আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুড্ডির পাইলট বনাম ডাকু রেজিমেন্টের চিফ !!!!!!!!!!

সামুর এক মাত্র সর্বাধীক বানান ভুল সম্পন্য ব্লগ ! মনে রাখবেন আপ্নে সামুর সবচাইতে বিপজ্জনক ও বদ ব্লগারের ব্লগে প্রবেশ করেছেন , আপ্নি দুষ্টু প্রকৃতির না হলে এখানে সময় নষ্ট কইরেন না । কে বেশি ডাংকাবাজ ? ঘুড্ডির পাইলট নাকি ডাকু রেজিমেন্টের চিফ ? জানতে হইলে আপ্নাগোর যাইবার হইবো সেই আগের দিনে । দেক্তে হইবো সেই রহস্য ঘেরা ডাকু রেজিমেন্ট এর ইতিহাস । চসমা লাগায়া দেহা শুরু করেন কিন্তু শ্বাশ কষ্টের রোগি সাবধান : আমগোর ইলাকায় একটা ক্লাব আছিলো নাম ছানলাইট ক্লাব আমি আছিলাম হেইডার একজুন সন্মানীত সদস্য। হেই সময় আবার ছানলাইট নামে একটা ব্যাটারি পাওন যাইতো বাজারে ! অইযে টর্চ জালাইন্না ব্যাটারি আছে না ? হেই গুলান ।

দুর্জনেরা আমগোর ক্লাবের সদস্য গোরে ব্যাটারি বইলা ডাকতো। যারা একটু শুকনা পাতলা পুতলা রবিউল বডি টাইপ আছিলো, হেগোরে ডাকতো পেন্চিল ব্যাটারি আর যারা সাইজে সর্ট হেইগুলানরে ডাকতো ঘড়ির ব্যাটারি বইলা আর যারা একটু আদুভাই টাইপ বুইরা ভাম শইলের রং কালা হেইগুলানরে লুকাস ব্যাটারি রাস্তা ঘাটে ব্যাটারি ডাক শুনতে শুনতে আর ভালা লাগতো না । আর ডাকবোই না বা কেন ? আমগোর ক্লাবের পুলাপাইন সব আছিলো বদ ! যে কোন বিশেষ ধর্মীয় দিবসে বা জাতীয় দিবসের আগের দিন রাইতে, সকল প্রস্তুতির পাশা পাশি চলতো এলাকার মুরগি চুড়ির মহোৎসব শুধু কি মুরগি ? ছাগল খাশিরও কদর করা হইতো আবার নিজেদের এলাকা বা পার্শবর্তী এলাকায় যদি ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা হইতো , তাইলে আমগোর ক্লাবের পুলাপাইন হায়ারে যাইতো !!! না না আপ্নারা ভুল করতাছেন ! তারা খেলতে যাইতো না । তারা যাইতো মাইরপিট করতে হারু পার্টি খেলায় ঠগলেই আমগোর পুলাপাইন ঝাপায়া পরতো যারা আগেই বুঝতো খেলায় হারবো তারা আমগোরে আগেই হায়ার কইরা নিয়া যাইতো। আর মাইনসের গাছের ডাব হইতে শুরু কইরা অন্যান্য ফল ফ্রুট এর প্রতি দায়ীত্ব পালন করতাম অতি নিষ্ঠার সহিত।

ক্রমে ক্রমে আমাদের নাম হয়া গেলু ব্যাটারি বাহিনী আমি তখন সবে মাত্র কলেজে উঠছি ক্লাবের সম্মেলন চইলা আসলো । কিছুদিন পরে কলেজে আমার পারফরমেন্স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে আমি ছানলাইট ক্লাবের সভাপতি হয়া গেলাম শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে আমি কলেজের ইয়ার চেইঞ্জ পরীক্ষায় সকল বিষয় মিলায়া ৩২ পাইছিলাম যেখানে এক বিষয়ে পাশ করতে ৩৩ লাগে কম পক্ষে । আমি ছানলাইট ক্লাবের সভাপতি হওনের পরে , পদাধিকারবলে ক্লাবের নাম চেইঞ্জ কইরা ফালাইলাম নাম রাখলাম ডাকু রেজিমেন্ট কারন সদস্যদের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ আর ক্লাবের কর্মসুচীর ভিত্তিতে এই নাম খানা যথেষ্ট পারফেক্ট আছিলো । এবং আমরা এলাকায় কিছু জনহিতকর কাজ কইরা একটা সন্মানজনক অবস্থান তৈরির চেষ্টা করতাছিলাম যাতে মাইনসে একটু সমিহ করে । ডাকু রেজিমেন্ট এর উল্লেখযোগ্য অবদান সমুহ বিস্তারিত বইলা পোষ্ট বেশি দীর্ঘ করতে চাই না।

তবে এলাকায় মাইকরো ক্রেডিট লোন প্রদান কারি সংস্থা (নাম প্রকাশ করবো না ) এর সদস্য রা একজন গরীব কৃষকের ছাগল এবং ঘরের ঘটিবাটি জব্দ কইরা নিয়া যায় লোন ডিফল্টার এর অপরাধে, পরে অই কৃষক বিষ পানে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে , তাকে চাদা তুইলা তার সকল সাংসারিক জিনিস পত্র কিনা দিলাম , চান্দার বৃহত্তম অংশ আসছিলো আমার বাপের ছাগলের ফার্ম থিকা একখানা ছাগল চুড়ি কইরা বেচা টাকা থিকা (আমার বাপরে ধন্যবাদ এই পরথম কুন আকাম কইরা মাইর খাই নাই) । আর উক্ত সংস্থার কর্মচারিদের গাছের সাথে বাইন্ধা সারা অংগে আলকাতরা পেইন্ট কইরা দেওয়া হয়। যা বাবা একন তোদের মুখে কালি সারা অংগে কালি আমি বর্তমানেও উক্ত ক্লাবের সভাপতি, সকল ক্রিরা অনুষ্ঠানে ডাকুরেজিমেন্ট এর সদস্যরা অংশগ্রহন করে এবং নিজেরাও ক্রিরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে , এবং সকল খেলায় ধারাবিবরনি দেওয়া হয় সেটা কেরাম বোর্ড বা দাবা খেলাই হোক না কেন বর্তমানে ডাকুরেজিমেন্ট এর কার্যক্রম চলছে , তারা এলাকায় মোবাইলের দোকানে পর্ন ফাইল আদান প্রদান কারি দোকানদারদের সনাক্ত করে এবং দোকানদারের মাথা কামাইয়া দেয় , এবং চেষ্টা করে মাথার আকৃতি যাতে তরমুজের সাথে যতোটা সম্ভব মিল থাকে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.