আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার পথহারাদের অভিভাবক

রাজধানীতে সম্প্রতি হারিয়ে যাওয়া শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কখনো শিশুরা পথ হারিয়ে আবার কখনো নবজাতক শিশুর দায়িত্ব না নিয়ে তাদের পথেই ফেলে রেখে যাচ্ছেন নির্দয় মা-বাবা। আর এদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছে তেজগাঁও এর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার (ভিএসসি)। পুলিশের সংস্কার কর্মসূচির বাস্তব রূপদানে কেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। গত এক বছরে গত ('১২ জুন থেকে জুন ২০১৩) ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ৫৮৮ জন নারী ও শিশুকে আইনি সহায়তা ও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তবে আশ্রিতদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ছোট শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তথ্যে, সেন্টারে মোট ৬০ ভাগই হারিয়ে যাওয়া শিশু। বাকি ২০ ভাগ বাসা-বাড়ির কাজের মেয়ে এবং ২০ ভাগ নারী বিভিন্ন মামলার কারণে নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে এখানে আশ্রয় নেন। এ ব্যাপারে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এসি মেরিন সুলতানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের এখানে হারিয়ে যাওয়া ছোট শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এদের বয়স শূন্য থেকে শুরু করে ৫ বছর। প্রতিদিনই এ সেন্টারে গড়ে ৭ থেকে ৮ জন করে নারী-শিশু থাকছে। তবে কখনো এ সংখ্যা ১০ জনে পেঁৗছে যায়। সে কারণে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে আট থেকে ১০ এ নেওয়া হয়েছে। নারী ও শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত নারী পুলিশরা কেন্দ্রটি পরিচালনা করেন। এ ছাড়া দশটি বেসরকারি সংস্থাও (এনজিও) মামলা, কাউন্সিলিং ও অন্যান্য আাইনি সহায়তা দিতে এ কাজে সম্পৃক্ত আছে। তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে বর্তমানে প্রায় ৭০ জন জনবল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন একজন ডিসি, একজন এডিসি এবং দুজন এসি। জানা যায়, বর্তমানে ঢাকার বাইরেও রাঙামাটি, রাজশাহী ও খুলনাতে ভিএসসি'র শাখা রয়েছে। খুব শীঘ্রই চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটও এর কার্যক্রম শুরু হবে। তবে এসব ভিএসসির কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এমনকি এ সেন্টারগুলোর নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। জানতে চাইলে মেরিন সুলতানা বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এখানে শুধু নির্যাতিত নারী ও শিশুদের আশ্রয়ই দেওয়া হয় না এর পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। প্রয়োজনে এনজিওর মাধ্যমে নির্যাতিতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হয়। নারী ও কন্যা শিশুদের পাশাপাশি আট বছরের কম বয়সী ছেলেরাও এখানে আশ্রয় পায়। ভিকটিমদের অবস্থানের জন্য বিশাল একটি কক্ষে দশটি বিছানা রয়েছে। রয়েছে খাওয়া, শিশুদের খেলাধুলা ও টিভি দেখার ব্যবস্থা। আশ্রিতদের পোশাকও দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী একজন ভিকটিম পাঁচ দিন এখানে থাকার সুযোগ পান। কিন্তু কোনো শিশু বা নারী প্রয়োজনবোধে এর অধিক সময় অবস্থানের সুযোগ পায়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশের নির্যাতিত নারীদের নিয়ে কাজ করে এরকম কিছু এনজিও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে নির্যাতিতরা নিশ্চিতরূপেই এ প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য পাবেন বলে মনে করি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.