আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমীন জোরে বলা ভাইদের কাছে পুরো মাসআলার একটি সহীহ হাদীসের প্রমাণ চাই! স্রেফ একটি!

যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি

আহলে হাদীস দাবিদার ভাইয়েরা কুরআন ও সহী হাদীস মানেন। আর কারো কথা মানেন না। কোন উম্মতীর কথা বিশ্বাস করেন না। তাই তাদের কাছে আমাদের বিনীত প্রশ্ন-

আহলে হাদীস ভাইদের আমীন

১- সবাই জানে যে, অধিকাংশ নামায [যেমন সুন্নাত ও নফল] একাকি পড়া হয়। সে সময় গায়রে মুকাল্লিদরাও নামাযে আমীন আস্তে আস্তে বলে।



২-জামাতের সাথে নামাযে ইমাম একজন হয়, আর মুক্তাদী হয় বাকিরা। এখানে একটি বিষয় পরিস্কার থাকা দরকার যে, গায়রে মুকাল্লিদ মুসল্লি প্রতিদিন এগার সিররী [আস্তে কেরাত পড়া নামায] রাকাতের পিছনে আস্তে আস্তে আমীন বলে। আর ছয় রাকাতে পড়ে জোরে জোরে।
এখানে দেখুন ছয় রাকাতের চেয়ে এগার রাকাত বেশি। অর্থাৎ জোরের চেয়ে আস্তে আমীন বলে বেশি।

তাই আগে প্রথমে ১১ রাকাতের বিষয়টি পরিস্কার হওয়া দরকার। তারপর ছয় রাকাতের বিষয়।

৩- কোন কোন মুসল্লি এমন সময় শরীক হয় যে, ইমাম সাহেব ফাতিহার অর্ধেক পড়ে ফেলেছে। এমতাবস্থায় মুক্তাদী ফাতিহা শেষ করার পূর্বেই ইমামের ফাতিহা শেষ হয়ে যায়। তাই সে সময়ও তার জোরে সবার সাথে আমীন বলতে হয়।

তাহলে কী দাঁড়াল? মুক্তাদী সূরা ফাতিহা শেষ না করেই আমীন বলে দিল।
এভাবে সূরা ফাতিহা শেষ করার আগেই আমীন বলা কোন আয়াত বা হাদীসের দ্বারা প্রমাণিত?

৪- গায়রে মুকাল্লিদদের ইমামরাও ১১ সিররী রাকাতে সর্বদা আস্তে আমীন বলে। একাজটির প্রমাণ সর্বপ্রথম সাব্যস্ত হওয়া উচিত। তারপর যে ৬ রাকাতে জোরে জোরে আমীন বলা হয়, সেটার প্রমাণ সর্বদার শর্তের সাথে ইবারত দ্বিতীয় দফা দেখাতে হবে।

উপরে বর্ণিত নামাযের মাঝে বলা আমীনের চারটি অংশের মাসআলাটি আহলে হাদীস ভাইয়েরা সর্ব প্রথম কুরআনে কারীমের দ্বারা প্রমাণিত করবে।

যদি না করতে পারে, তাহলে লিখে দিবে যে, “কুরআনে কারীম এ মাসআলায় তাদের উপর হাত রাখতে তৈরী নয়”।

তারপর পূর্ণ মাসআলাটি হাদীস দ্বারা প্রমাণ করে দেখাবে। হাদীসও এমন কিতাব থেকে দেখাতে হবে, যার সংকলক না মুজতাহিদ না মুকাল্লিদ। বরং কোন গায়রে মুকাল্লিদ কিতাবটি সংকলন করেছেন। সেই সাথে হাদীসটিকে দলিল দ্বারা সহীহ সাব্যস্ত করতে হবে।

আর একথা কিছুতেই ভুলবেন না যে, আপনাদের নিকট দলিল শুধুমাত্র কুরআন ও হাদীস। তাই যদি গায়রে মুকল্লিদ ভাই সাহেব কোথাও কুরআন ও হাদীসের বর্ণনা ছাড়া কোন উম্মতী বা স্বীয় সিদ্ধান্ত দ্বারা হাদীস সহীহ জঈফ বলে জানায়, তাহলে তাকে স্বীয় দাবিতে মিথ্যুক ধরা হবে। কারণ সে তখন আর আহলে হাদীস থাকবে না। আহলে রায় হয়ে যাবে।

সারাংশ আবার বলে দেই

অধিকাংশ নামাযে আমীন আস্তে বলা যেমন ওয়াজিব ও সুন্নত ও নফল নামাযে, সেই সাথে ফরজ নামাযের এগার রাকাতে আমীন আস্তে বলা, ছয় রাকাতে আমীন জোরে বলা কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? আর সেই হাদীসটি কি সহীহ? সহীহ হলে কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস দ্বারা সহীহ প্রমানিত?
কোন উম্মতীর বক্তব্য দ্বারা কিন্তু হাদীস সহীহ-জঈফ বলার বেআদবী করবেন না, তাহলে আপনাদের দাবি অনুপাতে মুশরিক হয়ে যাবেন, কারণ আপনাদের দলীল অনুপাতে দলীল শুধু কুরআনও হাদীস, কোন উম্মতীর কথা গ্রহণযোগ্য নয়।

আর হাদীসটি দেখাতে হবে এমন ব্যক্তির সংকলিত কিতাব থেকে যিনি কারো মুকাল্লিদও নন, আবার নিজে মুজতাহিদও নন, বরং তিনি তাদের মত গায়রে মুকাল্লিদ। যদি মুকাল্লিদ বা মুজতাহিদের কিতাব থেকে হাদীস দেখান, তাহলে আপনারা স্বীয় দাবিতে ধোকাবাজ ও মিথ্যুক সাব্যস্ত হবেন।

ইমাম গায়রিল মাগদূবী আলাইহিম বলে ফেললে পরে শরীক হওয়া মুসল্লি আপনাদের দাবি অনুপাতে সূরা ফাতিহা শুরু করার পর আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন বললে তিনি কি আমীন জোরে বলবে? বললে আলহামদুলিল্লাহি রাববিল আলামীন বলার পর আমীন বরা কোন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? দয়া করে জানাবেন কি?

বিঃদ্রঃ
কথা ঘুরাবেন না, অপ্রয়োজনীয় কপিপেষ্ট করবেন না। শুধুমাত্র পয়েন্টওয়ারী আলোচনা করবেন। অপ্রয়োজনীয় কমেন্ট করলে তা ডিলিট করে দেয়া হবে।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.