আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবাহনীর হার মোহামেডানের জিত

সাবি্বর রহমানের সাইক্লোন ব্যাটিংয়ে আবাহনীকে চার উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। প্রথমে ব্যাটিং করে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে সাত উইকেটে ১৭১ রান করে আবাহনী। ১৭২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সাবি্বর রহমানের অপরাজিত ৮৪ রানে তিন বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে প্রাইম ব্যাংক। তিন ম্যাচে প্রাইম ব্যাংকের দ্বিতীয় জয় এটি। আগের ম্যাচে তারা হারিয়েছে বিসিবি একাদশকে।

সমান ম্যাচে আবাহনী দ্বিতীয় হার।

আগের ম্যাচেও বিসিবির বিপক্ষে অপরাজিত ৫০ রানে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন সাবি্বর। এ ম্যাচেও নায়ক তিনি। তার ৮৪ রানের ওপর ভর করেই মুশফিকদের দেওয়া ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে সহজেই পৌঁছে যায় প্রাইম ব্যাংক। সাবি্বর ৫০ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় এই রান করেন।

সাবি্বরের তাণ্ডবেই ম্লান হয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের সাইক্লোন ইনিংসটি। মাত্র ৩৩ বলে চারটি বিশাল ছক্কা ও একটি বাউন্ডারিতে ৫০ করেছিলেন আবাহনীর দলপতি। সিলেটে ব্যাট হাতে সাবি্বর যেন অপ্রতিরোধ্য। তবে দুই দুটি অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করার পরও সাবি্বরের মধ্যে কোনো পরিতৃপ্তির ছাপ নেই। বরং তরুণ এই তারকার রান ক্ষুধা যেন আরও বেড়ে গেছে।

কাল হাফ সেঞ্চুরির পর সাবি্বর বলেন, 'আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। আমার কাজ খেলা। আমি খেলে যাচ্ছি। এখন ফর্মে আছি বলেই ভালো স্কোর করতে পারছি। ' কাল সিলেটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ফেলে আবাহনী।

দলীয় ১২ রানে আফতাবের পর ২৯ রানের মাথায় মেহেদী মারুফও আউট হয়ে যায়। দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পরও আবাহনীর রানের চাকা থামেনি। মুশফিকুর রহিম উইকেটে যাওয়ার পর যেন রীতিমতো ঝড় তোলেন। তার দাপুটে ব্যাটিংয়েই তো শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের বড় স্কোর করে আবাহনী। মাত্র ১৭ রানে তিন উইকেট নেন প্রাইম ব্যাংকের বোলার রুবেল হোসেন।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় প্রাইম ব্যাংকও। দলীয় ১৭ রানের মাথায় অলোক কাপালীর আউটের পরই উইকেটে যান সাবি্বর রহমান। তারপর পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। সাবি্ববের সামনে সুবিধা করতে পারেননি আবাহনীর কোনো বোলারই। সবাইকে ভুগিয়েছেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাবি্বর। এদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মোহামেডান ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে ইউসিবি বিসিবি একাদশের বিপক্ষে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইউসিবি ৯ উইকেটে ১২৯ রান সংগ্রহ করে। পরে মোহামেডান ১৭.১ ওভারে হাতে সাত উইকেট রেখে ১৩০ রান তুলে নেয়।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।