আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংখ্যালঘু ও আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী



আমাদের দেশের সংখ্যালঘু কারা? নিশ্চয় প্রশ্নটার উত্তর হবে এমন মসুলমান বাদে বাকি সব ধর্মর লোক সংখ্যালঘু- এতে খৃষ্টান, বৌদ্ধি ইত্যাদি। এখন আমার একটা সিম্পল জিজ্ঞাসা- কখনও কি শুনেছেন খৃষ্টানদের উপর হামলা হয়েছে অথবা বৌদ্ধদের উপর হামলার ঘটনা খুবই রেয়ার এবং কিচুদিন আগে যেটা হয়েছে তাতে আমলীগের ঘটানো তা সবাই আশা করি স্বীকার করবেন। অর্থাৎ হিন্দুদের উপর হামলাটাই উল্লেখযোগ্য। এখন এদের উপর কেন হামলা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে আগে আসতে হবে কারা হামলা করে? একটা সবসময় প্রচারিত উত্তর হল জামায়াত-শিবির এর পিছনে দায়ী। এখন আমার কথা হল জামায়াত কেন তাদের হামলা করবে? তার স্বার্থটা কোথায়? একটা ওপেন উত্তর হল তারা আমলীগকে সমর্থন করে বলে তাদের উপর জামাতের রাগ থেকে এই ঘটনা ঘটে।

এখন আমার কথা হল জামায়াত যদি ওদেরকে হাজার টুকরা করেও ফেলে তাহলেও ওরা কখনই জামায়াতের ধারে কাছেও ঘেষবে না এটা জামাতের কাছে সুষ্পষ্ট তাহলে কোন দুঃখে জামায়াত ওদের উপর হামলা করবে? কি ওদের মসুলমান মানানোর জন্য! এটা কি কখনও সম্ভব!!!!

এখন আর একটা দিকে আসি। রাজনৈতিক ফায়দা। রাজনৈতিক দিক দিয়েও জামায়াতের অবস্থান নেগেটিভ। তাহলে রাজনৈতিক ফায়দাটা নিচ্ছেকে? নিশ্চয় আমাদের ভারতপ্রেমী আমলীগ। এইটাতো ওপেন সিক্রেট ঠিক নয়কি? যত বেশী হিন্দু আক্রমণের শিকার হবে তত বেশী দাদাবাবুদের স্নেহ আমলীগের দিকে আসবেই।


আর যতবেশী হামলা কমবে তত জামাতের লাভ কারণ তাদের বিপক্ষে প্রচারণাটা কমবে
েএখন একটু বুদ্ধিজীবীদের কথায় আসি। আমাদের বাঙালী বুদ্ধিজীবী বিশেষ করে সুলতানা কামাল সহ আর্ও কয়েকজন কিছুদিন আগে একটা রিপোর্ট দেখিয়েছেন যে সাতক্ষীরায় জামাতের হামলায় মানবাধিকারের নাকি চরম লঙ্ঘন হচ্ছে বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা মোটেই নিরাপদ নয়।
তাদের কথায় জামায়াতের হাতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়!!!! কিন্তু এই এলাকায় যে কটি সংলঘুদের উপর হামলা হয়েছে তার চ্রত্যেকটিতেই জামায়াত আমলীগের লোকজনদের ধরে পুলিশে দিয়েছে এবং এখনও তারা জেলে আছে পারলে প্রমাণ নিয়ে আসতে পারেন।

হিসাব যখন এই তখন আমি ইকুয়েশনে আসতে পারি । আমলীগ তাদের রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে হিন্দুদের উপর হামলা চালায় এবং তার দায়ভার চাপিয়ে দেয় জামাতের উপর।

এটা অস্বীকার করতে পারবেন না। এমনকি কিছুদিন আগেই তো ভারতের একজন লেখক স্বীকারই করলেন যে হিন্দুদের উপর হামলায় জামায়াতের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই বললেই চলে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে ভারত কি এই সম্পর্ক বেখবর? বেখবর নয় বরং ভারতও পরোক্ষভাবে চায় এই মুলাটা ঝুলিয়ে রাখতে কারণ একটাই এটা দিয়ে তাদেরও কিছু ফায়দা হাসিল হয়। আর এদেশে যেসব হিন্দু আছে তাদের প্রতি ভারতের মানসিকতার একটু নিম্নমানের তা একটি তলিয়ে খোজ নিয়েন।

এখন আমাদের স্মার্টযোগাযোগমন্ত্রী আবার এটাকে আত্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছেন!!!! তার মুখ দিয়ে ভারতের কথাটা উচ্চারিত হল বলে লজ্জা পেলাম।

এযেন এমন তারা এদশের ভারতের প্রচার মাধ্যম। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হলে ভারত কি করবে তা ওনার মুখ দিয়ে আমাদের শুনতে হবে এ যেন আমরা পশ্চিমবঙ্গ!!!!!!!
আর ভারতের সংখ্যালঘু মসুলমানদের উপর হামলা হলে কবে আমলীগদের দরদ গড়াতে দেখলাম কবে তাদের মুখ দিয়ে ঐ দেশের মসুলমানদের উপর অত্যাচারের নিন্দা তাদের মুখ দিয়ে শুনলাম!!!!!!
বরং মসুলমান হয়েও মাদুর্গার কথা না উচ্চারণ করলে তাদের পেটের ভাত হজম হয়না এবং যারা বাঙালী বুদ্ধীজীবী তাদের ইসলামের প্রতি যত এলার্জু কিন্তু পুজামন্ডপে গিয়ে সাবা নিতে লজ্জাবোধ করে না!!!!!! এটা নাকি তাদের ধর্মনিরচেক্ষতা!!!!!
আমি বলি এটা হল “র” এর কাছ থেকে নেয়া টাকার একধরনের উসুল। ব্যাপার না চালিয়ে যান আসল সমস্যা সামনে অপেক্ষা করছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.