই যে বা হাতটা পেয়েছি, কিন্তু ডান হাতটা কোথায় গেলোরে ! ওরে আমি চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছি না কেন ? “ ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম আংকেলের অনুসন্ধানকৃত অঙ্গ সমুহ ওনার শরীরের সাথেই সংযুক্ত ছিলো , কিন্তু উনি অযথাই এগুলো খোজাখুজি করছিলেন ! আর চোখের ঢাকনা বন্ধ করে থাকাতে চোখে অন্ধকার দেখছিলেন ! বুঝলাম মাথায় জোরে ঝাকুনি লাগাতে ওনার সব কিছু লেজে গোবরে হয়ে গেছে ! অই মুহুর্তে গড়ুটিকে গোল হয়ে ঘিরে থাকা উৎসাহী জনতার উৎসাহে পরিবর্তন আসলো ! তারা গড়ুটির প্রতি উৎসাহ হাড়িয়ে ফেলে দৌড়ে পালাতে বেশি উৎসাহ প্রকাশ করতে লাগলো এবং অবশ্যই বেশিরভাগ মানুষ তাদের পাদুকা ছেড়েই পালাচ্ছিলো ! একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন এধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ সবার আগে যা ত্যাগ করে সেটা হলো পাদুকা ! হয়তো ছুটতে সুবিধা হয় এই কারনে ! আমি কি করেছিলাম সেটা মনে নেই তবে ওরকম ধারারই কিছু একটা হবে ! ছুটতে ছুটতে নিরাপদ দুরত্বে এসে হাপাচ্ছি আর কি যেন ভুলে গেছি সেটা মনে করার চেষ্টা করছিলাম ! ও হ্যা গড়ুটা দাম বলছিলো কেউ একজন , খুব চেষ্টা করেও মনে করতে পারছিলাম না ! এখনও মনে পরছে না , মনে পরলে আপ্নাদের বলবো । আপাতত একটা চটি কিন্তে হবে ইয়ে মানে পাদুকা ! (কমেন্ট এর রিপ্লাই দিতে লেইট হইলে রাগ করবেন না )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.