ম্যাচের ৭৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে পেনাল্টি দেন রেফারি জালালউদ্দিন। বাঙ্গুরার গোলে বিজেএমসি ফেরায় সমতা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জিতে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুক্তিযোদ্ধা। আট বছর পর কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে। গ্যালারির হাজার দুয়েক সমর্থকের সঙ্গে মুহূর্তটাকে উদ্যাপন করেছেন খেলোয়াড়েরা।
তবে জিতেও রেফারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ যাচ্ছে না মুক্তিযোদ্ধার কোচ, খেলোয়াড়, কর্মকর্তাদের। মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিযোগ করলেন, ‘ওই পেনাল্টিটা হয়নি। পেনাল্টি দেওয়া দেখে মনে হয়েছে রেফারি সিদ্ধান্তটা আগেই নিয়ে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, এক মিনিটের ব্যবধানে দুটি সিদ্ধান্ত গেছে আমাদের বিরুদ্ধে। ’
চট্টগ্রাম আবাহনী, শেখ রাসেল, ব্রাদার্সের পর বিজেএমসিকে হারিয়ে ফাইনালে।
নিজের দলকে যোগ্যতর ফাইনালিস্ট বললেন মুক্তিযোদ্ধা কোচ, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচই ভালো খেলেছি। ফাইনালে উঠেছি যোগ্য হিসেবেই। ’
কাল ম্যাচের প্রথমার্ধেই আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান মুক্তিযোদ্ধার অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আমিনুল। বদলি রাসেল মাহমুদ কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি গোল বাঁচিয়েছেন, টাইব্রেকারে রুখেছেন বিজেএমসির তারার শট।
আমিনুলের সঙ্গে যেন মনে মনে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই চলছে মাহমুদের, ‘আমিনুল ভাইয়ের সঙ্গে টক্কর দিয়ে আমাকে দলে টিকে থাকতে হবে। আশা করি ভালোই খেলব। ’
ওদিকে বিজেএমসির কোচ আলী আকবর নাসির তীরে এসে তরি ডোবানোর দায় চাপালেন খেলোয়াড়দের ওপর, ‘গত ম্যাচে যেভাবে খেলেছে ছেলেরা, আজ (কাল) সেভাবে কেউই খেলতে পারেনি। ’ অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরাও দায়টা মেনে নিলেন, ‘আজ দিনটাই আমাদের ছিল না। মোটেও ভালো খেলতে পারিনি।
’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।